২৭ বছর আগে চীন থেকে কেনা ডিএফ-তিন মডেলের এইসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মত গত বুধবার (২৯ এপ্রিল) ইরাক ও কুয়েত সংলগ্ন সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর 'হাফার আল বাতিন'-এ এক সামরিক কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হয়।
এইসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হল দুই হাজার
৬৫০ কিলোমিটার। প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র দুই হাজার ১৫০ কেজি বিস্ফোরক বহনে
সক্ষম এবং তা এক থেকে তিন মেগাটন মাত্রার একটি পরমাণু বোমায় সজ্জিত।
এই সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন
শীর্ষস্থানীয় সৌদি সেনা কর্মকর্তারা এবং সৌদি যুবরাজ ও উপপ্রধানমন্ত্রী
সালমান বিন আবদুল আজিজ। পাকিস্তানের সেনা প্রধান রাহিল শরিফ ছাড়াও
বাহরাইনের রাজা হামাদ এবং আবুধাবির যুবরাজ শেখ মুহাম্মাদ বিন জায়েদও এই
অনুষ্ঠানে সৌদি সেনাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। সৌদি রাজা 'আবদুল্লাহর তরবারি'
শীর্ষক সামরিক মহড়া শেষ করা হয় এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
ইসরাইলি গোয়েন্দা সংবাদ মাধ্যম
'দেবকাফাইল' এ ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছে, এই ঘটনার মাধ্যমে
সৌদি সরকার ইরানের সঙ্গে অস্থায়ী পরমাণু সমঝোতা ও আলোচনায় মশগুল ওয়াশিংটনের
কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছে। এ ঘটনা এটাও তুলে ধরেছে যে,
সৌদি সরকার পরমাণু ক্ষেত্রে এখন কেবল আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং রিয়াদ
পাকিস্তান ও চীনের সহায়তা নিয়ে তার নিজস্ব পারমাণবিক বাহিনী গড়ে তুলেছে।
১ মে (রেডিও তেহরান)
No comments:
Post a Comment