ভোট দিতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আবদেল ফাত্তাহ সিসি। মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মুরসিকে অপসরণ ও গণহত্যার পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথমবারের মত জনসম্মুখে ভোট দিতে আসায় স্থানীয় সেনাবিরোধী নাগরিকের চড় ও থাপ্পরে গনধোলাইয়ের শিকার হলেন জোর করে ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো এ সাবেক সেনাপ্রধান।
অন্যদিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনেকটা ভোটার শূন্য হওয়ায় ভোট গ্রহণের মেয়াদ আরো একদিন বাড়ানো হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে বুধবার পর্যন্ত ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ফলে সোম, মঙ্গল ও বুধবার এই তিনদিন ধরে চলছে ভোট গ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের প্রধান আবদেল আজিজ সালমান জানান, দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ শেষে ৫ কোটি ৩০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোট দিয়েছে।
এ নির্বাচনে মাত্র দু’জন প্রার্থী থাকায় সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সহজেই জয় পাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।এদিকে, নির্বাচনের পূর্বেই ভোটারদের প্রতি ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড। তারা নিজেরাও এতে অংশ নিচ্ছেন না।
নির্বাচন পরিদর্শনে থাকা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে কায়রোর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। অনেক কেন্দ্রে কোনো ভোটারকেই চোখে পড়েনি।
অন্যদিকে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের। লোকজনকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করে তারা। এমনকি ওই দিন ভোটারদের জন্য রেলের টিকেট ভাড়াও মওকুফ করা হয়। তারপরও উপস্থিতি বাড়ানো যায়নি।
Disclaimer:
This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.
No comments:
Post a Comment