স্বল্প আয়ের বাংলাদেশীরা এমআরপি পাসপোর্ট পাবেন




সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী কম আয়ের বাংলাদেশীরা এখন প্রত্যন্ত এলাকায় বসে হাতে লেখা পাসপোর্ট বদলে মেশিল রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সংগ্রহের কাজ করতে পারবেন। এ জন্য তাদেরকে আর অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে, সময় নষ্ট করে দূতাবাসে আসতে হবে না। ইউএই এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এ বিষয়ে গতকাল একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ চুক্তির অধীনে ইউএই এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশীদের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনলাইনে এমআরপি আবেদন ফরম পূরণের সুবিধা দেবে। একই সঙ্গে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদনও করা যাবে। আর চূড়ান্ত দফায় দূতাবাসে তাদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি তারিখের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন। এর ফলে স্বল্প আয়ের মানুষদের অনেক উপকার হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেছেন, দূতাবাসে যাতে আমাদের শ্রমিকদের চাপ কমানো যায় সে জন্য ব্যতিক্রমী এ পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা পরীক্ষামূলকভাবে। এ সব শ্রমিক বারবার এমআরপি সংগ্রহের জন্য দূতাবাসে আসা-যাওয়া দিয়ে অনেক অর্থ ও সময় নষ্ট করেন। তার সঙ্গে তাদের ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ওপর বাড়ে চাপ। সেই চাপকে সহজ করার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে নেয়া হলো এ পদক্ষেপ। ইউএই এক্সচেঞ্জের এক কর্মকর্তা সুধীর কামুর শেঠী বলেছেন, আমাদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতে গেলে বাংলাদেশীরা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলা লোক পাবেন। তারাই তাকে এমআরপি ফরম পূরণে সহায়তা করবেন। ফরম পূরণ হয়ে গেলে আমাদের প্রতিনিধি তাকে একটি বার কোড দেবেন। সেই কোড নিয়ে তাকে যেতে হবে দূতাবাসে। ফি জমা দেয়ার এক থেকে দু’ সপ্তাহের মধ্যে তাকে দূতাবাসে ডাকা হবে বায়োমেট্রিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে। তবে এমআরপি পেতে কোন ব্যক্তি সরাসরি নিজে অথবা ইউএই এক্সচেঞ্জের যার মাধ্যমেই যান না কেন তাকে সঙ্গে নিতে হবে হাতে লেখা পাসপোর্ট। এক্ষেত্রে আমরা তাদের নিয়োগকারী কোম্পানিকে পাসপোর্ট তার হাতে তুলে দিতে অনুরোধ করবো, যাতে তিনি পাসপোর্টটি নবায়ন করতে পারেন।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment