সামরিক আইন জারির পর মঙ্গলবার ব্যাংককের রাস্তায় নামে থাই সেনারা৷ তারা ব্যাংককে বিক্ষোভরত পদচ্যুত থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক ও তাঁর ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার ‘লাল শার্ট' সমর্থকদের ঘিরে রেখেছেন৷ চলতি মাসের প্রথম দিকে আদালতের রায়ে ইংলাক সিনাওয়াত্রা সরকারের পতনের বিরোধিতা করে আসছে ‘লাল শার্ট' সমর্থকরা৷
এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয়েও অবস্থান নিয়েছে থাই সেনারা৷
‘জাতীয় নিরাপত্তা'-র স্বার্থে গণমাধ্যম সেন্সর করা হবে বলে জানিয়েছেন থাই
সেনা প্রধান৷
তবে এই পরিস্থিতিকে অভ্যুত্থান বলতে রাজি নয় সেনাবাহিনী৷ তাঁদের পরিচালিত
টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সব পক্ষের জনগণের জন্য শান্তি
ফিরিয়ে আনতে' সামরিক আইন জারি করা হয়েছে৷
প্রায় সাত মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থায় ২৮ জনের মৃত্যু ও বহু মানুষের আহত
হওয়ার খবর দিয়ে ঐ বিবৃতিতে দাবি করা হয় ‘এটা কোনো অভ্যুত্থান নয়'৷ তাই
‘সাধারণ মানুষের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই৷ বরং এখনো তাঁরা স্বাভাবিক
জীবনযাপন করতে পারবে' – এই বলে সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে
বিবৃতিতে৷
তবে জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর সাউথইস্ট এশিয়ান
স্টাডিজ'-এর পাভিন চাচাভালপোঙপুন মনে করেন বর্তমান পরিস্থিতিটা
অভ্যুত্থানেরই পূর্বসূচক৷
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, "সামরিক শাসনে দেশটির ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী
সরকারের কাজে কোনো বাধা হবে না। সবকিছুই স্বাভাবিক থাকবে। সেনাবাহিনী কেবল
জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। সামরিক আইন জারির ঘোষণার জনগণের
ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তারা স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।"
Disclaimer:
This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.
No comments:
Post a Comment