বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি-বিজিপির মধ্যকার উত্তেজনার আড়ালে মিয়ানমার
কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানদের সেদেশ থেকে বিতাড়নের নতুন ষড়যন্ত্র শুরু
করেছে।
গত ২৮ মে নাইক্ষংছড়ি সীমান্তে গুলি করে বিজিবি নায়েক মিজানুর রহমানকে হত্যা
করে লাশ ফেলে রাখার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহ হস্তান্তর নিয়ে
উভয়পক্ষের মধ্যে জটিলতার কারণে ৩০ মে একই সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত
বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এরপর মঙ্গলবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে
নতুন করে গুলিবর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়।
সীমান্ত উত্তেজনার সূত্রপাত প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা এডুকেশন ডেভলপমেন্ট
প্রোগ্রামের সেক্রেটারী জনাব জমির উদ্দিন মংডু এলাকা থেকে টেলিফোনে জানান, গত মাসে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও)
সদস্যদের সাথে সরকারি বাহিনীর দু’দফা সংঘর্ষের পর মিয়ানমার সীমান্তে
গোলাগুলি করে বাংলাদেশকে দায়ী করার চেষ্টা করে সরকার।এ সব উত্তেজনার আড়ালে
মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে মুসলমান পুরুষদের জড়ো করতে
শুরু করে। বিশেষ করে মুসলিম রোহিঙ্গা অধ্যুষিত আকিয়াব জেলার মংডু সেক্টরে
গ্রাম্য চেয়ারম্যানদের (হোক্কাটা) সেনাবাহিনী হুকুম দিয়েছে, তারা যেন প্রতি
গ্রাম থেকে পাঁচশ' করে রোহিঙ্গাকে প্রস্তুত রাখে। এ নিয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে
নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জমির উদ্দিন আরো জানান, সীমান্তবর্তী
গ্রাম থেকে শতাধিক রোহিঙ্গাকে জোরপূর্বক আর্মি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া
হয়েছে এবং তাদেরকে দিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে জোড়পূর্বক কাজ করিয়ে নেয়া
হচ্ছে। তাছাড়া মুসলিম মহিলাদের ওপরও নির্যাতন চলছে।
গত তিন দিন ধরে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায়
বাংকার খনন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মালামাল
পরিবহনের কাজে এসব মুসলমান রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ করা হচ্ছে।
আরেকটি উদ্বেগজনক খবর হলো, মিয়ানমার
কর্তৃপক্ষ রাখাইনদের নিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে 'নাইন সিক্স নাইন' নামে একটি
সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেছে। এ সংগঠনটিকে রোহিঙ্গা নিপীড়নসহ বিভিন্ন
ধরনের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সুত্র: (রেডিও তেহরান)
Disclaimer:
This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.
No comments:
Post a Comment