আধুনিক জীবন যাত্রায় প্রযুক্তির অবদান অনেক। কিন্তু এই আধুনিক প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলোর দিকে নজর পড়ছেনা অনেকের। আমরা সবাই আধুনিক প্রযুক্তির ভাল দিক গুলো খুব ভাল ভাবে জানি । আর এই আধুনিক প্রযুক্তির খারাপ দিক গুলো নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, ম্যানচেস্টার ও সারে বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা এমন একটি গবেষণা্র ফল পেয়েছেন যা মানব দেহের জন্য প্রাকিৃতিক ভাবে আবশ্যক। গবেষকদের মতে,আধুনিক জীবনযাত্রায় ঘুম কমে যাওয়ার কারণে ‘গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা’ দেখা দিচ্ছে৷
ঘুমে ঘাটতির বিষয়টিকে সাধারণ মানুষ ও সরকারের গুরুত্ব দিতে গবেষকেরা পরামর্শ দিয়েছেন৷ কারণ, অনিয়মিত ঘুমের সঙ্গে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, টাইপ-টু ডায়াবেটিস, বিভিন্ন সংক্রমণ ও স্থূলতা রোগের সম্পর্ক রয়েছে৷ মানুষের সচেতনতা, মনের অবস্থা, শারীরিক শক্তি-সামর্থ্য প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরে রয়েছে প্রাকৃতিক ঘড়ি৷ ঘুমের ঘাটতি বা অনিয়ম হলে এই ঘড়িতে বড় পরিবর্তন আসে৷ তখন হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷
গবেষক বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টাব্যাপী সচল আধুনিক জীবনযাত্রায় অনেকে তাঁদের শরীরের ঘড়ির বিপরীত জীবন যাপন করছেন৷ এতে তাঁদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে৷ আধুনিক প্রযুক্তিই মানুষকে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত ব্যস্ত রাখছে এবং কম ঘুমানোর পেছনে ভূমিকা রাখছে৷ হার্ভার্ডের অধ্যাপক চার্লস চেইস্লার বলেন, শরীরের অভ্যন্তরীণ জৈব ঘড়ির সামঞ্জস্য রক্ষায় আলোর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি৷ স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও কম্পিউটার থেকে নির্গত উচ্চমাত্রার আলো মানুষের শরীরের সেই জৈব ঘড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে৷ আর এই বিশৃঙ্খলা থেকে মানুষের গড় আয়ু দূত কমে আসছে। আর এ মিটফো বলেন, দিনের আলো কম ব্যবহার করা এবং ঘুমে ঘাটতি আধুনিক প্রযুক্তির সবচাইতে খারাপ দিক।
No comments:
Post a Comment