উড়িয়ে নেবে উড়ুক্কু বাইক




যানজটে আটকে গেছেন? এ সময় একটা উড়ুক্কুবাইক থাকলে কেমন হয়? অনেকের মনেই হয়তো উঁকি দেয় এমন ভাবনা। এ কল্পনা বাস্তবে রূপ নিতে আর বেশি দেরি নেই।



আর তিন বছরের মধ্যে এমন উড়ুক্কু গাড়ি বাজারে আনবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অ্যারোফেক্স। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজম্যাগ এই উড়ুক্কু গাড়ি নিয়ে প্রকাশ করেছে একটি প্রতিবেদন।

অ্যারোফেক্স জানায়, উড়ুক্কু গাড়ির জন্য অপেক্ষার দিন শেষ। ২০১৭ সালে অ্যারো-এক্স হোভারবাইক নামের গাড়ি বাজারে ছাড়া হবে। গাড়ির দাম হতে পারে ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার। এর সঙ্গে কিছু আনুষঙ্গিক খরচ যোগ হবে। গাড়ি কিনতে হলে আগেভাগে বুকিং দিতে হবে।



অ্যারোফেক্সের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেওয়া হয়, যাঁরা উড়ুক্কু হোভারবাইকের মালিক হতে চান, তাঁদের পাঁচ হাজার ডলার অগ্রিম জমা দিতে হচ্ছে। এই অর্থ অফেরতযোগ্য।



২০১৬ সালে এই উড়ুক্কু বাইক পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে ওড়ানো হবে। অ্যারো-এক্স নামের এই বাইক সর্বোচ্চ দুজন যাত্রী বহন করতে পারবে। ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার গতিতে মাটি থেকে তিন মিটার উঁচু দিয়ে এই বাইক উড়তে সক্ষম হবে।



বর্তমানে অ্যারোফেক্স কর্তৃপক্ষ তাদের এই উড়ুক্কু বাইক নিয়ে নানা পরীক্ষা চালাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। উড়ুক্কু বাইকে চাকার পরিবর্তে কার্বন ফাইবারের রোটর থাকায় এর ওঠানামার জন্য কোনো রানওয়ের প্রয়োজন হবে না।



অ্যারোফেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল চালানোর মতো সহজ হবে এই উড়ুক্কু বাইক নিয়ন্ত্রণ। এতে থাকবে মোটরসাইকেলের মতো গ্রিপ করে চালানোর সুবিধা। এ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।



জ্বালানি বাদে এই বাইকের ওজন হবে ৩৬৫ কেজির কাছাকাছি। এতে সর্বোচ্চ ১৪০ কেজি ওজনের বস্তু বহন করতে পারবে। একবার জ্বালানি ভর্তি করা হলে এটি ৭৫ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারবে।



এই বাইক কি সব কাজে ব্যবহার করা যাবে? নির্মাতাদের দাবি, এটি মূলত হবে স্পোর্টস-বাইক। একই সঙ্গে সাধারণ বাইক হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।



প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা মার্ক ডি রোচ জানান, এই বাইক বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। যেসব এলাকায় সাধারণ যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়, সেসব স্থানে এই বাইক ব্যবহার করা যেতে পারে। সাশ্রয়ী ও ব্যবহারবান্ধব যান হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উদ্ধারকাজ, জরুরি ত্রাণব্যবস্থাপনা, এমনকি টহল যান হিসেবেও এর ব্যবহার হতে পারে। এর আগে কম উচ্চতায় উড়তে পারে—এমন যান বাজারে সহজলভ্য ছিল না। অতিরিক্ত খরচ ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনও পড়ত।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment