বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পর্তুগালকে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মানি। তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দারুণ এই জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন গত আসরের গোল্ডেন বুট জয়ী টমাস মুলার। ম্যাচের ১২, ৪৫ ও ৭৮তম মিনিটে গোল তিনটি করেন মুলার। এবারের আসরে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক। বিজয়ী দলের পক্ষে অপর গোলটি করেন মাটস হুমেলস।
সোমবার সালভাদরের আরেনা ফন্তে নোভায় ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল জার্মানি। পর্তুগালের গোলরক্ষক রুই পাত্রিসিওর মারাত্মক ভুলে বল পেয়েছেলিন সামি খেদিরা। তবে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার।
দশম মিনিটে ডি বক্সে মারিও গোটজেকে পর্তুগালের ডিফেন্ডার জোয়াও পেরেইরা ফেলে দিলে পেনাল্টি দেন রেফারি, সঙ্গে তাকে হলুদ কার্ড।
২০১০ সালের গোল্ডেন বুট জয়ী টমাস মুলারের সফল পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় জার্মানি।
২৫তম মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম সত্যিকারের সুযোগটি পেয়েছিল পর্তুগাল। তবে নানির দুরপাল্লার শটটি অল্পের জন্য লক্ষভ্রষ্ট হলে হতাশায় পুড়তে হয় পর্তুগালের।
৩১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করে জার্মানি। মেসুত ওজিলের চমৎকার পাসটি গোটজেকে দিতে একটু দেরি করেছিলেন খেদিরা। ততক্ষণে জায়গা মতো পৌঁছে যান ব্রুনো আলভেস। গোটসের জোরালো শট কর্নারের বিনিমিয়ে রক্ষা করেন এই ডিফেন্ডার।
খুব একটা লাভ হয়নি তাতে। সেই কর্নার থেকেই গোল করে ব্যবধান বাড়ান মাটস হুমেলস। টনি ক্রুসের কর্নার থেকে এই ডিফেন্ডারের হেডে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
পাঁচ মিনিট পর পাওলো বেন্তার দলের জন্য আরো বড় আঘাত। পেপে মেজাজ হারানোয় ১০ জনের দলে পরিণত হয় পর্তুগাল।
মুলারের মুখে হাত লেগেছিল পেপের। তাতে চোখমুখ ঢেকে বসে পড়েন জার্মান ফরোয়ার্ড। রেগেমেগে পেপে নিচু হয়ে হালকা গুতো দেন মুলারের মাথায়। মুলার উঠে গিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পেপেও ছাড়ার পাত্র নন। শেষে রিয়াল মাদ্রিদের মেজাজি এই ডিফেন্ডারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর রক্ষণেই বেশি মনোযোগ দিতে হয় পর্তুগালকে। কিন্তু তারপরও তৃতীয় গোলটি আদায় করে নেয় জার্মানি। গোলটিতে আলভেসের দায় কম নয়।
৪৫তম মিনিটে ক্রুসের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা মুলারের পায়ে তুলে দেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার ব্রুনো আলভেস। সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করেননি বায়ার্ন মিউনিখ তারকা মুলার। নিখুঁত লক্ষ্যভেদে ব্যবধান আরো বাড়ান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ওজিলের সামনে। একা পেয়েও গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি আর্সেনাল তারকা। ফিরতি বল থেকে পেয়েছিলেন মুলার।কিন্তু তার হেড বার উচিয়ে চলে গেলে হ্যাটট্রিকের সুযোগটি নষ্ট হয়ে যায়।
৬৯ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন গোটজে। আন্দ্রে শুরলের পাস বিপজ্জনক জায়গায় খুঁজে পেয়েছিল তাকে। বল নিয়ন্ত্রণে নিতে একটু দেরি করেছিলেন গোটজে। ততক্ষণে দুজন ডিফেন্ডার চলে আসেন আর তার শটটিও চলে যায় বাইরে।
তবে গোলরক্ষকের ভুল ৭৮তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয়ে যায় মুলারের।
Disclaimer:
This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.
No comments:
Post a Comment