৪ ইসরাইলি সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে তুরস্কে আটকাদেশ জারি




২৭ মে (এন জি ও আর জি) : ২০১০ সালে গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজে
নৃশংস হামলার দায়ে সাবেক চার ইসরাইলি সেনা কমান্ডারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি
পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্কের একটি আদালত। একজন আইনজীবী জানিয়েছে, এ চার
সাবেক সেনাপ্রধানকে ধরে আনার জন্য আদালত আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা
জারি করার জন্য ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাইবে।






ওই চার সাবেক কমান্ডার হলেন- ইসরাইলি
সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ গ্যাবি আশকেনাজি, সাবেক নৌপ্রধান এলিযের
ম্যারোম, সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান অ্যামোস ইয়াদলিন ও সাবেক
বিমান গোয়েন্দা প্রধান অ্যাভিশাই লেভি।





২০১০ সালের ৩১ মে অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী
ত্রাণবাহী জাহাজ মাভি মারমারায় হামলা চালায় ইসরাইল। সব আন্তর্জাতিক আইন
লঙ্ঘন করে চালানো ওই হামলায় নয়জন তুর্কি ত্রাণকর্মী নিহত হন। এ পাশবিক
হামলা চালানোর অপরাধে তৎকালীন চার ইসরাইলি সেনা কমান্ডারের বিরুদ্ধে মামলা
করে নিহতদের পরিবারগুলো। আসামিদের অনুপস্থিতিতেই ২০১২ সালে এ মামলার শুনানি
শুরু হয়। তুরস্কের সরকারি কৌঁসুলিরা চার ইসরাইলি কমান্ডারের যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড চেয়েছেন।





আন্তর্জাতিক সমাজ মাভি মারমারায় হামলার
তীব্র নিন্দা জানায় এবং তেলআবিব ও আঙ্কারার মধ্যে তীব্র কূটনৈতিক টানাপড়েন
তৈরি হয়। তুরস্ক থেকে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার
ব্যাপারে তেল আবিবের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে আঙ্কারা। গাজা
উপত্যকার ওপর ইসরাইলি কঠোর অবরোধ তুলে নেয়ারও আহ্বান জানায় তুরস্ক।




তবে ইহুদিবাদী ইসরাইল তুরস্কের এসব আহ্বান
প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার
অনুরোধে আঙ্কারার কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চায় তেল আবিব। এরপর মাভি মারমারায়
হামলার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেয়ার আলোচনা শুরু করে তুরস্ক ও ইসরাইল। সে আলোচনা
এখনো চলছে।


২৬ মে (রেডিও তেহরান)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment