সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অর্থ বেড়েছে ৬২ শতাংশ




সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে ৬২ শতাংশ বেড়েছে।






সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস
ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ব্যাংকস ইন
সুইজারল্যান্ড ২০১৩’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের অন্তত
৩৭ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ রাখা হয়েছে, যা প্রায় ৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা
তিন হাজার ১৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সমান।



এর আগে ২০১২ সাল শেষে
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংকেবাংলাদেশি
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২২ কোটি ৮৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত ছিল, যা
প্রায় ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৯০৮ কোটি টাকার সমান।





তবে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ
গচ্ছিত ছিল ২০০৭ সালে। ওই বছর সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশি ব্যক্তি ও
প্রতিষ্ঠানের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা দুই
হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এ বছরই সুইস ব্যাংকগুলোর বৈশ্বিক গ্রাহকেরা
সর্বোচ্চ দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ২১৭ লাখ কোটি টাকার
সমপরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছিল।

২০০৮ সালে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত
অর্থের পরিমাণ নেমে আসে ১০ কোটি ৭০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৮৯২ কোটি টাকায়। ২০০৯
সালে এটি কিছুটা বেড়ে হয় ১৪ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ২৪১ কোটি
টাকায়। ২০১০ সালে তা আরও বেড়ে হয় ২৩ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার
৯৬৮ কোটি টাকা। তবে ২০১১ সালে তা বেশ কমে হয় ১৫ কোটি ২৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা
এক হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।



সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয়
বিভিন্ন দেশের বিপরীতে ‘দায়’ অথবা ‘গ্রাহকের কাছে দেনা’ হিসাবের খাতে থাকা
অর্থকে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে রাখা
গচ্ছিত অর্থ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এতে দেখা যায়, গত বছর সারা দুনিয়া থেকে
সুইস ব্যাংকগুলোয় গচ্ছিত অর্থের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার
কোটি সুইস ফ্রাঁ বা এক লাখ ৪৮ হাজার কোটি ডলার। তার আগের বছর, ২০১২ সাল
শেষে এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় এক লাখ ৫৫
হাজার কোটি ডলার৷ সে বিবেচনায় বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থ খুবই অল্প।


অবশ্য বাংলাদেশি বা অন্য কোনো
দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্যের নামে কোনো অর্থ গচ্ছিত
রেখে থাকে, তাহলে তা এই হিসাবের মধ্যে আসেনি। আর তাই এই হিসাব সুইস
ব্যাংকে গচ্ছিত পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের পূর্ণ পরিমাণও নির্দেশ করে না।
একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ
সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক
দেশের নাগরিকই মূল্যবান শিল্পকর্ম বা দুর্লভ সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের
বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রেখে থাকেন।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment