লিবিয়ায় নিহত দুই ভাইয়ের গ্রামের বাড়ি গোসাইরহাটে শোকের মাতম




লিবিয়ার বেনগাজীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শরীয়তপুরের দুই প্রবাসী সহোদরের মৃত্যুর খবরে তাদের গ্রামের বাড়ি গোসাইরহাটের সাবেরপাড়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য দুই ছেলে স্বপন ও মিলনকে বিদেশে পাঠিয়ে এখন বাকরুদ্ধ তাদের বাবা-মা। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার সংবাদ শোনার পর মিলন ও স্বপনের প্রতিবেশীরাও শোকাচ্ছন্ন
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে ২০১০ সালে মিসর যান শরীয়তপুরের কৃষক পরিবারের সন্তান মিলন ছৈয়াল। ২০১২ সালে একই পথে পাড়ি জমান বড় ভাই স্বপন ছৈয়ালও। পরে একটি মিনারেল ওয়াটার কারখানায় কাজ নিয়ে দুই ভাই মিসর ছেড়ে চলে যান লিবিয়ার বেনগাজী শহরে। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করার জন্য সেখানে কঠোর পরিশ্রম করছিলেন দুই ভাই। কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের মৃত্যুতে ঘোর অনিশ্চয়তায় এখন তাদের পরিবার।
প্রতিদিনের মতো গত শনিবারও বেনগাজী শহরে ভাড়া বাসায় বসে সহকর্মীদের সাথে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন দুই ভাই। হঠাৎ একটি শব্দ। আর মুুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন দুই ভাই। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তাদের। একই ঘটনায় আরো দুই বাংলাদেশী আহত হয়েছেন। তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইব্রাহিম ও কামাল। ইব্রাহিম প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছাড়া পেলেও কামাল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহত স্বপন ছৈয়ালের স্ত্রী মালেকা বেগম বলেন, এক মাস বয়সী সন্তান সাব্বিরকে রেখে বিদেশে যায় তার বাবা। ছেলেটার বয়স এখন আড়াই বছর। বাবার কোলে তো আর চড়া হবে না, অন্তত বাবার মুখটা সে যেন শেষ বারের মতো দেখতে পারে সরকার যেন সেই ব্যবস্থা করে।
নিহত স্বপন ও মিলনের মা মুর্শেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সামনের ঈদে দুই ছেলের দেশে আসার কথা ছিল। ছোট ছেলে মিলনের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছিলাম। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।
তাদের বাবা আব্দুল কুদ্দুস ছৈয়াল বলেন, দুই ছেলেকে তো আর পাব না। তবে তাদের লাশটা যেন দ্রুত দেশে এনে মাটি দিতে পারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এটাই আমাদের দাবি।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment