মেঘনায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে: ১২ লাশ উদ্ধার




বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জে কমপক্ষে ৩০০ যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে মেঘনা
নদীতে৷ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া লঞ্চের ১২ জন যাত্রীর
মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে অন্যান্য যাত্রীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা
যায়নি৷

মুন্সিগঞ্জের জেলা
প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বেলা সাড়ে তিনটার দিকে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর কালিপুড়া এলাকায়
মেঘনা নদীতে লঞ্চটি ডুবে যায়৷''

লঞ্চটি রাজধানী ঢাকার সদরঘাট থেকে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর যাওয়ার পথে ঝড়ের
কবলে পড়ে৷ এমভি মিরাজ-৪ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চটিতে ৩০০ জনের বেশি
যাত্রী ছিল বলে জানান তিনি৷

লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পর পরই স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ শুরু করেন৷ সন্ধ্যার পর
উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও দুর্বার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ জেলা প্রশাসক
জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটির অবস্থান নির্ণয়ের পর সেটি উদ্ধারের কাজ শুরু
হবে৷

রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার করা ১২টি মৃতদেহের মধ্যে দুটি শিশুর লাশও আছে বলে জানান তিনি৷

 ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিক টিটো রহমান ডয়চে ভেলকে জানান, ‘‘জেলা
প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিআইডাব্লিউটিএ-র
কর্মকর্তারা লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হন৷ তবে
তার আগে স্থানীয় মানুষ নৌকা এবং ইঞ্জিন বোট নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন৷
তাঁরাই মূলত ভেসে যাওয়া লাশ উদ্ধার করেন৷''

তিনি জানান, লঞ্চটির অধিকাংশ যাত্রীই শরীয়তপুর-ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা৷
লঞ্চটি হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় বলে জানান তিনি৷






টিটো জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনরা এরই মধ্যে মেঘনার
তীরে আসতে শুরু করেছেন৷ সেখানে স্বাভাবিকভাবেই এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের
সৃষ্টি হয়েছে৷

গজারিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম ডয়চে ভেলেকে জানান,
‘‘রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু হবে৷ তবে রাত ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করছে কত
সময় লাগবে৷''

বাংলাদেশে এই মৌসুমে প্রতিবছর যাত্রীবহী লঞ্চডুবির ঘটনা বেড়ে যায়৷ গত ৩রা মে পটুয়ায়াখালীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গিয়েছিল৷ এতে ১২ জনের মৃত্যু হয়৷

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মেঘনায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ছিল তিন তলার৷ কিন্তু তিন
তলা লঞ্চ আইনত অবৈধ৷ প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত লঞ্চডুবিতে
বাংলাদেশে ৫ হাজারেরও বেশি যাত্রী নিহত হয়েছেন৷


১৫ মে (DW.DE)



Disclaimer:

This post is first time introduced by other news website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment