মাঠে নামছে বিএনপি : দাবি আগাম নির্বাচনের




আগাম নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই নতুন নির্বাচন চায় তারা। এ নিয়ে প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও প্রস্তুত দলটি। পাশাপাশি আন্দোলনের জন্যও রোডম্যাপ তৈরির কাজ চলছে। আলোচনার পথ ভেস্তে গেলে আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায়ের পথে যাবে বিএনপি ও এর নেতৃত্বে ১৯ দলীয় জোট। রমজানের মধ্যেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর পুনর্গঠন কাজ শেষ করে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে এখনো আগের অবস্থানেই রয়েছেন দলটি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায় তারা। অবশ্য আলোচনা হলে সংকট উত্তরণ করাও অসম্ভব হবে না বলে দলের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন।

আগাম নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন কীভাবে হতে পারে তা নিয়ে আলোচনায় তার দল প্রস্তুত। সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপায় বের করা সম্ভব। কারণ ৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন অবিলম্বে দরকার। দেশের জনগণের মধ্যে আস্থার যে সংকট তৈরি হয়েছে তার একমাত্র সমাধান প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন। আলোচনার মাধ্যমেই সংকট থেকে উত্তরণের পথ বেরিয়ে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আলোচনার কোনো ইঙ্গিত নেই। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, ৫ ভাগ ভোটাধিকার নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে না। সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশে নানামুখী চাপে পড়েছে সরকার। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। সম্প্রতি এক সিনিয়র নেতা গুলশান কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে এমনই আভাস দেন। ওই নেতাকে তিনি বলেন, সময় আসছে_ মধ্যবর্তী নির্বাচন দেওয়া ছাড়া সরকারের কোনো বিকল্প থাকবে না। এ জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন বিএনপি প্রধান। এ সময় মূল দল ও অঙ্গসংগঠনগুলোকে শীঘ্রই গোছানোর কথাও আলোচনায় আসে। 

১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া নিয়ে সম্প্রতি উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এ নিয়ে সরকারের ভিতরে-বাইরে নানা আলোচনা চলছে। সরকারের মন্ত্রীরা সভা-সমাবেশে এখনো বলছেন, তারা পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় থাকবেন। একদিন আগেও তারা ক্ষমতা ছাড়বেন না। তবে সরকারের ভিতরে ভিন্ন আলোচনাও চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নীতিনির্ধারকরা চান, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক। এমন কোনো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, যাতে তৃতীয় কোনো পক্ষ ফের ক্ষমতায় আসে। তাহলে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিকে আবারও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। এটা চান না বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণে নতুন নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সরকার যত বেশি দেরি করবে, দেশে ততই সমস্যা বাড়বে। আশা করি, সরকার বুঝতে পারছে, দেশ কোন দিকে যাচ্ছে। আর যদি সরকার নির্বাচনের পথে না যায়, তাহলে আমাদের আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প কিছু থাকবে না। সেজন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

No comments:

Post a Comment