আইএসআইএল-এর বর্বরতা: বন্দি সেনাদের নির্বিচারে হত্যা



আইএসআইএল- এর বর্বর সন্ত্রাসীরা ইরাকের
উত্তরাঞ্চলীয় সালাহউদ্দিন প্রদেশে তাদের হাতে বন্দি অন্তত এক হাজার সরকারি
সৈন্যকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে। বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে
এ নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও চিত্র ও ছবি অনলাইনে প্রকাশ করেছে।






সালাহউদ্দিন প্রদেশের প্রধান শহর তিকরিতের
একটি সেনা ঘাঁটি দখল করার পর এ পাশবিক হত্যাকাণ্ড চালায় তাকফিরি
সন্ত্রাসীরা। আইএসআইএল-এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে,
সেনাবাহিনীর পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকের শত শত যুবককে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে
যাচ্ছে মুখোশ পরিহিত বন্দুকধারীরা। এ সময় একজন সন্ত্রাসীকে বলতে শোনা যায়,
'সেনা ঘাঁটিতে এরা আত্মসমর্পন করেছে।'





স্থির চিত্রে দেখা যায়, শত শত যুবককে
ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব ছবির ক্যাপশানে আইএসআইএল লিখেছে, এদেরকে
মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর কিছু ছবিতে এসব হতভাগ্য সৈন্যর ওপর
ব্রাশ ফায়ার করতে দেখা যায়। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, শত শত যুবককে একটি খোলা
মাঠের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং দূরে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে গুলি করার
জন্য দাঁড়িয়ে আছে সন্ত্রাসীরা।





ইরাকের সেনা মুখপাত্র লে. জেনারেল কাসিম
আল-মুসাভি এসব ছবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, সালাহউদ্দিন প্রদেশে এ
বর্বরতা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তিনি বলেছেন, ছবিতে যতটা বর্বরতা প্রকাশ
পেয়েছে তার চেয়ে বহুগুণ পাশবিকতা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ইরাক থেকে একজন
সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ছবিগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে তা হবে ২০০৩ সালে ইরাকে
ইঙ্গোমার্কিন আগ্রাসনের পর সবচেয়ে পাশবিক বর্বরতা।





এমন সময় এসব সন্ত্রাসী আত্মসমর্পনকারী
সৈন্যদের নির্বিচারে হত্যা করল যখন তারা নিজেদের ইসলামপন্থি বলে দাবি করে।
অথচ তারা যে রাসূলের (সা.) অনুসারী বলে দাবি করে সেই মানবতার মুক্তির দূত
মক্কা বিজয়ের পর প্রাণের শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তিনি যাদের ক্ষমা
করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন রাসূলের চাচা হামজাকে হত্যা করে তার কলিজা
ভক্ষণকারী হিন্দা ও তার স্বামী আবু সুফিয়ান।




বিশ্বনবী (সা.) কখনো আত্মসমর্পনকারী শত্রু
বা বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অনুমতি দেননি। অথচ কথিত ইসলামিক স্টেট
অব ইরাক এন্ড দ্যা লিভেন্টের (আইএসআইএল) সন্ত্রাসীরা ইরাকি বন্দি সেনাদের
ওপর নির্বিচার গণহত্যা চালাল। যারা মানবতার এই শত্রুদের ইসলামপন্থি ভাবেন
তাদের ভুল ভাঙার জন্য এসব ছবি জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ হিসেবে কাজ করছে।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment