নাইজেরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে আর্জেন্টিনা।
অধিনায়ক লিওনেল মেসির জোড়া গোল ও মার্কোজ
রোজোর একমাত্র গোলে সুপার ঈগলদের বিপক্ষে ৩-২ এ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে
আলেসান্দ্রো স্যাবেলার শীর্ষরা। নাইজেরিয়ানদের পক্ষে জোড়া গোল করেন
স্ট্রাইকার আহমদ মুসা। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে গেলেও দ্বিতীয় রাউন্ডের
টিকিট পেয়ে গেছে নাইজেরিয়া।
বুধবার সালভেদরের অ্যারেনা ফন্তে নোভা
স্টেডিয়ামে তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মাসচেরানোর পাস থেকে ডি
বক্স ঢুকে জোরালো শট নিয়েছিলেন আনহেল দি মারিয়া। গোলরক্ষক ভিনসেন্ট এনিয়ামা
পরাস্ত হলেও বল জালে যায়নি, বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে সুযোগ পান
মেসি। দুইজন ডিফেন্ডার এগিয়ে এসেছিলে কিন্তু রুখতে পারেননি মেসিকে। জোরালো
শটে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। প্রতিযোগিতায় নাইজেরিয়ার জালে এটাই
প্রথম গোল।
গোল শোধ করতে বেশি সময় নেয়নি আফ্রিকার
চ্যাম্পিয়নরা। পরের মিনিটে বাঁ দিক থেকে কাটিয়ে ডি বক্সে ঢুকে ডান পায়ের
কোনাকুনি শটে সের্হিও রোমেরোকে পরাস্ত করেন মুসা।
৪৪তম মিনিটে মেসির চমৎকার একটি ফ্রিকিক ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন এনিয়ামা। কিন্তু দুই মিনিট পরের শটটি আর ঠেকাতে পারেননি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মেসিকে ফাউল
করায় ফ্রিকিক দেন রেফারি। রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে
দলকে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে নেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
মেসির শটে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন এনিয়ামা। ‘দেয়াল’ এর ওপর দিয়ে আসা বলটি দেখেন অনেক পরে। ততক্ষণে বল খুঁজে নেয় নাইজেরিয়ার জাল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৪৭তম মিনিটে আবার নাইজেরিয়াকে সমতায় ফেরান মুসা। ডি বক্স থেকে জোরালো শটে গোল করেন তিনি।
সমতা ফেরানোর আনন্দ বেশিক্ষণ টেকে নি
নাইজেরিয়া শিবিরে। ৫০ মিনিটে লাভেস্সির কর্নার থেকে গারায়ের হেড রোহোর পায়ে
লেগে জালে জড়ালে তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
৫৮তম মিনিটে রোহোর ক্রস লক্ষ্যে রাখতে
পারেনি মেসি। রাখতে পারলেই হ্যাটট্রিক হয়ে যেতো তার। এর পাঁচ মিনিট পর
অধিনায়ককে তুলে নেন সাবেইয়া।
এদিকে, প্রথম দুইটি ম্যাচ হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলেও আজ এফ গ্রুপের অপর খেলায় ইরানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা।
নকআউট পর্বে ওঠার ক্ষীণ সম্ভাবনা উজ্জ্বল
করতে ইরানের সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। তাই শুরু থেকে আক্রমাণত্মক ভঙ্গিতে
খেলতে থাকে ইরান। অন্যদিকে, নিজেদের অভিষেক আসরের শেষ ম্যাচটাতে জয়ের
টার্গেটে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে বসনিয়া।
২৩তম মিনিটে বসনিয়ার স্ট্রাইকার এডিন জেকো
প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে কিছুটা কোনাকুনি দৌড়ে ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের
জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম গোল। পাল্টা আক্রমণে
পরের মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত ইরান। কিন্তু ফরোয়ার্ড মাসুদ শুজাই’র শটটি
ক্রসবারে বাধা পায়।
৩১ মিনিটে ইরানের এহেসানের বাম পায়ের একটি শট গোল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে কোনো বিপদ হয়নি বসনিয়ার।
প্রথমার্ধে ১-০ তে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধে
শেষ করে বসনিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তীব্র আক্রমণ শুরু করে ইরান। ৫৯তম
মিনিটে মিরালেম পেনজিকের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে বসনিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯ মিনিটের সময় ইরানের
স্ট্রাইকারে ঘুচাননেজাদ একটি গোল পরিশোধ করেন। এর ঠিক ২ মিনিট পর
ভ্রাসাজেভিচের গোলে ব্যবধান ৩-১ করে নেয় বসনিয়া। জিতেও কোনো লাভ হলো না
বসনিয়ার৷ তারাও ইরানের পথ ধরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল।
সুত্র : রেডিও তেহরান
Disclaimer:
This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.
No comments:
Post a Comment