এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলই ফেবারিট। জিতলেই যষ্ঠবার। এ হবে তাদের জন্য বিরাট অর্জন। কোচ সোলারি নিজেও তার দল নিয়ে অনেক আশাবাদী। বিশ্বের তাবৎ বড় বড় বিশেষজ্ঞ এক বাক্যে বলেছেন, ব্রাজিলই এবার বিশ্বকাপ তাদের ঘরেই রেখে দেবে। এর পেছনে যুক্তির কোনো শেষ নেই। এবার মুখ তুলেছেন কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা। ব্রাজিলের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর ৭১ বছরের পেরেইরা মনে করেন, সেলেকাওদের ডিফেন্স হচ্ছে শক্তিশালী। তারা এই সৌন্দর্যমণ্ডিত ব্যাক লাইনকে সামনে রেখেই চলতি গ্রীষ্মে বিশ্বকাপ জয় করবে। এবং তারা ফেবারিট হিসেবে প্রমাণ করবে, বিশ্বকাপের জন্যই তাদের জন্ম। তিনি আরো যোগ করেন, থিয়েগো সিলভা ও ডেভিড লুইসের মূল্যমান ধরা হলে বলা যেতে পারে, ব্রাজিল ডিফেন্স সবচেয়ে দামি। এমনকি চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে গোল করা মার্সেলো নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। এই কারণে সোলারি তার দলের রক্ষণভাগের শক্তি নিয়ে সন্তুষ্ট এবং যা বিশ্বকাপে আলো ছড়াবে।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে পেরেইরা বলেন, মার্সেলো তো শেষ মুহূর্তে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে বোঝা যায় তিনি কোন মাপের ফুটবলার। আমরা তাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। ব্রাজিল দলের দিকে তাকালে দেখা যাবে কেমন চমৎকার একটি দল সেলেকাওরা। আমাদের রয়েছে সবচেয়ে দামি ও সেরা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। ম্যাকসওয়েলও আছেন। দলের সবাই নামীদামি ও মহান ফুটবলার। দলে আছে মহান স্ট্রাইকার। ফলে সাফল্য পাওয়ার জন্য দলটি মুখিয়ে আছে।
১৯৯৪ বিশ্বকাপে জয়ী কোচ পেরেইরা আরো বলেন, ব্রাজিল এবারের বিশ্বকাপে অবশ্যই ফেবারিট। তবে তা অর্জন করে নিতে হবে। আমরা বলি না যে, আমরাই জিতব। তবে এটা তো ঠিক যে আমরা ফেবারিট। ২০০১ বিশ্বকাপে শতকরা নব্বই ভাগ লোক বলেছিল যে, আর্জেন্টিনা অথবা ফ্রান্স বিশ্বকাপ জয় করবে। কিন্তু এ দু’টি দল গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি। ফেবারিটের তকমা আঁটা দলগুলো ম্যাচ বদলে দিতে পারে না। কারণ ফেবারিটকে মাঠে খেলতে হবে। এবং নিজেদের শক্তির স্ফূরণ ঘটিয়ে একের পর এক ম্যাচ জিততে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কোনো কিছুতেই অবাক হবো না। কারণ আমাদের জনগণ আমাদের সাহায্য করবে। কারণ ব্রাজিল কেমন দল তা নিয়ে তারা আলোচনা করে। এমনকি অন্য দলগুলোর ব্যাপারেও তারা খবর রাখে। প্রতিটি দলই প্রতিপক্ষের শক্তি সম্পর্কে অবহিত। আমরাও আমাদের গ্রুপ পর্বের দলগুলো নিয়ে কাজ করেছি। তবে এর বাইরে ১৬ দলের শক্তি সম্পর্কে আমরা ভালোই জানি। ফলে ভীত হওয়ার মতো কিছু নেই। এই অর্থে আমরাও অবাক নই। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে ফইনালে উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিল পরাজিত হয়েছিল। সেই বেদনাদায়ক অধ্যায়ের পর আবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয়েছে। এই ব্যাপারে পেরেইরা বলেন, বর্তমান দলের সবাই সেই দুঃখজনক অতীতকে পেছনে ফেলে মারাকানা স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস নির্মাণের জন্য বদ্ধপরিকর। অতীত ও বর্তমান প্রেক্ষপট ভিন্ন। আমরা এর আগে পরাজিত হয়েছি। এবং আবার পরাজিত হতে চাই না। ব্রাজিলের ফুটবলারেরা তাদের ফ্যানদের কাছ থেকে এত ভালোবাসা পায়, যা অতুলনীয়। ২০১৩ কনফেডারেশন কাপে ব্রাজিল দল তার সমর্থকদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছিল বিশ্বকাপেও তা পাবে।
Disclaimer:
This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.
No comments:
Post a Comment