ইরাকের অখণ্ডতা রক্ষা করতে কুর্দিদের প্রতি কেরির আহ্বান




মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইরাকের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য কুর্দিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের নেতাদের সাথে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। ইরাক সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে দেশটি সফর করছেন কেরি।
গতকাল মঙ্গলবার তিনি ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে পৌঁছেন। দেশটির টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যাওয়া ঠেকাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি সেখানে গেছেন। আগের দিন বাগদাদে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতার সাথে আলোচনা করেন কেরি। তিনি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি ও অন্য নেতাদের সাথে বৈঠককালে দেশটিতে সরকার গঠন প্রক্রিয়া জোরদারের আহ্বান জানান। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে কেরি বলেন, ইরাকি নেতৃবৃন্দ দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদপে নিলে ওয়াশিংটন ব্যাপক ও টেকসই সহায়তা দেবে। আর তখন তা হবে অধিক কার্যকর। তিনি বলেন, ‘ইরাকের ভবিষ্যতের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা মনে করেন ইরাকের অখণ্ডতা রক্ষায় কুর্দি নেতাদের বাগদাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকতে সম্মত করা জরুরি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা যদি বাগদাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাতে অনেক নেতিবাচক প্রবণতা সৃষ্টি হবে।
কুর্দি নেতারা স্পষ্ট করে বলেছেন, ইরাকের অখণ্ডতা রক্ষার প্রচেষ্টা এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। কেরির সাথে বৈঠকের শুরুতে কুর্দি প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি বলেন, আমাদের সামনে এখন নতুন এক বাস্তবতা ও নতুন এক ইরাক রয়েছে। এর আগে তিনি সহিংসতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির ভ্রান্ত নীতিকে দায়ী করেন এবং তার পদত্যাগ দাবি করে বলেন, ইরাকের অখণ্ড থাকার কথা চিন্তা করা কঠিন।
ন্যাটোর মন্ত্রীদের বৈঠক
ইরাক সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাগদাদের দিকে অগ্রসরমান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাককে ‘ব্যাপক’ সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার করার পর এ বৈঠক হয়। চলতি মাসের শুরুতে ন্যাটো প্রধান অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেন, ইরাকের ঘটনাবলির প্রতি জোট গভীর নজর রাখছে। তবে তিনি এও বলেন, সঙ্ঘাতের ঘটনায় তাদের কিছু করার নেই।
প্রধান তেল শোধনাগার দখল করল আইসিস
 দেশটির প্রধান তেল শোধনাগারটি দখল করেছে বলে দাবি করেছে আইসিস।
ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ ওই তেল শোধনাগারটি রাজধানী বাগদাদের উত্তরে সালাউদ্দিন প্রদেশের বেইজি শহরে অবস্থিত। এর আগে দলটি ওই তেল শোধনাগার দখলেরও জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালায় তারা। এ শোধনাগারটি দেশের পরিশোধিত জ্বালানি তেলের এক-তৃতীয়াংশের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দ্বারপ্রান্তে আইসিআইএস
ইরাকের বিদ্রোহীরা সিরিয়া সীমান্তের সব ক’টি এবং জর্দান সীমান্তের একটি সীমান্ত চৌকি দখল করে নিয়ে গোটা পশ্চিম সীমান্তে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দখলকৃত এলাকাকে নিয়ে তারা যে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাকে বাস্তব রূপ প্রদানে সক্ষম হয়েছে।
সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে সিরিয়া, জর্দান এমনকি সৌদি আরবে বিদ্রোহী তৎপরতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। জর্দান ও সৌদি আরব হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের অন্যতম।





Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment