গোস্ট আর্মি সাইবার হামলা প্রতিরোধে




১৯৮০ সালে সিমেন্টেক তাদের প্রথম অ্যান্টিভাইরাস বাজারে ছাড়ে। সে সময় অ্যান্টিভাইরাসই যেকোনো সাইবার হামলা ঠেকাতে সম ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার অপরাধীদের সমতা ১৯৮০ সালের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যান্টিভাইরাস ব্যবস্থার বেশ কিছু উন্নয়ন করা হলেও তা সাইবার অপরাধীদের প্রযুক্তির সাথে কুলিয়ে উঠতে পারছে না বলে জানিয়েছে সিমেন্টেক কর্তৃপক্ষ। ক্রমবর্ধমান সাইবার হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টিভাইরাস। নরটন অ্যান্টিভাইরাসের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিমেন্টেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় সাইবার হামলা ঠেকাতে অ্যান্টিভাইরাসের পরিবর্তে অন্য নতুন কোনো প্রযুক্তির কথা চিন্তা করা প্রয়োজন। কারণ বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার হামলা থেকে বাঁচতে সাধারণ গ্রাহক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করলেও ওই সব অ্যান্টিভাইরাস প্রযুক্তি কার্যকারিতা হারাচ্ছে। সিমেন্টেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান ডাই জানিয়েছেন, বর্তমানে হ্যাকাররা সাইবার অপরাধ পরিচালনার জন্য নিয়মিত নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। অ্যান্টিভাইরাস প্রযুক্তি হ্যাকারদের এ হামলা ঠেকাতে এখন আর কার্যকর নয়। সিমেন্টেকের নরটন অ্যান্টিভাইরাস মাত্র ৪৫ শতাংশ হামলা প্রতিরোধ করতে পারে। বাকি েেত্র হামলার আশঙ্কা থেকেই যায়।

বিশ্বব্যাপী বিপুল কম্পিউটার ডিভাইসে নরটন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা হচ্ছে; কিন্তু এ কম্পিউটারের অনেকই হামলার শিকার হচ্ছে। শুধু যে নরটনের অ্যান্টিভাইরাসই হামলা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তা নয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টিভাইরাসও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। হ্যাকাররা মূলত বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল করে তারপর হামলা চালায়। আমাদের কম্পিউটার ডিভাইসে থাকা অ্যান্টিভাইরাসটি এ ধরনের সব ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারে জানলেও সিমেন্টেকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহককেও এ বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে। অ্যান্টিভাইরাস তার কার্যকারিতা হারানোতে এই প্রতিবেদনে সিমেন্টেক অ্যান্টিভাইরাসের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা তৈরিতে জোর দেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছে। সিমেন্টেক এমন এক ব্যবস্থা তৈরির কথা বলেছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের শক্তিশালী যেকোনো সাইবার হামলা ঠেকাতে সম হবে।

এরই মধ্যে সিমেন্টেক এ ধরনের প্রযুক্তি তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এ বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে যেকোনো সাইবার অপরাধ শনাক্ত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এ হামলা প্রতিরোধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে নতুন প্রযুক্তিটি। জুনিপার নেটওয়ার্কস এরই মধ্যে এ ধরনের এক বিশেষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। ‘গোস্ট আর্মি’ নামে এ প্রযুক্তির ব্যবহার গ্রাহক তথ্য সুরতি রাখবে। জুনিপারের এ প্রযুক্তি হ্যাকারকে বিভ্রান্ত করবে। অর্থাৎ হ্যাকার যে সাইটটিতে হামলা চালাতে চাচ্ছে, তার হুবহু নকল একটি সাইট হ্যাকার তার সামনে দেখতে পাবে। ফলে সাইবার অপরাধী মূল সাইটটিতে হামলার সুযোগ পাবে না। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের আরো একাধিক ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যা সাধারণ গ্রাহকের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

বর্তমানে সাইবার হামলা থেকে কম্পিউটারের সুরায় প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে গবেষণা শুরু করেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, অদূর ভবিষ্যতে এ বিশেষ প্রযুক্তি নতুন বাজার তৈরি করবে। সাইবার হামলা বৃদ্ধির কারণে এ বাজারের পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment