গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে চোখ বুজে থাকবে না ব্রিটেন ; শেখ হাসিনাকে - ব্রিটিশ হাইকমিশনার




ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেছেন, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ইস্যুতে চোখ বুজে থাকবে না ব্রিটেন। বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে আমরা গভীরভাবে হতাশ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ব্রিটেন সদরে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি ডিকাব আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এসব মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে গুম, খুন ও অপহরণ চলতে পারে না। বাংলাদেশ সরকারের উচিত গুম, খুন ও অপহরণের যেসব ঘটনা ঘটছে তার দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত করা।



গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ইস্যুতে ব্রিটিশ সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে গণতন্ত্র, সুশাসন এবং মানবাধিকার। যেসব দেশে নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে সেসব দেশের ব্যাপারে ব্রিটেন চোখ বন্ধ করে বসে থাকবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণেই মূলত গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটে। গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুম, খুন এবং অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে গুম, খুন, অপহরণ চলতে পারে না। সম্প্রতি মুজিবুর রহমান নামের এক ব্রিটিশ নাগরিক গুম হয়েছেন। এসব ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনার দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।


৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে রবার্ট গিবসন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ওই নির্বাচন নিয়ে আমরা গভীরভাবে হতাশ। বাংলাদেশের জনগণের বিরাট অংশ ওই নির্বাচনে তাদের মতামত দিতে পারেনি। নির্বাচন নিয়ে পারস্পরিক আস্থা তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা এড়াতে দলগুলোকে অবশ্যই একটি সমঝোতায় আসতে হবে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রিটেন সফরে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, না, শেখ হাসিনাকে ব্রিটিন সফরের আমন্ত্রণ জানানো কোনো ধরনের পরিকল্পনা এখন আমাদের নেই।  পশ্চিমা দেশগুলো তাদের মত বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিতে চায় বলে চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত যে অভিযোগ করেছেন সে ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, চীন বা রাশিয়া কমনওয়েলথভুক্ত কোনো দেশ নয়। গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মূল্যবোধের ভিত্তি। এসব ইস্যু নিয়ে আমরা অবশ্যই কথা বলব।  তারেক রহমান কোন দেশের পাসপোর্ট দিয়ে মালয়েশিয়া সফরে রয়েছেন তা জানতে চাইলে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য জানানোর কোনো নিয়ম নেই।
অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি মাইনুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর নাহার মন্টি বক্তব্য রাখেন।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment