আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের হাতে সিরিয়ার ২০০ কুর্দি অপহৃত





সিরিয়ায় লড়াইরত বিদেশি মদদপুষ্ট ব্রিদোহী

সিরিয়ায় তৎপরত বিদেশি মদদপুষ্ট কথিত
ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্যা লিভ্যান্ট বা আইএসআইএল সন্ত্রাসীরা ২০০
কুর্দি বেসামরিক নাগরিককে অপহরণ করেছে। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়
আলেপ্পো প্রদেশ থেকে এসব কুর্দি নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে।






ব্রিটেনভিত্তিক কথিত মানবাধিকার গোষ্ঠী
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পো প্রদেশের কাবাসিন
শহর থেকে আইএসআইএল সন্ত্রাসীরা ১৯৩ জন কুর্দি নাগরিককে অপহরণ করে। অপহৃতদের
বয়স ১৭ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।





সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের
পরিচালক রামি আব্দুর-রহমান বলেছেন, কুর্দি নাগরিকদের অপহরণের কারণ স্পষ্ট
নয় তবে এ ধরনের ঘটনা ওই এলাকায় বার বার ঘটছে। এলাকাটি অনেক দিন ধরেই
আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।






৩১ মে (রেডিও তেহরান)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

কম্পিউটারে হৃদয়,মন ও মস্তিস্কের সব তথ্য আপলোড করতে পারবে মানুষ




কম্পিউটারে হৃদয় মন সব আপলোড করে অমরত্ব পাবে মানুষ। এমনটিই বিশ্বাস বর্তমান তুখোর সব প্রযুক্তিবিদ ভবিষ্যত্বাদীদের। লাইভ সায়েন্স-এ প্রকাশিত এক সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে।



মস্তিষ্কভিত্তিক কম্পিউটার তৈরিতেও অনেকখানি এগিয়ে গেছেন এ সব প্রযুক্তিবিদরা। একে তারা বলছেন ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) । এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ককলিয়ার ইমপ্লান্টকে বিশেষ ইলেকট্রোডের সহায়তায় জুড়ে দেয়া হয় কম্পিউটারের সঙ্গে। কিছুদিন আগে এ ধরনের একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে জন্ম বধির এক ব্যক্তি নাকি প্রথমবারের মতো শব্দ শুনতে পান।

অনেক বিজ্ঞানী আবার বিসিআইকে মেরুদণ্ড শুকিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে ব্যবহার করছেন।



এ মতবাদে বিশ্বাসী একদল ক্ষ্যাপাটে (!) বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ সম্প্রতি একত্র হয়েছিলেন গ্লোবাল ফিউচার ২০৪৫ ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেসে। সম্মেলনের উদ্যোক্তা রুশ বিলিয়নেয়ার দিমিত্রি ইতসকভ। পুরোদস্তুর বিজ্ঞান আর কল্পবিজ্ঞান জগতের মাঝামাঝি তার বিচরণ। সম্মেলনে আরো হাজির ছিলেন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সব নেতারা।



ইতসকভ আর তার দল বলছে, খুব বেশি দিন নেই যখন কম্পিউটার মানুষের দেহের সব দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করবে। উল্টোটাও একইভাবে সম্ভব।



মানুষের মস্তিষ্কের বহুমুখী ক্ষমতাকে কম্পিউটারের নির্ভুলতার সঙ্গে যোগ করলে তা যে মানুষের চেয়ে অধিক শক্তিশালী হবে; তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কে না চায় আজীবন বাঁচতে? মানব দেহ খুব জোর ১০০-১৫০ বছর আপনাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে।



কিন্তু আপনার মস্তিষ্ক যদি কম্পিউটারের সাহায্যে বেঁচে থাকে, সেটি কি নতুন জীবন নয়? সেই মস্তিষ্কনির্ভর কম্পিউটারকে কে মারবে?



ইতসকভ ও অন্য ট্রান্সহিউম্যানিস্টরা সিঙ্গুলারিটিকে ধরছেন ডিজিটাল অমরত্ব হিসেবে। তাদের মতে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যধারা ও মনের অলিগলি এখনই কম্পিউটারে অল্প পরিমাণে হলেও ধরা সম্ভব হচ্ছে।



কয়েক বছরের মধ্যে প্রযুক্তি দিয়েই মানুষের সব চিন্তাধারার প্রক্রিয়াকে আবেগের সংমিশ্রণসহ হয়তো কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে আপলোড করা সম্ভব হবে। তাতে জৈব দেহের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে মানুষের।



এ মুহূর্তে ইতসকভ বাহিনীর এ ধারণাকে কল্পবিজ্ঞান মনে হতে পারে। তবে স্নায়ুবিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য উন্নতির কল্যাণে মস্তিষ্কের কার্যক্রম রেকর্ড করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্কের আংশিক পুনর্গঠনেও সফল হয়েছেন তারা।



কার্জওয়েলের অন্যতম পরিচয় তিনি গুগলের প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক। তার মতে, ২০৪৫ সালের মধ্যেই ক্ষমতায় মানুষের মস্তিষ্ককে ছাড়িয়ে যাবে প্রযুক্তি।



সৃষ্টি হবে নতুন ধরনের অতি বুদ্ধিমত্তার, যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন সিঙ্গুলারিটি। অন্য বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২১০০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করবে রোবট।



মুরের নীতি অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর অন্তর কম্পিউটিং ক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। এদিকে বেশকিছু প্রযুক্তির কল্পনাতীত উন্নতি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জেনেটিক সিকোয়েন্সিং ও ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ।

কার্জওয়েল বলেন, অতি রক্ষণশীল হিসাব অনুযায়ী মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে ১০০ কোটি গুণ বাড়ানো সম্ভব।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

প্রাচীন পৃথিবীতে এলিয়েন আগমনের ছবি সহ বিতর্কিত কিছু প্রমাণ


বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। প্রতিদিনই বিজ্ঞান যেভাবে এগিয়ে চলেছে সেরকম ইতিহাসে আর কখনোই হয় নি। কিন্তু তারপরও এই পৃথিবীর বুকেই এরকম অনেক জিনিস বা ঘটনা আছে যেগুলোর কোন যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। সেরকমই কিছু যুক্তির বাইরের জিনিস নিয়ে এ আয়োজন ।



আজকের আয়োজনে তুলে ধরা হলো এমন কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের কথা, যেগুলো নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ দেয় প্রাচীন পৃথিবীতে ভিনগ্রহবাসী প্রাণীদের আগমনের। তালিকায় আছে প্রাচীন রকেট হতে শুরু করে প্রাচীন মহাকাশচারী মূর্তি, এমনকি এলিয়েনের মমি পর্যন্ত! পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীদের বড় একটা অংশ প্রতিনিয়ত মাথা ঘামিয়ে যাচ্ছেন এসব নিয়ে। এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেন নি গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা। সব কিছু একটি দিকেই নির্দেশ করে- এলিয়েনরা এসেছিল, প্রাচীন মানুষদের সাথে অত্যন্ত ভালো যোগাযোগ ছিল তাদের!



(১)মমিটি কি এলিয়েনের?



























প্রচ্ছদে যে মমিটির ছবিটি দেখছেন সেটা পাওয়া যায় মিশরের লাহুনে। অদ্ভুত আকৃতির এই মমিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ থেকে ১৬০ সেন্টিমিটার। এটা দ্বিতীয় সিনুসরেটের রাজত্বকালের সময়কার হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। মমিটির বয়স প্রায় ২০০০ বছর। কিন্তু এটা কি মানুষ? নাকি এলিয়েন? এই প্রশ্নের সদুত্তর এখনো জানা নেই কারো।



(২)১১০২ সালের মহাশূন্যচারী!





































স্পেনের সালামানকা শহরে একটি গির্জা নির্মিত হয় ১১০২ সালে। সেই হিসেবে এটাকে বিশ্বের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি হিসেবে ধরা যায়। গির্জার পাথরের দেয়াল খোদাই করে নানা রকম সুন্দর নকশা আঁকা হয়েছিল। কিন্তু এর মাঝেই খুব অদ্ভুত এক নকশা যে কাউকে চমকে দেবে। নকশাটি হচ্ছে একজন মহাশূন্যচারীর! আরো অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, এই মহাশূন্যচারীর আপাদমস্তক আধুনিক মহাশূন্যচারীদের পোশাকের মত পোশাকে ঢাকা। এমনকি পায়ের জুতোর তলা পর্যন্ত। কেউ জানে ১২শ শতাব্দীর একটি গির্জার দেয়ালে বিংশ শতাব্দীর নভোচারীর নকশা কিভাবে এলো?



(৩) নাজকা লাইনের অদ্ভুত নকশা







































পেরুর নাজকা লাইনের এই ছবিটি দেখুন। দুজন মানুষ যেন আকাশ থেকে নেমে আসা কোন ভিনগ্রহের যানের প্রতি সম্মান জানাচ্ছে। আসলেই কি তাই?



(৪) ২৫০০ বছর আগের রকেট!



























তুরস্কের ইস্তানবুলে পাওয়া যাওয়া প্রাচীন এ নিদর্শন কি প্রাচীন যুগের এক
আসন বিশিষ্ট মহাশূন্যযান বা স্পেস-শিপের নিদর্শন? ইস্তানবুলের
প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘরে বহুদিন যাবৎ এ নিদর্শনটিকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এটাকে টপরাক্কেল শহর থেকে উদ্ধার করা হয়। ২৫০০ বছর আগে উরারটু শাসনামলে এ
শহরটি টুস্পা নামে পরিচিত ছিল। যাদুঘরের তত্ত্বাবধানকারী এটাকে ‘ভুয়া’ মনে
করেন। কারণ উরারটু যুগের অন্য প্রাচীন নিদর্শনের সাথে এটার মিল নেই। তার
উপর এটা দেখতে মহাশূন্যযানের মত!



(৫)বাল্টিক সাগরের নিচে এই জিনিসটি কি?





























২০১১ সাল। বাল্টিক সাগরের একদম নিচে ‘ভিন্ন গ্রহের যান” এর মত দেখতে একটি
অদ্ভুত জিনিস পাওয়া যায়। এটা বহু মানুষের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে। কেউই
বুঝতে পারছিলেন না জিনিসটি কি। সুইডেনের গবেষকরা সমুদ্রে গভীরে অভিযান
চালান কিন্তু সেটা আরো বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়। কারণ, এ জিনিসটি ৩০০ মিটার
লম্বা একটি দাগের শেষ প্রান্তে ছিল, যেটা দেখে মনে হয় এই রহস্যময় জিনিসটি
এতটকু পথ অতিক্রম করে এখানে এসেছে থেমেছে। বেশির ভাগ বিজ্ঞানীর ধারণা এটা
ক্রাশ ল্যান্ড করা একটি স্পেসশীপ!





Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ধর্ষণের পর গাছে ঝুলিয়ে হত্যা: ক্ষোভে উত্তাল উত্তর প্রদেশ, গ্রেফতার ৩




ভারতের উত্তর প্রদেশের বদায়ূঁতে দুই দলিত
কিশোরীকে গণধর্ষণের পর গাছে ঝুলিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে
পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ ও
বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে অবশেষে এক পুলিশসহ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। বাকি চারজন এখনও পলাতক।






চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি জানতে
লখনউয়ের সচিবালয়ে ফোন করে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজনাথ সিং।  এরপর মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব অভিযুক্তদের অবিলম্বে
গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে
অভিযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে বলেও জানান। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর একটি বেফাঁস
মন্তব্যের কারণে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।





গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তর প্রদেশে
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন
এক মহিলা সাংবাদিক। অখিলেশ এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনার কোনো
সমস্যা হয়েছে? আপনি তো সুরক্ষিত। কেন মাথা ঘামাচ্ছেন তা হলে?” তার পরে সবার
উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজ্যের মতো পুলিশ কন্ট্রোল রুম আর
কোথাও নেই। যদি কিছু ঘটে থাকে, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”





বদায়ূঁর ঘটনায় ধর্ষিতা দলিত মেয়ে দু’টির
পরিবারের অভিযোগ, তারা বলা সত্ত্বেও সঙ্গে সঙ্গে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি
পুলিশ। পরে  দু’জন কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়।    





গত বুধবার সকালে বদায়ূঁর কাটরা গ্রামে ১৪
এবং ১৫ বছরের দুই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় একটি আমগাছ থেকে। এক
কিশোরীর বাবা বলছেন,  জাতিগত বিদ্বেষের কারণে ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী যাদবরা
এই ঘটনা ঘটিয়েছে। 





তিনি জানান, “মঙ্গলবার রাত থেকেই মেয়েরা
নিখোঁজ ছিল। পরে অপহরণকারী এক ব্যক্তির বাড়ি যান তারা। সেই ব্যক্তি অপহরণের
কথা স্বীকার করলেও মেয়েদের ছাড়তে চায়নি। সেই সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন এক
কনস্টেবল। তিনি কোনও সাহায্য করেননি।”





মেয়ে দু’টির পরিবার থানায় এফআইআর করতে
গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ সময়ই তারা জানতে
পারেন, মেয়ে দু’টির মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই
ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। এরপরই সক্রিয় হয় পুলিশ। ধর্ষণ এবং খুনের
মামলা দায়ের করা হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সাত অভিযুক্তের মধ্যে
মাত্র তিন জন এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুলিশকর্মী সর্বেশ
যাদব। আর অন্য দু’জন ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই ভাই পাপ্পু এবং অবধেশ যাদব। বাকি
দু’জনের মধ্যে আছে পাপ্পুদের আর এক ভাই উর্বেশ যাদব এবং পুলিশকর্মী ছত্রপল
যাদব। অন্য দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি।


বদায়ূঁর ঘটনার পর পরই সমাজবাদী পার্টি
প্রধান মুলায়ম সিং যাদবের নির্বাচনী কেন্দ্র আজমগড় থেকেও ধর্ষণের খবর আসে।
আজমগড়ের সরাইমির এলাকায় ১৭ বছরের একটি দলিত মেয়েকে চারজন মিলে ধর্ষণ করে
বলে পুলিশ জানায়।





এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের
নিজের জেলা এটাওয়ায় এক নির্যাতিতার মাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবা
নৃশংসভাবে পিটিয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই তাদের
নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবার।




এই তিন ঘটনায় বিএসপি নেত্রী মায়াবতী
মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের সমালোচনা করে রাজ্যে প্রেসিডেন্ট শাসন জারি ও সিবিআই
তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গান্ধীও
বলেছেন, প্রয়োজনে ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়া যেতে পারে।


৩১ মে (রেডিও তেহরান)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

নিহত বিজিবি’র নায়েক সুবেদার মিজানুরের বাড়িতে শোকের মাতম




বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পানছড়ি ৫২ নম্বর পিলার এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ) সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের গুলিবিনিময়ে নিহত বিজিবি’র নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে চলছে শোকের মাতম।  তাকে হারিয়ে মিজানের স্ত্রী ও সন্তানরা এখন পাগল প্রায়। নিহতের স্ত্রী রাবেয়া আকতার কান্না জর্জরিত কন্ঠে সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যেন তার প্রিয় স্বামীর লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।

নিহত নায়েক মিজানুর রহমান (৪৩) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউপির ভৈষেরকুট-ভেলানগর গ্রামের মোল্লা বাড়ির শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ল্যান্স কর্পোরাল আব্দুল হাফিজের ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে তার নিজ বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গোটা গ্রামে বিরাজ করছে শোকাবহ পরিবেশ। আশপাশের গ্রামের হাজারো মানুষ এই বাড়িতে ভিড় করছে মিজানের পরিবার কে সান্তনা দেয়ার জন্য। কিন্তু তার বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে যেই সান্তনা দিতে কাছে যাচ্ছেন তাদের গগনবিধারী আর্তনাদে তিনিই কান্নায় ভেঙে পড়ছে। আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় যেন আকাঁশ ভারী হয়ে উঠেছে।  তার মাতা রাবেয়া আক্তার (৬২) ছেলের জন্য কান্না করতে করতে পাগল প্রায়। তার স্ত্রী ও ৪ মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে হাবিবা আক্তার (৪) এখনো জানে না তার বাবা আর কখনো ফিরে আসবে না। হাবিবা কে তার বাবার কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমার বাবা চাকরি করতে গেছে।

নিহতের পরিবার জানায়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সময়ে মায়ের গর্ভে মিজানকে রেখে তার বাবা যুদ্ধে শহীদ হন। ওই সময়ে তার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ল্যান্স কর্পোরাল ছিলেন। এরপর মিজানের মাকে তার চাচা আবুল কাশেম বিয়ে করেন। তিনিও  বিজিবি’র অবসরপ্রাপ্ত নায়েক সুবেদার ছিলেন। মিজানুর রহমান ১৯৮৮ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। ২ মাস আগে লালমনিরহাট থেকে তাকে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়িতে বদলি করা হয়। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি দোছড়ি ইউনিয়নের পানছড়ির বিজিবি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
সূত্রমতে, ২৮ মে  বুধবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ৫২ নম্বর পিলারের কাছে ৩১ বিজিবির একটি টহল দলকে লক্ষ করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করার পর তিনি নিখোঁজ হন। ঘটনার পর থেকে বিজিবি সদস্য নায়েক সুবেদার মিজানের ব্যবহৃত এলএমজি রাইফেল ও ১২০ রাউন্ড গুলিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি বিজিবির। এ ঘটনার পর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।



Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

মেসি চরম ইর্ষা করেন ম্যারাডোনাকে




বিশ্বকাপ দুয়ারে। এখানেও একই বিতর্ক কে বিশ্বের সেরা। তবে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওলেন মেসির নজর বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ে। তিনি এবার বিশ্বকাপ জিততে বদ্ধপরিকর।মেসি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডিয়েগো ম্যারাডোনা, পেলে এবং ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়যারের সাফল্যে আমার ঈর্ষা হয়।’ মেসির এই ঈর্ষার কারণও অযৌক্তিক নয়। নিজে গ্রেট ম্যারাডোনার ১০ নম্বর জার্সি গায়ে চড়িয়ে খেলেন ক্লাব ও জাতীয় দলে। চার চারবার ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। বড় ধরনের ২১টি টাইটেল ট্রফি শোভা বৃদ্ধি করছে তার শোকেসের। গড়েছেন গোলের একাধিক বিশ্ব রেকর্ড।এরপরও ২৬ বছর বয়সী বার্সেলোনার এই স্ট্রাইকারের কোথায় যেন অতৃপ্তি! কেউ না বললেও স্পষ্ট, দেশের হয়ে বিশ্বকাপ না জেতা। আর এটিতেই তার এবং ম্যারাডোনার ব্যবধান।

আর এজন্য এবারের বিশ্বকাপ ট্রফিটি নিজের শোকেসে নিতে মেসি কঠোর পরিশ্রম করছেন। তিনি মনে করেন, আগামী জুনে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে খেলবে তার দল আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনা, পেলে এবং বেকেনবাওয়ারের হাতে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ট্রফি দেখার পর কেমন লাগে- ইএসপিএন’র এমন প্রশ্নে মেসি বলেন, ‘আমি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ি। এটি সুস্থ ঈর্ষা। আমি তার (ম্যারাডোনা) অবস্থান কিনে নিতে চাই।’ তিনি বিশ্বকাপ না জেতার কষ্টেরও বর্ণনা দেন। কারণ গত বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার অধীনে মেসিরা অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘আমি যতবারই বিশ্বসেরা হই না কেন তাতে মানুষের ধারণার কিছু যায় আসবে না। সবার কাছে সেরা হতে হলে আমাকে বিশ্বকাপ জিততেই হবে।’

বার্সেলোনা স্ট্রাইকার বলেন, ‘২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অনেক কিছু শিখেছি। ভাল-খারাপ সব অভিজ্ঞতা পেয়েছি, যা আমাকে একজন ভাল মানুষ এবং পেশাদার ফুটবলার হতে সাহায্য করেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমিই আমার সেরা সমালোচক। আমি সব সময় ভাল কিছু করতে চাই। অনেক কিছু করতে এবং বলতে চাই।’ মেসি বলেন, ‘আমার ফুটবল খেলার পেছনে একটিই কারণ ছোট্ট থেকে আমি ফুটবলকে উপভোগ করি। এখনও আমি সব সময় সেটিই করে চলেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলি, খেলা করে দীর্ঘসময় মজা পাওয়া না গেলে এবং উপভোগ্য না হলে কিছুই করা যাবে না। আমি ফুটবলই খেলি। কারণ আমি ফুটবলকে ভালবাসি, এটি ঘিরেই আমার সবকিছু। যেমনটি নেইমার, ইনিয়েস্তা, জাভি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, রিবেরি এবং রবেনরাও করছেন।’





Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

আপনার সুটকেস যখন আপনার স্কুটার






চীনের এক ব্যক্তি তার সুটকেসটিকে ব্যাটারি চালিত স্কুটারে পরিণত করেছেন। ফলে সুটকেসটি এখন শুধু তার প্রয়োজনীয় মালামালই বহন করছে না, তাকে নিয়ে যাচ্ছে গন্তব্যে।  হে লিয়াংকাই নামের ওই ব্যক্তি বাস করেন চীনের হিউনান প্রদেশে। তিনি এ গাড়িটি নিয়ে চাংষা রেল স্টেশনে উপস্থিত হন এবং জনগণকে তার আবিস্কার সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর তিনি সেটিতে চেপে সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তার বাসায় চলে যান।

তার এ সুটকেস স্কুটারটির ওজন সাত কেজি এবং সেটি দু’জন লোককে বহন করতে সক্ষম।  এটা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে একটানা ৫০-৬০ কিমি পর্যন্ত চলাচল করতে পারে।
আরো অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, এটাতে জিপিএস নেভিগেশন সুবিধা আছে এবং চুরি টেকাতে বার্গলার অ্যালার্মও সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এটা যেহেতু ব্যাটারি চালিত তাই চার্জের প্রয়োজন হয়।

পেশায় কৃষক হে জানান এই সুটকেস স্কুটারটি আবিষ্কার করতে তার ১০ বছর সময় লেগেছে। তার এ আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি  ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংগঠন থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

কসোভো প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি : হিজাব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের




ফের নির্বাচিত হলে হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কসোভোর প্রধানমন্ত্রী হাশিম থাচি। আগামী ৮ জুন দেশটিতে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচন ঘিরে এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।

মুসলিম সংখ্যারিষ্ঠ দেশ হলেও কসোভোয় সরকারিভাবে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে ধর্মীয় অনুশাসন পালনে অভ্যস্ত অনেক মুসলিম ছাত্রীর পড়াশোনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। একইসঙ্গে নির্বাচিত হলে দুই লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন থাচি।কসোভোর সংসদ নির্বাচনে ১২০ আসনের বিপরীতে অন্তত ৩০টি দল অংশ নিচ্ছে। দলগুলো এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি জোটগতভাবেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

র‌্যাবের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে: আলজাজিরা




শুক্রবার ‘বাংলাদেশ ফোর্সেস আন্ডার স্ক্রুটিনি ফর কিলিংস’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়,  গত মাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতটি গলিত লাশ উদ্ধারের পর বিচার-বহির্ভূত হত্যায় র‌্যাবের ভূমিকা নজিরবিহীনভাবে স্পটলাইটে চলে এসেছে।

২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই র‌্যাবের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলে আসছে। তবে এই প্রথমবারের মত  বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাবের সিনিয়র কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করলেও তারা এখন একে বিলুপ্ত করার দাবি জানাচ্ছে। ফলে এ বাহিনীর ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুরুর দিকে র‌্যাব এসব অভিযোগ (নারায়ণগঞ্জে সাত খুন) অস্বীকার করছিল। কিন্তু তার কয়েকদিনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জের র‌্যাব কমান্ডার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ এবং তার সহকর্মী মেজর আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার এসএম মাসুদ রানাকে প্রত্যাহার এবং পরে সশস্ত্র বাহিনী থেকে অবসরে পাঠানো হয়।

র‌্যাবের জবাবদিহিতার এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু এরপর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ র‌্যাব কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। পরে তাদেরকে রিমান্ডেও নেয়া হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আলজাজিরাকে বলেন, ‘সেনা কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোয় মনে হচ্ছে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এখন ফৌজদারি অপরাধের দায় থেকে তাদের  রক্ষার আর কোনো উপায় নেই। শুধু সামরিক বাহিনীর লোক বলে তাদের কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়া ঠিক হবে না।’ তবে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান বলেন,  নারায়ণগঞ্জে নিহতরা আওয়ামী লীগের লোক বলে বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। তিনি বলেন, র‌্যাবের বিরুদ্ধে এ ধরণের হত্যার অনেক অভিযোগ এর আগেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে তারা বিরোধী দলের কর্মী বলে এর কোনো তদন্ত হয়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এটা যে স্পর্শকাতর তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু শুধু এখানেই শেষ নয়। গ্রেপ্তারকৃত সেনাকর্মকর্তা তারেক সাঈদ মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাই। বাংলাদেশের সংবাদপত্রে এসেছে যে র‌্যাব কর্মকর্তা ও (সাত খুনের প্রধান আসামী) নূর হোসেনের মধ্যে হত্যা নিয়ে যে আর্থিক চুক্তি হয় তা মায়ার ছেলে (দীপু চৌধুরী) জানতেন।

বাংলাদেশে রাজনীতি ও ব্যবসায় যে ক্রমেই দুর্বৃত্তায়িত হচ্ছে-এ ঘটনা তারই ভয়াবহ প্রতিফলন। এ ঘটনা নিয়ে এখন সবার দৃষ্টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। কারণ, এ হত্যাকাণ্ডে তার দলের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ আছে। র‌্যাবের বিরুদ্ধে আরো হত্যার যে অভিযোগ আছে, তিনি তার তদন্তের নির্দেশ দেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

আবার নতুন মোরকে ফিরে আসবে ব্রাদারহুড




কেউ কেউ বলছেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার সাথে সাথেই আরব বিশ্বের প্রকৃত ইসলামী আন্দোলন মুসলিম ব্রাদারহুডেরও মৃত্যুঘণ্টা বেজেছে। অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে বলছেন, রাজনৈতিক ইসলাম বিদায় নিয়েছে। তবে  নিউইয়র্ক টাইমসে The Brotherhood Will Be Back শিরোনামে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের গবেষক ও লেখক শাদী হামিদ বলছেন ভিন্ন কথা।

গত জুলাইয়ে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আরব বিশ্বের প্রকৃত ইসলামী আন্দোলন মুসলিম ব্রাদারহুড এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। এই দলটির ওপর চরম নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এখন দলটির ব্যর্থতা, এমনকি রাজনৈতিক ইসলামের মৃত্যু নিয়েও আলোচনার ঝড় বইছে।



ব্রাদারহুডের মৃত্যুর আগেই তার মৃত্যুর সংবাদটি এভাবেই লেখা হয়েছে।



১৯৬৩ সালের দিকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাফ্রেড হালপার্ন লিখেছিলেন রাজনৈতিক ইসলামের ওপর ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদ বিজয়ী হয়েছে। এর অর্ধশতাব্দী পর  ব্রাদারহুডের বিরোধীরা আশা করছেন যে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির অপসারণের সাথে সাথে শুধু একজন ব্যক্তিরই পতন ঘটেনি, বিশ্বব্যাপী একটি সংগঠনেরও বিদায় হয়েছে। তারা বলছেন, গণতন্ত্র ও ইসলাম একসাথে চলতে পারে না। এমনকি এমন অদ্ভূত কথাও বলছেন যে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুরসিকে সেনাবাহিনী ছাড়া অন্য কোনোভাবে সরানোর উপায় ছিল না।  মুরসি ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং লাখ লাখ লোকের সমর্থন নিয়েই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তিনি ছিলেন একগুঁয়ে, অযোগ্য এবং সবাইকে নিয়ে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ। কিন্তু এরপরে তার চেয়ে আরো বড় ধরণের ব্যর্থতাও দেখা যাচ্ছে। এই মৌলিক ব্যর্থতা এই অঞ্চলকে আগামীতে দশকের পর দশক অচল করে রাখবে। সেটা হলো- গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ইসলামপন্থীদের জায়গা করে দেয়া।



আমেরিকা উদারপন্থা ও গণতন্ত্রকে সহায়ক হিসেবে দেখে থাকে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারটি আলাদা। সেখানে গণতন্ত্রায়ন হলে ইসলামপন্থী দলগুলো অনুদার হবে বলে বলে আশঙ্কা করা হয়।

রক্ষণশীল ধর্মীয় সমাজে ধর্ম ও রাজনীতিকে মেশানোর প্রতি জনগণের বিপুল সমর্থন রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ মিশরের নির্বাচনী তথ্যেই দেখা যায় যে সেখানকার বেশিরভাগ লোক স্পষ্টতই আইনের প্রাথমিক উৎস হিসেবে শরীয়াকেই পছন্দ করেন। এটিই যদি জনদাবি হয়, তবে কাউকে না কাউকে তো এটা সরবরাহ করতে হবেই। অধিকন্তু গণতন্ত্র মানে হচ্ছে, ইসলামে বিশ্বাসীদের ওপর শুধু ব্রাদারহুডের মত দলের একচ্ছত্র অধিকার আর নেই। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে নবগঠিত সালাফি পার্টি। তারা আরো কঠোর ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী। এখানে মধ্যডানপন্থী দলগুলোও ডানপন্থার দিকে ঝুঁকছে।



এটা পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের নিকট এই কণ্টকাকীর্ণ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উদারপন্থী হওয়ার অধিকার কী তাদের নেই? যেমন আরব বসন্তের অধুনা হতাশার ক্ষেত্র তিউনিশিয়ার বিষয়টির এখনো সুরাহা হয়নি। বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার জন্য দেশটির ইসলামপন্থী এন্নাহাদা পার্টি প্রশংসার দাবিদার। তিউনিশিয়ার আসল পরীক্ষা এখনো শুরু হয়নি। সেখানে এন্নাহাদা পার্টি আবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে যদি ইসলামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে তখন ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা কি সেটা গ্রহণ করবেন? গণতান্ত্রিক উত্তরণের ভঙ্গুর সময়টাতে এন্নাহাদা হয়তো দেশকে বিভক্ত করতে চায়নি। এর মানে এই নয় যে তারা তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য (ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করা) থেকে সরে গিয়েছে। সর্বোপরি তারা তো ইসলামপন্থী।



কঠোর ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ইসলামপন্থীরা তাদের ইসলামী বিশ্বাস পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেন না।  আবার কল্পিত ইসলামী গণতন্ত্রেও ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। এন্নাহাদার নেতা রাচিত গানুচি তরুণ বয়সে ফ্রান্সে যখন গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী ছিলেন তখন এমনটাই অনুভব করেছিলেন। তিনি তার ডায়রিতে লিখেছেন, ‘প্যারিসে যে এক বছর সময় আমি ছিলাম সেটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন ও সবচেয়ে কষ্টকর সময়’। ইসলামপন্থীদের ধ্যানধারণা সততার সাথে গভীরভাবে ভেবে দেখার সময় এসেছে। ইসলামী আন্দোলনের একটি সুষ্পষ্ট বিশ্ব দৃষ্টিভংগী রয়েছে। তাদের রয়েছে সমাজকল্প।



আরবে সেক্যুলারপন্থীদের সমস্যা হচ্ছে যে মূলধারার ইসলামপন্থী দলগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তারা কখনোই গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরেনি। ব্রাদারহুডের মত ইসলামী দলগুলো নমনীয়তার সাথে ইসলামী আইন নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। ১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে তারা যদিও বলতো যে গণতন্ত্র বিদেশি পণ্য, তবে সেখান থেকে তারা এখন অনেক সরে এসেছে।





ইসলামপন্থীদের এই অবস্থানে অনেকেই খুশি হতে পারেননি। তারা এটাকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। এটা হচ্ছে জিরো-সাম লড়াই, যেখানে একপক্ষ জিতলে অন্যপক্ষ হেরে যায়। তখন অন্য বিকল্প হচ্ছে ইসলামপন্থীদের কোণঠাসা করে রাখা অথবা তাদের ধ্বংস করে দেয়া।  মিশরের বর্তমান সেনা-সমর্থিত শাসকরা ঠিক এটাই করার চেষ্টা করছেন। এ ধরণের পদক্ষেপের পক্ষে অনেক লোকের সমর্থন থাকলেও তা শুধু রক্তক্ষয় এবং অস্থিতিশীলতাই বয়ে আনবে না, বরং এটা হলো চরম নির্বুদ্ধিতা। আপনি একটি সংগঠনকে শেষ করে দিতে পারেন, কিন্তু একটি বিশ্বাসকে হত্যা করা একেবারেই ভিন্ন কথা। আরব স্বৈরশাসকরা মনে করছেন যে অতীতে ইসলামপন্থী বিরোধীদের দমনে যথেষ্ট শক্তি প্রয়োগ করা হয়নি বলেই তাদের দমন-অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। এবার তাই মিশরের দমনপীড়নে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো শত কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে। এটা এ অঞ্চলের ইসলামপন্থীদের জন্য সম্ভবত কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। কিন্তু এই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হবে।



আরব বসন্তের শিক্ষা এই নয় যে ইসলামপন্থী দলগুলো গণতন্ত্রের শত্রু। বরং লক্ষণ যা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে যে তাদেরকে ছাড়া গণতন্ত্র অসম্ভব। যখনই গণতন্ত্রের সূচনা হবে, হোক তা ৫, ১০ কিংবা ১৫ বছর পরে, তখনই ইসলামপন্থীদের হয়তো ভিন্নরূপে দেখা যাবে। তখনও তারা থাকবেন, রাজনীতিতে আধিপত্যের জন্য প্রস্তুত হবেন তারা, হয়তো আরো বেশি শক্তি নিয়ে।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

বাংলাদেশের কিছু এলাকায় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেই:আলব্রেশট কনসে





জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলব্রেশট কনসে

জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলব্রেশট কনসে বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের কিছু এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ভয়াবহ উদ্বেগজনক৷’’ তাঁর মতে, বাংলাদেশের কয়েকটি জায়গা বা এলাকা বর্তমানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে৷

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন আলব্রেশট কনসে৷ বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা সরকারের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ৷



বিদায়ী জার্মানির রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক এম শাহেদুজ্জামান৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলার সময় আরো এক ধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা না গেলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়বে৷’’ তিনি বলেন, দেশের কয়েকটি জায়গা নয়, অধিকাংশ এলাকাতেই সরকারের অনুমান নির্ভর নিয়ন্ত্রণ আছে৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বল প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে বর্তমান সরকার৷



জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন ও ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘ঢাকার অদূরেই অত্যন্ত ভয়াবহ কিছু ঘটনা আমরা লক্ষ করেছি৷ তাই দেশের জনগণের স্বার্থে সর্বত্র আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি এবং এ মুহূর্তে তা বাংলাদেশের জন্য একটা চ্যালেঞ্জই বটে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা সমস্যার রাতারাতি সমাধানের জন্য সারা দেশে সরকারের রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন৷ কারণ, বাংলাদেশের কয়েকটি জায়গা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে৷’’



আলব্রেশট কনসে বলেন, লোকজন যদি বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পায়, এ জন্য কিছু করাটা রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে৷ সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আসছে৷ কিন্তু আগামী মাসগুলোতে এবং বছরগুলোতে বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে, তার ধরন অতীতের চেয়ে আলাদা বলে মন্তব্য করেন বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূত৷

তিনি জানান, স্পিকার তাঁকে এটা বলে আশ্বস্ত করেছেন যে শেখ হাসিনার সরকার সব নাগরিকের জানমাল রক্ষায় আইনের আওতাতেই দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে৷ গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে ইউরোপের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি৷ তবে অতীতের চেয়ে ভবিষ্যৎ বেশি গুরুত্বপূর্ণ – এটাই আমার উত্তরসূরিকে বলে যাব৷ অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবে জার্মানি৷’’



অধ্যাপক এম শাহেদুজ্জামান বলেন, ‘‘জার্মানির রাষ্ট্রদূত কিন্তু হুট করেই
কথাটা বলেননি৷ তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অবস্থান করে যে পর্যবেক্ষণ করেছেন,
তা থেকেই কথাটা বলেছেন৷ তাঁর পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মতের
সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে৷’’



তিনি বলেন, গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও
যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান নিয়েছে – তা ঠিকই ছিল৷ কারণ ঐ নির্বাচনে মানুষ
ভোট দিতে পারেনি৷ তাই ভোটারবিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের কোনো বৈধতা
থাকতে পারে না৷ এছাড়া এ ধরনের সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে সামান্যই৷



আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এই বিশ্লেষকের কথায়, ‘‘সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার
জন্য বল প্রয়োগের মাধ্যমে বেছে বেছে মানুষকে বিচার করছে ও শাস্তি দিচ্ছে৷
ফলে সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই৷’’


DW.DE


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

৩৭ পাকিস্তানি বন্দিকে মুক্তি দিল ভারত; এখনো আটক ৪৮৪ জন





ভারতের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া পাকিস্তানি নাগরিক

পাকিস্তানের ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ভারত। এর মধ্যে ৩২ জন জেলে এবং পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক।

আজ (শুক্রবার) এসব বন্দিকে ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তাসনিম আসলাম ইংরেজি দৈনিক ডন-কে এ খবর দিয়েছেন। 

তবে, ভারতের কারাগারে এখনো ৪৮৪ জন পাকিস্তানি বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪৮ জন বেসমারিক নাগরিক আর ১৩৬ জন জেলে সম্প্রদায়ের। ৩৪৮ জন বেসামরিক বন্দির মধ্যে ২৫ জনের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং তারা দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এর আগে, গত ২৬ মে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ১৫১ জন ভারতীয় বন্দিকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে একজন বেসামরিক নাগরিক ও বাকিরা সবাই জেলে।

বন্দি মুক্তি দেয়া প্রসঙ্গে পাক পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আশা করেন- যেসব বন্দির সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের সবাইকে ভারত সরকার মুক্তি দেবে।


৩০ মে (রেডিও তেহরান)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ভিশন ২০২৫: ১০ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ; ২৫তম অর্থনীতির দেশ





নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বে এনইসি'র বৈঠক

পাকিস্তানের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ বা এনইসি এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পাস হওয়া এ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে আগামী ১০ বছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ  দ্বিগুণ করা হবে যার লক্ষ্যমাত্রা হবে ৪৫,০০০ মেগাওয়াট।

‘ভিশন ২০২৫’ নামের এ পরিকল্পনার আওতায় ১০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানকে বিশ্বের ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করা হবে এবং বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ ছয়গুণ বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি ডলারে নেয়া হবে। এছাড়া, এ সময়ের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার হার নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।

এনইসি’র বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এতে সব প্রদেশ ও অঞ্চলের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিতি ছিলেন।

বৈঠকে ‘ভিশন ২০২৫’ -এর আওতায় নতুন একটি পাঁচশালা পরিকল্পনারও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ভিশন বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে ও সব রকমের সহযোগিতা দিতে মন্ত্রণালয়, প্রদেশ এবং বিশেষ এলাকাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর উচ্চাভিলাষী এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা, আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


৩০ মে (রেডিও তেহরান)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ইহুদিবাদী পুরোহিতের হাতে পোপের চুমু: খ্রিস্টানদের তীব্র ক্ষোভ


ক্যাথলিক খ্রিস্টান বিশ্বের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস শীর্ষস্থানীয় ইহুদিবাদী পুরোহিতের হাতে চুমু খাচ্ছেন-এমন ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর ক্যাথলিক ও অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা পোপের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে।



খ্রিস্টানরা ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে পোপের এই পদক্ষেপকে অশোভনীয় পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।



সম্প্রতি অধিকৃত ফিলিস্তিন সফরের সময় পোপ ফ্রান্সিস এক শীর্ষস্থানীয় ইহুদি পুরোহিতের দুই হাতে চুমু খান। আর অনেক খ্রিস্টান এ ঘটনার ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেছেন: এটা খ্রিস্টানদের জন্য লজ্জাজনক ও মাথা নতজানু করার মত ঘটনা।



ফ্রান্সিস নিজেকে বিশ্বে ‘শান্তি’র গুরু বলে দাবি করা সত্ত্বেও দখলদার ইহুদিবাদি ও শিশু হত্যাকারী শিমন পেরেজের সঙ্গে থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনে একটি অলিভ বা জলপাই গাছ রোপণ করেছেন। তিনি এমন সময় শান্তির প্রতীক হিসেবে এই  চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে মজলুম ফিলিস্তিনি জাতিকে পরিহাস করেছেন যখন ইহুদিবাদী দখলদাররা মুসলমানদের প্রথম কিবলার শহর বায়তুল মুকাদ্দাস অঞ্চলসহ ফিলিস্তিনের নানা অঞ্চলে জবরদখলের প্রথম দিন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করার অন্যতম পন্থা হিসেবে তাদেরই জয়তুন বাগানগুলো ধ্বংস করে আসছে!



জর্জ মারিও বোর্গোগলিও থেকে পোপ ফ্রান্সিস



জর্জ মারিও বোর্গোগলিও তথা পোপ ফ্রান্সিস জন্মগ্রহণ করেছেন আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে। খ্রিস্ট ধর্ম তাত্ত্বিক স্কুলে পড়াশুনার আগে তিনি ছিলেন একজন কেমিক্যাল টেকনিশিয়ান এবং বেশ কিছুকাল নাইট ক্লাবেও সক্রিয় সদস্য! পাদ্রি হিসেবে তৎপরতা শুরু করেন ১৯৬৯ সালে ৩৪ বছর বয়সে। আর্জেন্টিনার সামরিক শাসকদের সহযোগী হিসেবে তিনি নাগরিকদের অপহরণ ও তাদের নির্যাতনের মত মারাত্মক অপরাধেও জড়িত ছিলেন।



ব্রিটেনের ‘দ্য মেইল অন সানডে’ নামক ম্যাগাজিন এ সম্পর্কে জানিয়েছে, জর্জ মারিও বোর্গোগলিও ১৯৭৬ সন থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার সেনা-শাসনামলে নির্যাতন, অপহরণ ও অন্যান্য সংঘবদ্ধ অপরাধযজ্ঞে জড়িত ছিলেন এবং এইসব অপরাধের শরিক হিসেবে তারা বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।



বেনিডিক্টের পরিবর্তে ফ্রান্সিস





বিশ্বব্যাপী পাদ্রিদের নানা ধরণের যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়া ও এইসব কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় নিজের ভূমিকার বিষয়টিও ফাঁস হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে পোপ ষোড়শ বেনিডিক্ট পদত্যাগ করায় কার্ডিনালরাও যারপরনাই বিস্মিত হয়েছিলেন; এমনকি তাদের অনেকেই ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। ২৬৫ তম পোপের পদত্যাগ যে গির্জার অবিবাহিত পাদ্রিদের লাগামহীন যৌন লালসার পরিণতি ছিল তা এখন প্রায় সবার কাছেই স্পষ্ট।



পাশ্চাত্যের কোনো কোনো দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্মহীনতা বা স্যেকুলারাইজেশনের প্রেক্ষাপটে ষোড়শ বেনিডিক্ট মানবীয় মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার জন্য বড় বড় বক্তৃতা দিতেন। কিন্তু বাস্তবে তারা সহযোগীরাই মানবীয় মূল্যবোধ রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে খ্রিস্টান বিশ্বের ধর্মগুরুর পদ ছেড়ে দেয়াকেই যথাযথ ভেবেছেন বেনিডিক্ট। কিন্তু ফ্রান্সিস ধর্মীয় নৈতিকতা রক্ষার সেই অবস্থানেও বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি এ সম্পর্কে খুব কমই কথা বলেছেন ও খুব কমই রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করেছেন। পোপ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কয়েক দিন পরই নৈতিক চরিত্র বিষয়ে তার অপ্রত্যাশিত অবস্থান পোপ পদে তার উন্নীত হওয়ার নেপথ্যের রহস্যটি প্রকাশ করে দেয়।



সমকামীদের প্রিয় বছরের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব পোপ ফ্রান্সিস !!



পোপ একাধারে যেমন ‘টাইম’-এর ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ তেমনি তিনি ‘ম্যান অব দ্য হোমোসেক্সুয়াল’ও বটে!!!



কারণ পোপ হওয়ার পর ফ্রান্সিস বলেছেন, কোনো সমকামী যদি সৎ নিয়ত নিয়ে স্রস্টা বা ঈশ্বরকে চায় তাহলে তার বিষয়ে বিচার-বিবেচনা করার অধিকার আমার নেই! পাদ্রিদের সমকামীতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ব্রাজিল থেকে রোম সফরের সময় তিনি এই জবাবই দিয়েছিলেন। সমকামীদের বছর হিসেবে ঘোষিত বছরটিতে ফ্রান্সিসের এই ঘোষণা থেকেই বোঝা যায় কেন তাকে পোপের পদে বসানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সমকামীতাকে বৈধতা দেয়া, বিশেষ করে ধর্মীয় অঙ্গনেও একে বৈধতা দেয়ার জন্য ফ্রান্সিসের চেয়ে যোগ্য আর কে হতে পারেন?



নীতিবাদী খ্রিস্টানরা মনে করেন খ্রিস্ট ধর্মের কথিত মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে ফ্রান্সিসের পরিহাস এখানেই শেষ হয়নি। ফ্রান্সিস বলেছেন, “খ্রিস্ট ধর্মের অনেক শিক্ষাই সেকেলে হিসেবে রহিত হয়ে গেছে, তাই এইসব নীতির ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে!”



“গির্জা কোনো কোনো নৈতিক বিষয়ে সঠিক আচরণ করেনি। তাই এখন সে বিচারকের পদটি ছেড়ে দিয়ে নিজের হাত উদার চিত্তে সবার দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সমকামী, বহুকামী, লিবারেলিস্ট, রক্ষণশীল, (নাস্তিক্যবাদী) কমিউনিস্ট  ও গর্ভপাতের সমর্থকরাও পোপের আশীর্বাদ পাবেন! কারণ, এরা সবাই প্রভুকে ভালবাসেন এবং  আমাদের সবাইকে একই প্রভুর উপাসনা করতে হবে।”



ফ্রান্সিস আরো বলেছেন: “ক্যাথলিক গির্জা এখন আর জাহান্নাম বা নরকে বিশ্বাস করে না। কারণ, বিষয়টি প্রভুর প্রেমের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আদম ও হাওয়ার ঘটনা কল্পকাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়। ... আমরা চিন্তা ও প্রার্থনার মাধ্যমে কিছু নতুন বিশ্বাস অর্জন করেছি। এ ছাড়াও স্রস্টা বিচারক নন, বরং তিনি মানবজাতির বন্ধু মাত্র ... কারো বিচার করার ইচ্ছা প্রভুর নেই! নরক আসলে মানুষের আত্মার একাকীত্বের অর্থবোধক রূপক শব্দ মাত্র।”



ফ্রি ম্যাশনারি চক্রের মত আন্তর্জাতিক কিছু নেটওয়ার্ক বিংশ শতকের শুরুর দিকে  ধর্মগুলোকে ধর্মনিরপেক্ষ করাসহ মানুষের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা বা ধর্মহীনতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য গোপন কর্মসূচি নিয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে খ্রিস্টিয় সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান পোপ পর্যন্ত ইহুদি ধর্মের সমর্থক হওয়ার দাবিদার  তথা ইহুদি ধর্মের বেশভূষাধারী ধর্মনিরপেক্ষ জায়োনিস্ট বা ইহুদিবাদীদের সমর্থন করছেন এবং  খ্রিস্ট ধর্মের বিশ্বাসগুলোকে বিকৃত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।



ইতিহাস-সচেতন একদল বিশ্লেষক মনে করেন, যুগে যুগে শয়তানপূজারী একটি প্রভাবশালী মহল ধর্মগুলোর প্রকৃত রূপ বিকৃত করার জন্য নানা আধ্যাত্মিক মতবাদ চালু করেছে। এ জন্য তারা প্রাচ্যের বৌদ্ধ-থিওসফিস্ট কার্যক্রমকেও ব্যবহার করছে যাতে তথাকথিত ইহুদিবাদী পুঁজিপতি শয়তানপূজারী চক্রের কর্তৃত্ব বিশ্বব্যাপী জোরদার হয়।



কার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন পোপ?



জাতিসংঘ বর্তমানে ‘সামাজিক সহাবস্থান ও শান্তি শিক্ষা’ শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে তিনটি ঐশী ধর্মের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এ জন্য ধর্মীয় আইনের কিছু নীতিমালা যা সমকামিতার মত পারিবারিক মূল্যবোধ বিরোধী তৎপরতার নিন্দা জানায় তা উচ্ছেদের পদক্ষেপ নিয়েছে এই বিশ্বসংস্থা। পোপের পক্ষ থেকে নরঘাতক ইহুদিবাদী ও সমকামীসহ ধর্মবিরোধী নানা গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন আসলে ধর্মের নামে বিশ্বকে ধর্মহীন করারই ষড়যন্ত্রের অংশ।



ধর্মীয় সফর না রাজনৈতিক সফর?



পোপ টুইটারে নিজের বার্তায় বলেছিলেন তিনি এক ধর্মীয় সফরে জেরুজালেম বা বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে যাচ্ছেন। আর এ জন্য তিনি অনুসারীদের দোয়াও চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানে দেখা করেছেন ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যার পরিচালক নেতানিয়াহুর সঙ্গে এবং ইহুদিদের মতই তাদের প্রথা অনুযায়ী উপাসনা করেছেন। পোপ ইহুদিদের কুসংস্কারের অনুসরণ করে তাদের কথিত পবিত্র দেয়ালের ভেতরে একটি লিখিত কাগজ গোপন করেছেন!



এ ছাড়াও কথিত ধর্মীয় সফরের নামে অধিকৃত ফিলিস্তিনে গিয়ে পোপ বিতর্কিত হলোকাস্ট স্মৃতি-চিহ্ন পরিদর্শন করেন ও সেখানে প্রার্থনাও করেন! এই প্রথম খ্রিস্টান জগতের কোনো পোপ বিতর্কিত হলোকাস্ট জাদুঘর বা স্মৃতি-চিহ্ন  পরিদর্শন করেছেন এবং উনবিংশ শতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ইহুদি ধর্মকে ব্যবহারের পথিকৃৎ তথা ইহুদিবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার রূপকার থিওডোর হার্ৎজেলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন ও তার প্রশংসা করেছেন! তিনি কথিত শান্তি আলোচনা আবারও শুরু করতে নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে  আগামী মাসে ভ্যাটিকানে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।



আমেরিকার মধ্যস্থতায় শুরু-হওয়া ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে মৃতপ্রায় আলোচনা গত মাসে পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়। ইসরাইল মুসলমানদের প্রথম কিবলা দখলে রাখাসহ অবৈধ ইহুদি বসতি বিস্তার অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিচ্ছে। এ ছাড়াও তেলআবিব ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখায় এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ফিরে আসার দাবি নাকচ করে আসায় আপোষ আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়।





(তেহরান রেডিও/এসএ/২৯)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ইউক্রেন: পূর্বাঞ্চলে ৮০ সেনার আত্মসমর্পন; হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত




লুহানস্কের নবগঠিত প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছে ইউক্রেনের ৮০ জন সেনা। ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর লুহানস্কে স্থানীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করা হয়েছে।


তারা বৃহস্পতিবার লুহানস্কে ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাঁটিতে অভিযান চালায়। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে অভিযান চলে। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। অভিযান চলাকালে ইউক্রেনের এক সেনা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিযানে সেখানে উপস্থিত ৮০ জন  ইউক্রেনীয় সেনার সবাই আত্মসমর্পন করে।

এদিকে, দোনেতস্কের স্ল্যাভিয়ানস্ক শহরে ইউক্রেনের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ১৪ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল রয়েছেন। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার তুরচিনভ সংসদকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সরকার বিরোধীদের গুলিতে হেলিকপ্টারটি ধ্বংস হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ‘রাশা টুডে’ টেলিভিশন জানিয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের সেনারা ওই শহরে কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয়  লুহানস্ক ও দোনেতস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। তারা এই দুই অঞ্চলকে এখন আর ইউক্রেনের অংশ বলে মনে করেন না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গণভোটে এই দুই প্রজাতন্ত্রের বেশিরভাগ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেয়ার পর এই ঘোষণা দেয়া হয়।






(তেহরান রেডিও/এসএ/২৯)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

নওগাঁয় বজ্রপাতে ৭ জনের প্রাণহানি, আহত ৩০




জেলার মহাদেবপুর ও পোরশা উপজেলায় আজ বজ্রপাতে ৭ জনের প্রাণহানি ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর ধানের হাটে। এখানে বজ্রপাতে ৬ জন মারা যান। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে পোরশা উপজেলার পাথরডাঙ্গা গ্রামে। এখানে এক গৃহবধূ বজ্রপাতে প্রাণ হারান।


মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত উদ্দিন জানান, প্রতি শুক্রবার সকালে সরস্বতীপুরে ধান কেনাবেচার বিশাল হাট বসে। যথারীতি আজ সকাল থেকে সেখানে ধানের হাট শুরু হয়। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ছিল। হঠাৎ করে শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি। সেই সাথে মেঘের গর্জন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে মহাদেবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়।


মৃতরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের আশরাফ আলীর পুত্র আজিজার রহমান (৪০), মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া গ্রামের মরহুম ফারাতুল্লাহর পুত্র হাফিজুর রহমান (৪২), উত্তরগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের মরহুম গফুর আলীর পুত্র সামশুল আলম (৩৫), দাশড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র ইয়াকুব আলী (২০), বান্দাইল গ্রামের সাহেব আলীর পুত্র জসিমুদ্দিন এবং ভেবড়ী গ্রামের আফজাল হোসেন (২৫)।


আহতদের অবস্থার অবনতি হলে হবিবর রহমান, সাইদুর ররহমান, তাজেম আলী, আফজাল হোসেন ও আমিনুল ইসলামকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিরা মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


অপরদিকে আজ সকাল ৮টায় জেলার পোরশা উপজেলার পাথরডাঙ্গা গ্রামে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫) নামের এক গৃহবধূও প্রাণহানি ঘটেছে। তিনি ওই গ্রামের নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।



(বাসস)






Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

বুফনের আত্মসমর্পণ




২০০৬ সালে ইতালির বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক জিয়ানলুইজি বুফন। এবারও ব্রাজিল বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিবেন তিনি। তবে এবার বিশ্বকাপে ইতালিকে নিয়ে বড় কোন স্বপ্ন দেখছেন না এই ৩৬ বছর বয়সী গোলরক্ষক। ইতালি এবার সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উঠতে পারে বলে মনে করেন তিনি। আর সেমিফাইনালে উঠলে সেটাকে তিনি অতিরিক্ত পাওয়া মনে করছেন। ফাইনালের কথা বুফন চিন্তাই করছেন না।



ইতালির হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৯ মাচ খেলা এই গোলরক্ষক বলেন, ‘আমরা যদি এবার সেমিফাইনালে উঠতে পারি তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য বড় পাওয়া। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্তই আমরা প্রত্যাশা করছি। এরচেয়ে কম কিছু হলে খুবই লজ্জার কারণ হবে।’ কোয়ার্টার ফাইনাল পার হওয়া তাদের জন্য কেন কঠিন হবে তার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জুভেন্টাসের ৩৬ বছর বয়সী গোলরক্ষক। তিনি বলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে আমাদেরকে সম্ভবত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হতে হবে। আর এমনটা হলে স্পেনের মতো দলের বিপক্ষে পরাজয়ে লজ্জার কিছুই থাকবে না।’



এবার বিশ্বকাপে নিজেদেরকে মোটেও ফেভারিট ভাবছেন না ইতালির অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার ব্রাজিল, স্পেন, জার্মানি ও আর্জেন্টিনার মতো ফেভারিট নই। তাদের মতো অতো শক্তি এবার আমাদের নেই।’ তবে ইতালিকে হারানো প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এবার শিরোপার জন্য ফেভারিট না হলেও আমাদের হারানোটা বেশ কঠিন হবে। আমরা পরিপক্ব একটি দল। কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে কারণে ফাইনাল পর্যন্ত ওঠার স্বপ্ন আমরা দেখছি না।’ এবার বিশ্বকাপে ইতালিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবার ব্রাজিল, স্পেন, জার্মানি ও আর্জেন্টিনার পর্যায়ের দল আমরা নই। তাদের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়ে আছি। তারপর আমরা সেরা খেলাটা উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।’




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

আমেরিকা-ইসরাইলে সাইবার হামলা চালিয়েছে ইরানি হ্যাকাররা




ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকাসহ আরো কয়েকটি
দেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের ইমেইল অ্যাকাউন্টে ইরানি হ্যাকাররা সাইবার
হামলা চালাচ্ছে বলে একটি মার্কিন  সাইবার গোয়েন্দা বিষয়ক সংস্থা অভিযোগ
করেছে। 





আইসাইট পার্টনার্স নামের এ সংস্থার
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উচ্চপদস্থ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা, কূটনৈতিক ও
কংগ্রেস কর্মী, ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিক, মার্কিন
থিংক ট্যাংক, প্রতিরক্ষা ঠিকাদারদেরকে এ সাইবার হামলার লক্ষ্যে পরিণত করা
হয়েছে। এ ছাড়া, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে যারা প্রত্যক্ষ সমর্থন দিচ্ছে তারাও এ
জাতীয় হামলার মুখে পড়েছে বলে এ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।



সরকারি ও
কর্পোরেট নেটওয়ার্কে ঢোকার প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নেয়া ছাড়াও সফটওয়্যারের
মাধ্যমে এ সব সংস্থার যন্ত্রপাতির ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে চেয়েছে এ সব
হ্যাকার। অবশ্য সাইবার হামলার শিকার ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করতে বা
হ্যাকাররা কি ধরণের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে তা জানাতে অস্বীকার করেছে আইসাইট
পার্টনার্স।



প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ফেসবুক, টুইটার, লিনকেডইন,
গোগল, ইউটিউব এবং ব্লগারের মতো সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্কগুলোতে এক
ডজনেরও বেশি ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করেছে এ সব হ্যাকার। সাইবার হামলার শিকার
ব্যক্তিদের ইমেইল অ্যাকাউন্টে ঢোকার পাসওয়ার্ড গোপনে হাতিয়ে নেয়ার জন্য এ
তৎপরতা চালানো হয়।



আইসাইট দাবি করেছে,  ২০১১ সাল থেকে এ তৎপরতা
চালান হয়েছে। কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক, মার্কিন ফেডারেল তদন্ত
সংস্থা এফবিআই এবং কয়েকটি বিদেশি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছে বলেও
উল্লেখ করেছে আইসাইট।


৩০ মে (রেডিও তেহরান)


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পথে সিসি




মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় পেতে চলেছেন সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।

দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে গত জুলাই মাসে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটিই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।



মুসলিম ব্রাদারহুড ও ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচন বর্জন করেছে।

বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে তিনি ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে।এ পর্যন্ত ৩৫২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩১২টিতে ভোট গণনা হয়েছে।



নির্বাচনে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ন্দ্বী বামপন্থী প্রার্থী হামদিন সাবাহি মাত্র ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

সমর্থকরা সিসি’কে এমন একজন নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন যিনি মিশরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারবেন।



কিন্তু নির্বাচনে জনগণ তেমন সাড়া না দেয়ায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিসি’র গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিটির একজন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ ভোটারের মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ বা ৪৬ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছেন।



২০১২ সালে মুরসি যে নির্বাচনে জিতেছিলেন, তাতে ৫২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন।

মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় শেষ মুহূতের্র সিদ্ধান্তে তা আরো একদিন বাড়ানো হয়।জনৈক নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

বিজয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশটির রাজধানী কায়রোয় আঁঁতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস শুরু করে সিসি’র সমর্থকরা।



রাজধানীর ব্যস্ততম রাস্তায় মিশরীয় পতাকা উড়িয়ে ও গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উত্সবের আবহ ছড়িয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কায়রোর তাহরির স্কয়ারে বিজয় উত্সবে মত্ত ছিল তারা।



(রয়টার্স, বিবিসি)


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

স্বল্প আয়ের বাংলাদেশীরা এমআরপি পাসপোর্ট পাবেন




সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী কম আয়ের বাংলাদেশীরা এখন প্রত্যন্ত এলাকায় বসে হাতে লেখা পাসপোর্ট বদলে মেশিল রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সংগ্রহের কাজ করতে পারবেন। এ জন্য তাদেরকে আর অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে, সময় নষ্ট করে দূতাবাসে আসতে হবে না। ইউএই এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এ বিষয়ে গতকাল একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ চুক্তির অধীনে ইউএই এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশীদের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনলাইনে এমআরপি আবেদন ফরম পূরণের সুবিধা দেবে। একই সঙ্গে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদনও করা যাবে। আর চূড়ান্ত দফায় দূতাবাসে তাদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি তারিখের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন। এর ফলে স্বল্প আয়ের মানুষদের অনেক উপকার হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেছেন, দূতাবাসে যাতে আমাদের শ্রমিকদের চাপ কমানো যায় সে জন্য ব্যতিক্রমী এ পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা পরীক্ষামূলকভাবে। এ সব শ্রমিক বারবার এমআরপি সংগ্রহের জন্য দূতাবাসে আসা-যাওয়া দিয়ে অনেক অর্থ ও সময় নষ্ট করেন। তার সঙ্গে তাদের ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ওপর বাড়ে চাপ। সেই চাপকে সহজ করার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে নেয়া হলো এ পদক্ষেপ। ইউএই এক্সচেঞ্জের এক কর্মকর্তা সুধীর কামুর শেঠী বলেছেন, আমাদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতে গেলে বাংলাদেশীরা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলা লোক পাবেন। তারাই তাকে এমআরপি ফরম পূরণে সহায়তা করবেন। ফরম পূরণ হয়ে গেলে আমাদের প্রতিনিধি তাকে একটি বার কোড দেবেন। সেই কোড নিয়ে তাকে যেতে হবে দূতাবাসে। ফি জমা দেয়ার এক থেকে দু’ সপ্তাহের মধ্যে তাকে দূতাবাসে ডাকা হবে বায়োমেট্রিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে। তবে এমআরপি পেতে কোন ব্যক্তি সরাসরি নিজে অথবা ইউএই এক্সচেঞ্জের যার মাধ্যমেই যান না কেন তাকে সঙ্গে নিতে হবে হাতে লেখা পাসপোর্ট। এক্ষেত্রে আমরা তাদের নিয়োগকারী কোম্পানিকে পাসপোর্ট তার হাতে তুলে দিতে অনুরোধ করবো, যাতে তিনি পাসপোর্টটি নবায়ন করতে পারেন।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

কুমিল্লায় ছাত্রলীগের গোলাগুলি, এমপির ভাইপো নিহত




কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এর জের ধরে কলেজ সংলগ্ন এক ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ঢুকে প্রতিপক্ষ অতর্কিত হামলা, ভাঙচুর ও গুলি চালায়। এসময় বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা গার্ড বাংলাদেশের পরিচালক আহসান হাবিব সুমু নিহত হন। এছাড়া আরো দুই ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। গতকাল দুপুরে নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমু কুমিল্লা সদর আসনের সরকারদলীয় এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের ভাতিজা।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় ভর্তি ও কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন সমর্থিত কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রিন্টু ও ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমেদ রাসেল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।



গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিন্টু গ্রুপের অনুসারী নগরীর মুন্সেফবাড়ি ইউনিট ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সজিব চক্রবর্তী গিট্টুর ছোটভাই ছুট্টু চক্রবর্তীকে কলেজের সামনে পেয়ে রাসেল গ্রুপের লোকজন তাকে মারধর করে। পরে ছুট্টুর নেতৃত্বে মুন্সেফবাড়ি এলাকা থেকে ছাত্রলীগকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুনরায় কলেজে গিয়ে রাসেল গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ রাসেল গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজের কাছে রিন্টু গ্রুপের মুন্সেফবাড়ি এলাকায় গিট্টু চক্রবর্তীর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা গার্ড বাংলাদেশের পরিচালক আহসান হাবিব সুমু (৩৫) হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে ঘটনাস্থলে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এসময় সুমু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা সুমুকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।



নিহত সুমু স্থানীয় এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিনের চাচাতো ভাই সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মৃত ওমর ফারুকের পুত্র। নিহত সুমুর একমাত্র সন্তান আহসান ইয়ামিন (৯) নগরীর অ্যাথনিকা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। এদিকে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা গিট্টু চক্রবর্তীর চাচাত ভাই পান্না চক্রবর্তীর পুত্র প্রিতম চক্রবর্তী পিংকু (২৫) ও অপর চাচাত ভাই চুন্নী চক্রবর্তীর পুত্র প্রিয়ম চক্রবর্তী রনি (২১) গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে পিংকুকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওদিকে নিহত সুমুর স্ত্রী আরিফা আক্তার সোমা কান্নায় ভেঙে পড়ে তার স্বামীর খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান।



কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি খোরশেদ আলম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে বিকাল ৪টার দিকে লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ দেখে নিহতের স্ত্রী ও তার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় নগরীতে উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

রাজধানীতে গুলি করে ঠিকাদার হত্যা




অপহরণ মামলার সাক্ষী দেয়া হলো না সুলতান আহমেদের। সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় অপহৃত হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার আগেই গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মারা
যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ ঠিকাদার।



রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগের কমিশনার গলিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতান আহমেদ (৪২) বাসাবোর কদমতলা, সবুজবাগের ইব্রাহিম মিয়ার পুত্র। তাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের কৃষ্ণনগরে।



নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, আরামবাগের মকবুল প্লাজায় সুলতান আহমেদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএসআই প্রাইভেট লিমিটেডের সামনে তাকে গুলি করা হয়। গাড়ি থেকে নামার পরপরই তাকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি করে দুর্বৃত্তরা। একটি মোটরসাইকেলে দুই দুর্বৃত্তকে দেখা গেছে বলে জানান সুলতানের ঘনিষ্ঠজন ফরিদ আহমদ ও গাড়িচালক আমির হোসেন। চালক আমির তখন গাড়ি পার্কিং করছিলেন। পরে সুলতানকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনটি গুলি সুলতানের বুকে, পাঁজরে ও পিঠে বিদ্ধ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরমান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কি কারণে, কে বা কারা ঠিকাদার সুলতান আহমেদকে হত্যা করেছে এ সম্পর্কে নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, আগে সুলতানকে একবার অপহরণ করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলার জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তাদের ধারণা।


২০১১ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অপহৃত হন সুলতান আহমেদ। এ সময় ৭-৮ দুর্বৃত্ত অস্ত্র দেখিয়ে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। গাড়িতে তোলার পর তার হাত-পা ও চোখ বাঁধা হয়। পরদিন ২১শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা তাকে খামারবাড়ি এলাকায় ফেলে যায়। তার আগে অপহরণকারীরা সুলতানকে বেধড়ক মারধর করে তার কাছ থেকে ব্যাংকের চেকে স্বাক্ষর আদায় করে। এ ঘটনায় আফজাল হোসেনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে ২৪শে সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা করেন সুলতান। ওই মামলার আসামি আফজাল হোসেন পাবনা জেলার বেরা থানার গোবিন্দা গ্রামের বাসিন্দা। তার নেতৃত্বেই অপহরণ করা হয়েছিল বলে সুলতান মামলায় অভিযোগ করেন।



সূত্র মতে, ২০১১ সালে আফজালের এলাকা পাবনার বেরায় ১০ কোটি টাকার খাল খননের কাজ করেছিলেন ঠিকাদার সুলতান। আফজাল তখন ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। এমনকি সুলতানের ঢাকার অফিসে এসেও আফজাল এই চাঁদা দাবি করে বলে জানান সুলতানের ঘনিষ্ঠজন ফরিদ আহমেদ। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি  করার পরপরই তাকে অপহরণ করা হয়। কিন্তু মামলা দায়েরের দুই মাস পর তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে পুলিশ আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে। পরে সুলতানের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত হয়। ওই মামলায় চার্জ গঠন হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ছিল শেষ পর্যায়ে। আগামী ২৬শে জুন এই মামলায় আদালতে সাক্ষী দেয়ার কথা ছিল সুলতানের। তার আগেই তাকে হত্যা করায় সন্দেহের তীর অপহরণ মামলার আসামি আফজাল হোসেনের দিকে। এ ছাড়া ঠিকাদারি দ্বন্দ্বের জের ধরে অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান বলেন, ঠিকাদারি দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ ছাড়াও সুলতানের সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিলিং মিশনে যে দুই যুবক অংশ নিয়েছিল তাদের গ্রেপ্তার করতে তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া দুই যুবকের মধ্যে স্বাস্থ্যবান একজন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিল। সে-ই গুলি চালিয়েছে। মোটরসাইকেল ড্রাইভ করেছে হালকা-পাতলা গড়নের এক যুবক।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

সাপ দিয়ে শরীর মালিশ




শরীর মালিশ শুনলেই কেমন যেন একটা শান্তির বাতাস বয়ে যায় শরীর দিয়ে। আর সারা দিন পরিশ্রমের পরে যদি হালকা গরম তেল দিয়ে একটু মালিস করিয়ে নেওয়া যায় তাহলে তার জুড়ি মেলা দায়। আমাদের দেশে কিছু বড় বড় পার্লারে এরকম মালিশের ব্যাবস্থা থাকলেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকা সেলুনের একটু মালিশ কিন্তু বেজায় মন্দো না। বেশ ভালই লাগে কি বলেন? যা হোক এখন মূল কথায় ফেরা যাক। আজকের লেখাটাও শরীর মালিশ নিয়ে তবে একটু ভিন্ন রকম বা ভয়ংকর বললেও ভূল হবে না। 

দক্ষিন ইসরাইলের একটি ছোট গ্রাম "তালমা ইলাজার", আর এই ছোট গ্রামের একটি ছোট শরীর মালিশ পার্লার যার নাম "ফার্ম কার্নিভার্স প্লান্টস"। কিন্তু সবাই এখানে যাবার সাহস পায় না!! কেন ভাবছেন?? কারন এই পার্লারে শরীর মালিশ কোন মানুষ করে না, করে "সাপ"। এখানে শরীর মালিশের জন্য ব্যাবহার করা হয় কিছু নিরিহ প্রজাতির সাপ বা বলা যায় যে সকল সাপের বিষ নেই। আর এই সব সাপের মধ্যে রয়েছে, কিং সাপ, দুধ সাপ আর স্পটেট সাপ। সাপ যতই নিরীহ হোক না কেন, এই মালিশ পার্লারে যাওয়ার আগে শুধু যে সাপের ভয় দূর করতে হবে তাই না একই সাথে সাপদের প্রতি ঘৃনাবোধ এবং নোংরা বোধটাও আপনাকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। কেননা মালিশ করার সময় সাপেরাতো আর আপনাকে জামা কাপড় পরিয়ে মালিশ করিয়ে দিবে না। 

 এবার আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব এই মালিশ পার্লারের মালিকের সাথে। এনার নাম "আডা বারাক"। উনি এই পার্লারের একমাত্র মালিক। এমন কি এই উপায়ে শরীর মালিশ করার পদ্ধতিও তার আবিস্কার করা। এটা তিনি আবিস্কার করেন অনেকটা নিজের অজান্তে। তার নিজের পোষা একটি সাপ তার পিঠে উঠে যায় এবং তিনি অনুভব করেন যে এটা অন্যরকম এক আনন্দের মালিশ। আর এখান থেকেই তার মাথায় চলে আসে এই বুদ্ধি আর কি ছোট খাট একটা সাপের খামার খুলে বসেন আর সাথে পার্লার। এ নিয়ে আডা বলেন, "তাকে অনেকেই বলেছে সাপ দিয়ে শরীর মালিশ সত্যিই এক অন্য রকম অনুভূতি।"    যদিও আডার দাবি এই পদ্ধতির আবিস্কারক তিনি, কিন্তু একটু ইতিহাসে গেলেই দেখা যাবে সাপের সাহায্যে এরকম শরীর মালিশ বেশ পুরাতন প্রথা। বিষেশ করে যে সকল জাতি সাপের পূজা আর্চনা করত।

আডা এর ভাষ্য মতে, লম্বা সাপ গুলি একটু বেশী কার্যকর। সাপ যত বড় হবে তত ভাল নাকি কাজ করবে এটি। এই পার্লারের যে শুধু মাত্র এই কারনে নাম করেছে তা নয়, আরেকটি কারনেও এই পার্লার বেশ বিক্ষাত আর তা হল এর সংরক্ষনে থাকা বেশ কয়েকটি দূর্লভ প্রজাতির মাংসাশী গাছ। এখানে গেলে আপনি চাইলে নিজ হাতে এই সব মাংসাশী গাছদের খাওয়াতেও পারবেন। সেই ব্যাবস্থাও রেখেছেন আডা। কি ভাবছেন কোন পাগলে যাবে সাপ দিয়ে শরীর মালিশ করতে?? ভাবতেই পারেন কিন্তু বাস্তবতা হল এটি বর্তমানে দক্ষিন ইসরাইলের একটি নাম করা পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা অনেক পর্যটন যেমন আসে এখানে তেমনি দেশি লোকের অভাব পরে না। আর মালিশ করাতে একটু আগের থেকেই আপনাকে বুকিং দিতে হবে। তা না হলে লাইনে বসে বসে আপনাকে ঝিমাতে হবে আর তা না হলে মাংসাশী গাছ গুলাকে মাছি ধরে ধরে খাওয়াতে হবে। কি যাবেন নাকি একবার? যদি ইসরাইল কোন দিন যাওয়া হয় তাহলে একবার অভিজ্ঞতার খাতিরে ঘুড়ে আসাই যায় কি বলেন। অন্তত্য দেশে ফিরে সবাইকে ছবি দেখিয়ে বলতে পারব, "দেখ আমি কত সাহসি, সাপ আমার শরীর মালিশ করে দেয়"।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ




ঋণ বিতরণ ও নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের দায়ে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সচিবকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এ এম এস আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সচিব ড. আসলাম আলম বরাবর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পাঠানো চিঠিতে এ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারা অনুযায়ী, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেসিক ব্যাংকের ঋণ বিতরণ ও নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব অনিয়ম ‍ও দুর্নীতি ধরা পড়েছে, সেসব অনিয়মের দায় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ এড়াতে পারে না। কিন্তু পর্ষদে ভাঙার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের এখতিয়ারভুক্ত নয়। বিধায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

চিঠির একটি অনুলিপি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। এরআগে গত ২৬ মে রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটির গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখায় নতুন ঋণ বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে আগামীতে কোনো শাখায় ঋণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ব্যাংকটিকে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়। তার একদিন আগে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বিশেষায়িত এ ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

১৪০টা পোশাক পড়বেন আনুশকা




অনুরাগ কাশ্যপের ‘বম্বে ভেলভেট’ ছবি নিয়ে নানারকম উত্তেজনা তুঙ্গে৷ কখনও ছবির সেটে বিরাট কোহলি ও ক্যাটরিনার পৌঁছে যাওয়া৷ কখনও রণবীর-আনুশকার প্রেম পর্ব৷ আর এবার এই ছবিতেই ১৪০ টা ডিজাইনার পোশাক পড়ে রের্কড করতে চলেছে আনুশকা৷ অনুরাগের এই ছবিতে উঠে আসবে আশির দশকের মুম্বাই৷ আর তাই অভিনেতাদের লুকেও থাকবে সেই সময়ের টাচ৷





জানা গিয়েছে, আনুশকার এই পোশাক ডিজাইন করছেন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ফ্যাশন ডিজাইনার নীহারিকা খান্না৷ শওনা গিয়েছে, বহু দিনের রিসার্চের পরই এক্সক্লুজিভ একশো চল্লিশটি পোশাক ডিজাইন করেছেন নীহারিকা৷ ‘বম্বে ভেলভেট’ ছবিতে অনুষ্কার সঙ্গে দেখা যাবে রণবীর কাপুর ও করণ জোহরকে৷ ছবিটি মুক্তি পাবে নভেম্বরের ২৮ তারিখ৷


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

মহিলা পুলিশকে ধর্ষণ করলেন থানার ওসি!




মহিলা কনস্টেবল একাধিক বার ধর্ষণ করলেন থানার ওসি৷ পাঞ্জাবেন মানসা জেলায় এমনই ঘটনা ঘটেছে৷ মহিলা কনস্টেবল মানসা পুলিশ ও ওমেন সেল চন্ডীগড়ে বয়ান দায়ের করেছেন৷ ওই মহিলা পুলিশ কর্মী সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে মামলা করারও দাবি তুলেছেন৷ অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর এখনও চন্ডীগড়ের ওমেন সেলে হাজিরা দেয়নি৷


মানসা পুলিশ তাকে ডাকা বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন৷ এই মামলায় ভাটিন্ডা রেঞ্জের আইজি মানসার এসএসপিকে এই বিষয়ে শীঘ্র তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ মানসা পুলিশের মহিলা কনস্টেবল সদর বুদলাডা থানার সাব ইন্সপেক্টর মনজিত সিংয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক শোষণ করার অভিযোগ করেছেন৷

ওই মহিলা ভাটিন্ডা রেঞ্জের আইজির সঙ্গে দেখা করার পরই তিনি মানসার এসএসপিকে তদন্তের নির্দেশ দেন৷ এসএসপি একটি তদন্তকারী কমিটি তৈরি করেছেন৷ এর মুখ্য ভূমিকায় থাকা কুলদীপ শর্মার কাছে ওই মহিলা কনস্টেবল জানিয়েছেন, মনজিৎ সিং তার উপর দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখন তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ এসপিএইচ কুলদীপ শর্মা জানিয়েছেন, মহিলা পুলিশ কর্মীর বয়ানে কিছু কমতি রয়েছে যাকে পুরো করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

একাই গন্তব্যে পৌছাবে গুগলের গাড়ী




রূপকথার গল্পে জাদুর পাটি উড়িয়ে নিয়ে যায় গন্তব্যে। কেমন হবে যদি বাস্তবেও এমন হয়? এই রূপকথার গল্পই বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। তবে পাটি নয়, চালকবিহীন গাড়িই আপনাকে পৌঁছে দেবে গন্তব্যে! যে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হাতল (স্টিয়ারিং), গতিবর্ধক (এক্সেলেরেটর), গতিরোধক (ব্রেক) কিছুই থাকবে না।



চালকবিহীন গাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে এভাবেই চমকে দিলো গুগল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ক্যালিফর্নিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিস্ময়কর খবর জানানো হয়। গুগলের প্রকৌশলী সেবাস্টিন থ্রুন’র অধীনে প্রায় এক বছর যাবৎ চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ দল। গাড়িটির সহ-উদ্ভাবক সার্জে ব্রিন জানান, প্রায় একশ’ জন নির্মাতা প্রচলিত গাড়ির মডেলের চেয়ে ভিন্ন আকারে এর নিজস্ব মডেলে গাড়িটি নির্মাণে কাজ করছে। যেন যে কোনো ব্যক্তিরই নতুন এই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে সুবিধা হয়। কেবল ‘স্টপ’ এবং ‘গো’ বোতাম সম্বলিত গাড়িটি ঘণ্টায় ২৫ মাইল যেতে সক্ষম।



গুগলের চালকবিহীন গাড়ি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ক্রিস উর্মসন তার ব্লগে লিখেছেন, ‘ভাবুন, দুপুরে মূল শহরে খাবার খেতে গিয়ে আপনাকে পার্কিংয়ের কথা চিন্তা করতে হবে না। গাড়িতে থাকা সেন্সর ব্যবহার করে নিজেই পার্ক হয়ে যাবে গাড়িটি। নির্মাতারা এমনভাবে গাড়িটি নির্মাণ করেছেন, যেখানে মানুষের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই এটি নিরাপদে চলবে। গাড়িটিতে নিয়ন্ত্রণ হাতল (স্টেয়ারিং), গতিবর্ধক (এক্সেলেরেটর), গতিরোধক (ব্রেক) কিছুই রাখা হয়নি। কারণ গাড়িতে ভ্রমণকারী ব্যক্তির এগুলো কিছুই দরকার হবে না। সফটওয়্যার এবং গাড়িতে থাকা সেন্সরই সব কাজ করে দেবে।



গাড়িতে কেবল একটি ‘স্টপ’-‘গো’ বোতাম এবং চলার পথ দেখার জন্য পর্দা দেওয়া থাকবে। গুগল মানচিত্রের ওপর নির্ভর করে গাড়িটি চলবে। গাড়িটিতে এত শক্তিশালী সেন্সর দেওয়া হয়েছে যা দুইটি ফুটবল খেলার মাঠের চেয়েও বড় আয়তনে থাকা বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করতে পারবে, যেটা আবার ব্যস্ত সড়কে চলতে খুবই সাহায্য করবে। প্রাথমিকভাবে গুগল একশ’ চালকহীন গাড়ি নির্মাণ করে গ্রীষ্মকালের শেষেই পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম অবস্থায় অবশ্য, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা রাখা হবে। সব ঠিকঠাকভাবে চললে আগামী দুই বছরের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালানো হবে।



সার্জে ব্রিন বলেন, আমরা জানার চেষ্টা করছি গাড়িতে কী কী থাকলে যাত্রীরা আরামবোধ করবেন। চালকবিহীন ‍গাড়িতে পাঠকরা কী চান সে প্রশ্নও করেন নিজের ব্লগে। প্রকল্পের নিরাপত্তার বিষয়ক পরিচালক রন মেডফোর্ড বলেন, গাড়িটিতে যাত্রীর নিরাপত্তাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি চালকদের ভুলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় যে মৃত্যু ঘটে থাকে এ গাড়ি ব্যবহারে তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে।  যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যে আইনও পাস করিয়েছে গাড়িটির চলাচলের জন্য।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

বিজিবি সদস্যকে মুক্তি দেয়ার দাবি : মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রণালয়ে তলব




বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ উয়েন লুউইনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। এ সময় সীমান্তে বিজিবির ওপর মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের গুলিবর্ষণ ও এক বিজিবি সদস্যকে আটক করার ঘটনায় কড়া লিখিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সটার্নাল উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককালে সচিব (দ্বিপাক্ষিক) মোস্তফা কামাল আটক বিজিবি নায়েক মো. মিজানুর রহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি যথাসময়ে মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা ও পরে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সীমান্তে বিজিবির ওপর মিয়ানামার বর্ডার গার্ড পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণের পর থেকে বিজিবির নায়েক মো. মিজানুর রহমান নিখোঁজ রয়েছেন।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস বার্মার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি ও আটক বিজিবি সদস্য মো. মিজানুর রহমানকে মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.