ইউরোপের কোকেন রাজধানী লন্ডন: সমীক্ষা




ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনকে ইউরোপের কোকেন
রাজধানী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। একটি সমীক্ষায়  পয়ঃনিষ্কাষণের পানিতে
প্রতি হাজার মানুষে ৭১১ মিলিগ্রাম বেনজোইলএগোনেন নামের  কোকেনের প্রধান
রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি নির্ণয়ের পর  লন্ডনকে  এ নাম দেয়া হয়েছে।





ইউরোপের ৪২টি নগরীতে এ সমীক্ষা চালানো হয়েছে  এবং একই রাসায়নিক আমস্টারডামে ৩৯৩, প্যারিসে ২৪৩ এবং মিলানে ২৩৩ মিলিগ্রাম পাওয়া গেছে।




লিসবন
ভিত্তিক সংস্থা, ইউরোপিয়ান মনিটরিং সেন্টার ফর ড্রাগস অ্যান্ড অ্যাডিকশন
২০১৩ সালে এ সমীক্ষা চালিয়েছে এবং এজন্য সপ্তাহব্যাপী নমুনা সংগ্রহ করা
হয়েছে। অবশ্য  দু’বছর আগে একই সমীক্ষায় লন্ডনে কোকেনের যে উপস্থিতি ধরা
পড়েছিল এ সমীক্ষায় ধরা পড়েছে তার দ্বিগুণ।

এ সমীক্ষায় আরো দেখা
গেছে, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে কোকেন, ইকসটেসি এবং গাজার উপস্থিতি পাওয়া
গেলেও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে পাওয়া গেছে ক্রিস্টাল মেথ নামের মাদকের
উপস্থিতি।





এ সমীক্ষা আরো দেখা গেছে, সপ্তাহের সাধারণ দিনগুলোতে গড়ে
৭৯৯ মিলিগ্রাম কোকেন পাওয়া গেলেও সাপ্তাহিক বন্ধের শুরুর দিনটিতে অর্থাৎ
শনিবার লন্ডনের পয়ঃনিষ্কাষণের পানিতে কোকেনের উপস্থিতি এক লাফে বেড়ে ৯০৪
মিলিগ্রামে পৌঁছায়। শুধু তাই নয়, শনিবার লন্ডনের পানিতে ক্রিস্টাল মেথের
উপস্থিতি বাড়ে তিন গুণ।





এদিকে, চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী  প্রাগে
ক্রিস্টাল মেথের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। এ নগরীর পয়ঃপানিতে প্রতি
হাজার মানুষে ৩২৭ মিলিগ্রাম মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।





অবশ্য ব্রিটিশ সরকারের পরিসংখ্যানে বলা
হয়েছে, ২০১২ সালে দেশটিতে প্রতি ১২ জন বয়সি মানুষের মধ্যে একজন অবৈধ মাদক
ব্যবহার করে। এ ছাড়া, প্রতি ৫০ জনের মধ্যে একজন কোকেনের মত মাদক ব্যবহার
করেন। এদিকে ২০০৮-৯ সাল থেকে কোকেন গুড়ার মত মাদকের ব্যবহার কমছে বলে 
সরকারি কাগজপত্রে দাবি করা হলেও আসলে ব্রিটেনের বহুল ব্যবহৃত মাদকই হলো
কোকেন। এ কথা বলেছেন ড্রাগস্কোপ নামের একটি দাতব্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী
মারকুস রবার্টস।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment