চাঁদেও বোকো হারাম (বোকো হারামের অজানা তথ্য)




বোকো হারাম এখন একটি আলোচিত সংগঠন। বর্তমান মিডিয়ার মুখে একটি আলোচিত নাম। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই সংগঠনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানে না অনেকেই। এই সংগঠনটি আসলেই কি কারণে প্রতিষ্ঠিত, তাদের মিশন ভিশন কি তা জানে না । এমন কি উইকিপিডিয়ায় খোজ নিয়ে দেখা যায় তাদের সম্পর্কে সঠিক মতামত উইকিপিডিয়ার কাছে নির্ভর যোগ্য ভাবে নেই। তথ্য ভান্ডার উআকিপিডিয়া, জার্নালিষ্ট আর মিটফোর এই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছে যা আপনাকে ভাবিয়ে তুলতে পারে।

বোকো হারাম (আরবি: جماعة اهل السنة للدعوة والجهاد জামাতু আহ্লিস সুন্নাহ লাদ্দাআওাতিহ ওয়াল-জিহাদ) নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন যারা আল-কায়েদার মতো পশ্চিমা শিক্ষা-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আত্মঘাতী বোমা হামলা তাদের প্রধান যুদ্ধপদ্ধতি এবং আল-কায়েদার মতো 'আদর্শ' বাস্তবায়নে চরমপন্থী। বোকো হারামের যোদ্ধারা প্রশিক্ষণের জন্য সোমালিয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ আফগানিস্তান পর্যন্ত গেছে বলে মনে করা হয়। বর্তমানে বোকা হারামকে জাতিসংঘ ব্লাক লিষ্টে ফেলেছে।



উৎপত্তিঃ

বোকো শব্দটি হাউসা ভাষার আর হারাম এসেছে আরবি থেকে। বোকো অর্থ পশ্চিমা শিক্ষা। বোকো হারাম মানে পশ্চিমা শিক্ষা পাপ।



লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

বোকো হারামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত করা। মুখপাত্র আবু কাকা বলেন, "যখন আমরা দেখবো সবকিছু আল্লাহর নির্দেশ মতো করা হচ্ছে এবং আমাদের সঙ্গীদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, একমাত্র তখনই আমরা আমাদের অস্ত্র একপাশে সরিয়ে রাখবো। কিন্তু আমরা তা ত্যাগ করবো না। কারণ ইসলামী বিধান অনুসারে আপনি অস্ত্র একপাশে সরিয়ে রাখতে পারেন, ত্যাগ করতে পারেন না"।



অর্থ প্রাপ্তিঃ

আল-কায়েদার ইসলামিক সদস্য. সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের কিছু গোষ্ঠী বোকো হারামের তহবিল সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়া আল মুনতাদা ট্রাস্টও তহবিল জুগিয়ে থাকে।



ইতিহাসঃ

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বোকো হারামের প্রধান ঘাঁটি। মানুষের তৈরি আইন ও আধুনিক বিজ্ঞানকে দলটি অস্বীকার করে। মোহাম্মদ ইউসুফ ২০০১ সালে বোকো হারাম প্রতিষ্ঠা করেন।  বোরনো প্রদেশের রাজধানী মাইদুগুরির নিকটবর্তী শহর দাম্বোয়ায় বোকো হারাম প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে বোকো হারাম শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।



হামলাঃ

দেশটির খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলার জন্য দায়ী। দেশটিতে ২০১২ সালে ৬২০ জন ও ২০১১ সালে ৪৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার জন্য জঙ্গি দলটিকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বোকো হারাম তিন থেকে ১০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে একিউআইএমের সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হয়।



জার্নালিষ্ট আর মিটফো বলেন, বোকো হারাম শক্তিশালী ইসলামী সংগঠনের নাম। যার ইসলামী শরিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছে। প্রসঙ্গত তিনি আরো জানান,

নাইজেরিয়ায় শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বোকো হারামের হামলা চলবে বলে জানিয়েছেন এই সংগঠনটির এক জ্যেষ্ঠ সদস্য। গত শনিবার ওই জ্যেষ্ঠ সদস্যের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান। গত শুক্রবার নাইজেরিয়ায় ইসলামী শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইরত বোকো হারামের হামলায় কানো শহরে ১৮৬ জন নিহত হয়। “সরকারকে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করার পর আলোচনায় বসার বিষয়টি বিবেচনা করবো,” বলেন বোকো হারামের মুখপাত্র আবু কাকা। “যখন আমরা দেখবো সবকিছু আল্লাহর নির্দেশ মতো করা হচ্ছে এবং আমাদের সঙ্গীদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, একমাত্র তখনই আমরা আমাদের অস্ত্র একপাশে সরিয়ে রাখবো। কিন্তু আমরা তা ত্যাগ করবো না। কারণ ইসলামী বিধান অনুসারে আপনি অস্ত্র একপাশে সরিয়ে রাখতে পারেন, ত্যাগ করতে পারেন না,” বলেন তিনি।



গত কয়েক সপ্তাহে বোকো হারামের হামলা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত শুক্রবারে কানোতে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্দুকযুদ্ধ চালায়। বোকো হারামের সদস্যদের আল কায়েদার আধ্যাত্মিক সদস্য বলে দাবি করেন কাকা। সৌদি আরব সফরের সময় তারা আল কায়েদা নেটওয়ার্কের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানান তিনি। নাইজেরিয়ার প্রতিবেশী চাঁদ, ক্যামেরুন ও নাইজারের নাগরিকরাও বোকো হারামের সদস্যপদ গ্রহণ করছে বলে জানান কাকা।



নাইজেরিয়ার রায়েল এন্ড্রিড জানান চাঁদেও বোকো হারাম যথেষ্ঠ শক্তিশালী। পৃথীবি জুরে কালো পতাকার এই দল সহ আরো কয়েকটি দল তাদের অবস্থান বৃহৎভাবে জানান দিচ্ছে। তিনি ইসলামিক বিশিষ্ঠ পন্ডিতদের সাথে কথা বলে জানান তাদের অনুসৃত পথকে ইসলাম বিরোধী বলছেন বিশ্বের  ইসলামি ফকিহরা।   নাইজেরিয়ার বোকা হারাম সম্পর্কে আরো বলেন, মিডিয়াতে মুসলমানদের যে ভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে ভিতরটা অনেকটা অন্য রকম। আপহরণকৃত স্কুল পড়ুয়া(২৭৬ জন খৃষ্টান মেয়ে)সকলেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তারা এখন নামাজ পড়ে এবং ইসলামী রিতি রেওয়াজ মানার কারণে তাদের কোন ক্ষতি করিনি এই দলটি। তারা দাবি করেছে  বোকো হারামের সব সদসোদের মুক্তি না দিলে তাদেরও মুক্তি দেয়া হবে না। (চলবে...)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment