মার্চ
মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে
সে খবর পরিবেশন করে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস নিজ ওয়েবসাইটে। সাদামাটা খবর।
গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ, ভূমিকম্প কোথায় ও কখন আঘাত হেনেছে, মাত্রা এবং
বিস্তৃতি কি ছিল – এ সব তথ্য নির্ভুল ভাবে পরিবেশিত হয়েছে খবরে। চমক ছিল
শেষ বাক্যে- ‘এ খবরটি লেখকের বানানো অ্যালগোরিদম বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম
ব্যবহার করে লেখা হয়েছে।’ পাঠকরা যখন বুঝতে পেরেছেন খবরটি কম্পিউটার লিখেছে
তখন তারা বিশেষ ভাবে মনোযোগ দিয়ে পুনরায় খতিয়ে দেখেছেন প্রায় তিনশ’ শব্দের
খবরটি।
কিন্তু অনেক পাঠকই জানেননা আজকাল কম্পিউটার ব্যবহার করে
বেশ কিছু খবর লেখা হচ্ছে। বিখ্যাত ফোর্বস সাময়িকী ‘ন্যারেটিভ সায়েন্স’
নামের একটি কোম্পানির সহায়তায় মার্কিন কর্পোরেটগুলো আয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন
তৈরি করছে। এ প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রামের ভিত্তিতে।
শিকাগো-ভিত্তিক
এ কোম্পানির সহায়তা নিয়েছে প্রোপাব্লিক নামের একটি ওয়েব সাইট। প্রোপাব্লিক
শিক্ষার সম-সুযোগ নিয়ে কাজ করার জন্য একই কোম্পানির সহায়তায় তৈরি করেছে
একটি নিউজ অ্যাপ্লিকেশন।
ভূমিকম্পের খবর পরিবেশনের জন্য যে
প্রোগ্রাম ব্যবহার হয়েছে তার নাম কুইকবোট। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস খবর
পরিবেশনের জন্য এ রকম আরো ‘যন্ত্রমানব’ ব্যবহার করছে। একই দৈনিকের ওয়েব
সাইট নিয়মিত খুনের খবর পরিবেশন করছে ‘যন্ত্রমানবের’ মাধ্যমে।
এ
সব খবর লেখা অনেকটা শূন্যস্থান পূরণের মতো বিষয় হয়ে উঠেছে। সুনির্দিষ্ট
ঘটনার কিছু তথ্য যোগ করলেই খবরটি পরিবেশনের উপযোগী হয়ে ওঠে। কিন্তু কোনো
যন্ত্রমানবই আজ অবধি ২০০০ শব্দের সৃজনশীল নিবন্ধ লিখতে পারেনি। অদূর
ভবিষ্যতে তা পারবে বলেও মনে হয় না।
যন্ত্রমানব দিয়ে খবর তৈরি
সংক্রান্ত একটি সমীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুইডেনের কার্লস্টাড
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস্টার ক্লেয়ারওয়াল। তিনি বলেন, যন্ত্রমানব বা
কম্পিউটার প্রোগ্রাম শেষপর্যন্ত সাংবাদিকের জায়গা দখল করে নেবে? না তা
আপাতত হচ্ছে না।
সৃজনশীল সাংবাদিকতায় যারা জড়িত তাদের এখনো ভয় পাওয়ার বা চাকরি বদল করার সময় আসেনি।
৯ মে (রেডিও তেহরান)
No comments:
Post a Comment