প্লট দখলের মামলায় মওদুদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন




বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে গুলশানে প্লট দখলের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগপত্রের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন এ অনুমোদন দেন।



সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার (জালিয়াতি) করে পরিত্যক্ত ঘোষিত সরকারি সম্পত্তি ভোগদখলের অভিযোগে মওদুদ আহমদ ও তাঁর ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে  বিরুদ্ধে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় মামলা হয়। দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।



গুলশান আবাসিক এলাকার এনডব্লিউ (এইচ) ৬, হোল্ডিং নম্বর ১৫৯, গুলশান অ্যাভিনিউতে এক বিঘা ১৩ কাঠা ১৪ ছটাক আয়তনের এই সরকারি প্লটের বর্তমান বাজারমূল্য ৩০০ কোটি টাকার বেশি।



মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মওদুদ আহমদ ও তাঁর ভাই রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৫৯ নম্বর বাড়িটি ভোগদখল করে আসছেন। বাড়িটি ১৯৬১ সালে পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসানের নামে তত্কালীন ডিআইটি (বর্তমানে রাজউক) দখল হস্তান্তর করেন। পরে এহসানের আবেদনের ভিত্তিতে প্লটের মালিক হন তাঁর স্ত্রী ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া ফ্ল্যাজ। মারিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর পাকিস্তানি স্বামী এহসান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে চলে যান। ১৯৭৩ সালে সরকার ওই বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে।



কিন্তু মওদুদ আহমদ তাঁর ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে লন্ডনপ্রবাসী ভাই মনজুর আহমদের নামে ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট তারিখের একটি ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে বাড়িটি দখলের পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) রেকর্ড অনুযায়ী মওদুদ আহমদ ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া। মারিয়া বা তাঁর স্বামী এহসান স্বাধীনতার পরে কখনো বাংলাদেশে আসার কোনো প্রমাণও নেই। বরং মওদুদ আহমেদ তত্কালীন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ওই প্লটটি ১৯৮০ সালের ১৩ মে মারিয়ার নামে ১০০ টাকা মূল্যে হস্তান্তর দলিল বের করেন গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে। এটি জালিয়াতির মাধ্যমে নিবন্ধন করানোর ক্ষেত্রে রাজউকে মালিকানা বদলের কোনো নথি নেই।



প্লটটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি উল্লেখ করে ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক মারিয়ার নামে অনিবাসী অবরুদ্ধ হিসেবে খুলে ভাড়ার টাকা জমা দিতে ও সে অর্থ কখনোই বাংলাদেশের বাইরে নেওয়া বা খরচ না করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেটাও করেননি মওদুদ আহমেদ। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

1 comment:

  1. ai Vodro loker mathay to bishal plot...notun kore ploter dorkar ki?

    ReplyDelete