প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জন্ম যাদের অবৈধ তারা সব কিছুতেই অবৈধ দেখে। যারা সরকার নিয়ে বৈধতার প্রশ্ন তুলছে, তারাই কি বৈধ? জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় উত্তরণ করল। জিয়াউর রহমান কারফিউ দিয়েছিল। কোন গণতন্ত্র দিয়েছিল। কারফিউ গণতন্ত্র? তিনি যে দল গঠন করেছিলেন সেটাই তো অবৈধ।
আজ শনিবার বিকেলে ৪টার দিকে জাপান সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেয়া। মানুষ মারা হয়েছে। যারা হত্যা করে নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। তারা কি আবার ডিক্টেটরশিপ আনতে চেয়েছিল। নির্বাচনে ৪০ ভাগ ভোট পড়েছিল। তাই কেন এর বৈধতা হবে না। আজ পর্যন্ত একটা সরকার দেখান যারা গণতন্ত্র রক্ষা করে সরকার পরিচালনা করতে পেরেছে। আমরা পেরেছি।
তিনি বলেন, আগের সরকার কেউ ল্যান্ড বাউন্ডারি ঠিক করতে পারে নি। আমরা ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করেছি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এতে বাধা দিয়েছেন। তাই থেমে গিয়েছিল। আমরা তো শুরু করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তো দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলি। কিন্তু বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতো কিছু বলতেই পারে না। খালেদা জিয়া তো ভারতে গিয়ে গঙ্গা চুক্তির কথা ভুলেই গেছিলেন।
ভারতের সাথে চুক্তি নিয়ে অনেকের অনেক রকম মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এ চুক্তিকে দেশ বিক্রির চুক্তি বলেছিল তারাই এখন দাবি করেন এ চুক্তি বাস্তবায়নের। বুঝলি না ফেলি বুঝবি দিন গেলি।
২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের বৈধতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যারা সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করে তাদের বৈধতা কী?
যুদ্ধপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে শেথ হাসিনা বলেন, যুদ্ধপরাধীদের বিচার আমরাই শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধুও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা বিচার শুরু করেছি। আমরাই শেষ করব। আমেরিকার জন কেরি আমাকে বলেছিলেন যেন কাদের মোল্লার ফাঁসি না হয়। কিন্তু আমি ভয় পাইনি। এমন পরিস্থিতে আর কে সাহস করত কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যাই এমন সাহস দেখাতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুদের সংবর্ধনা ক্রেস্টে স্বর্ণ কম বেশি নিয়ে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কথায় আছে স্বর্ণকার মায়ের গহনা বানালেও সেখান স্বর্ণ চুরি করে।
জাপান সফর সফল হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরে জাপানের সাথে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। জাপান সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে জাপান।
শেখ হাসিনা বলেন, জাপানে বাংলাদেশী শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, জাপানের সাথে আলোচনায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভিজ্ঞতা শেয়ারের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি বৃদ্ধি, পররাষ্ট্র বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য চট্টগ্রামে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন তৈরি ও ব্যবসা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রধানমন্ত্রী। ২৪ মে দিনগত রাত ১২টায় চারদিনের সরকারি সফরে জাপান যান প্রধানমন্ত্রী। সফরে তার সফরসঙ্গী ছিলেন ১০৯ জন। সফরকালে জাপানের সম্রাট আকিহিতো এবং প্রধানমন্ত্রী শিন জো অ্যাবের সাথে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া এ সফরে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তিও সই হয়।
Disclaimer:
This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.
No comments:
Post a Comment