প্রাচীন পৃথিবীতে এলিয়েন আগমনের ছবি সহ বিতর্কিত কিছু প্রমাণ


বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। প্রতিদিনই বিজ্ঞান যেভাবে এগিয়ে চলেছে সেরকম ইতিহাসে আর কখনোই হয় নি। কিন্তু তারপরও এই পৃথিবীর বুকেই এরকম অনেক জিনিস বা ঘটনা আছে যেগুলোর কোন যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। সেরকমই কিছু যুক্তির বাইরের জিনিস নিয়ে এ আয়োজন ।



আজকের আয়োজনে তুলে ধরা হলো এমন কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের কথা, যেগুলো নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ দেয় প্রাচীন পৃথিবীতে ভিনগ্রহবাসী প্রাণীদের আগমনের। তালিকায় আছে প্রাচীন রকেট হতে শুরু করে প্রাচীন মহাকাশচারী মূর্তি, এমনকি এলিয়েনের মমি পর্যন্ত! পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীদের বড় একটা অংশ প্রতিনিয়ত মাথা ঘামিয়ে যাচ্ছেন এসব নিয়ে। এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেন নি গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা। সব কিছু একটি দিকেই নির্দেশ করে- এলিয়েনরা এসেছিল, প্রাচীন মানুষদের সাথে অত্যন্ত ভালো যোগাযোগ ছিল তাদের!



(১)মমিটি কি এলিয়েনের?



























প্রচ্ছদে যে মমিটির ছবিটি দেখছেন সেটা পাওয়া যায় মিশরের লাহুনে। অদ্ভুত আকৃতির এই মমিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ থেকে ১৬০ সেন্টিমিটার। এটা দ্বিতীয় সিনুসরেটের রাজত্বকালের সময়কার হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। মমিটির বয়স প্রায় ২০০০ বছর। কিন্তু এটা কি মানুষ? নাকি এলিয়েন? এই প্রশ্নের সদুত্তর এখনো জানা নেই কারো।



(২)১১০২ সালের মহাশূন্যচারী!





































স্পেনের সালামানকা শহরে একটি গির্জা নির্মিত হয় ১১০২ সালে। সেই হিসেবে এটাকে বিশ্বের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি হিসেবে ধরা যায়। গির্জার পাথরের দেয়াল খোদাই করে নানা রকম সুন্দর নকশা আঁকা হয়েছিল। কিন্তু এর মাঝেই খুব অদ্ভুত এক নকশা যে কাউকে চমকে দেবে। নকশাটি হচ্ছে একজন মহাশূন্যচারীর! আরো অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, এই মহাশূন্যচারীর আপাদমস্তক আধুনিক মহাশূন্যচারীদের পোশাকের মত পোশাকে ঢাকা। এমনকি পায়ের জুতোর তলা পর্যন্ত। কেউ জানে ১২শ শতাব্দীর একটি গির্জার দেয়ালে বিংশ শতাব্দীর নভোচারীর নকশা কিভাবে এলো?



(৩) নাজকা লাইনের অদ্ভুত নকশা







































পেরুর নাজকা লাইনের এই ছবিটি দেখুন। দুজন মানুষ যেন আকাশ থেকে নেমে আসা কোন ভিনগ্রহের যানের প্রতি সম্মান জানাচ্ছে। আসলেই কি তাই?



(৪) ২৫০০ বছর আগের রকেট!



























তুরস্কের ইস্তানবুলে পাওয়া যাওয়া প্রাচীন এ নিদর্শন কি প্রাচীন যুগের এক
আসন বিশিষ্ট মহাশূন্যযান বা স্পেস-শিপের নিদর্শন? ইস্তানবুলের
প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘরে বহুদিন যাবৎ এ নিদর্শনটিকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এটাকে টপরাক্কেল শহর থেকে উদ্ধার করা হয়। ২৫০০ বছর আগে উরারটু শাসনামলে এ
শহরটি টুস্পা নামে পরিচিত ছিল। যাদুঘরের তত্ত্বাবধানকারী এটাকে ‘ভুয়া’ মনে
করেন। কারণ উরারটু যুগের অন্য প্রাচীন নিদর্শনের সাথে এটার মিল নেই। তার
উপর এটা দেখতে মহাশূন্যযানের মত!



(৫)বাল্টিক সাগরের নিচে এই জিনিসটি কি?





























২০১১ সাল। বাল্টিক সাগরের একদম নিচে ‘ভিন্ন গ্রহের যান” এর মত দেখতে একটি
অদ্ভুত জিনিস পাওয়া যায়। এটা বহু মানুষের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে। কেউই
বুঝতে পারছিলেন না জিনিসটি কি। সুইডেনের গবেষকরা সমুদ্রে গভীরে অভিযান
চালান কিন্তু সেটা আরো বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়। কারণ, এ জিনিসটি ৩০০ মিটার
লম্বা একটি দাগের শেষ প্রান্তে ছিল, যেটা দেখে মনে হয় এই রহস্যময় জিনিসটি
এতটকু পথ অতিক্রম করে এখানে এসেছে থেমেছে। বেশির ভাগ বিজ্ঞানীর ধারণা এটা
ক্রাশ ল্যান্ড করা একটি স্পেসশীপ!





Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment