রেকর্ড আর্জেন্টিনার পক্ষে তবুও কথা থেকে যায়




লাতিন ফুটবলের অন্যতম প্রতিভূ আর্জেন্টিনা দুই ম্যাচে জয়ী হয়ে উঠে গেছে ‘হাউজ অব সিক্সটিনে’। শেষ ম্যাচ আজ। এবার তাদের প্রতিপক্ষ সেই চিরচেনা আফ্রিকার ফুটবল পরাশক্তি নাইজেরিয়া। আর্জেন্টিনা ৬ এবং নাইজেরিয়া ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। আর্জেন্টিনা চাইছে এই ম্যাচে নাইজেরিয়াকে পরাজিত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে। অন্য দিকে নাইজেরিয়ার স্বপ্ন এই খেলায় আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে গ্রুপ শীর্ষ হওয়া। তবে হেরে গেলে তাদেরকে অনেক হিসাব-নিকাশের মধ্যে পড়তে হবে।


আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচে বসনিয়াকে ২-১ এবং ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের খেলা মন ভরাতে পারেনি। মেসি দু’টি নান্দনিক গোল করেছেন ঠিকই। তবে ম্যারাডোনার দেশটিকে তাদের চিরচেনারূপে দেখা যায়নি। বাছাই পর্বে তাদের দাপটের ধারাবাহিকতা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন আর্জেন্টিনার হাতে রয়েছে দুনিয়া কাঁপানো আক্রমণভাগ। হিগুয়েন, অ্যাগুয়েরো, ডি মারিয়া এবং সবার ওপরে থাকা মেসি। তাদের মধ্যে মেসির উপস্থিতি হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো দেখা গেলেও ডি মারিয়া, অ্যাগুয়েরো কিংবা হিগুয়েনকে তেমন উজ্জ্বলভাবে দেখা যায়নি। যদিও মারিয়া জানিয়েছেন, তাদের দুই সেরা স্ট্রাইকার হিগুয়েন অ্যাগুয়েরো ইনজুরিতে। তাই তারা তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছেন না। বসনিয়া ও ইরানের বিপক্ষে এই দুইজনকে নি®প্রভ মনে হয়েছে।



 এ ছাড়া আর্জেন্টিনা তাদের চিরায়ত ঐতিহ্যিক স্টাইলকে মাঠে দেখাতে পারছে না। ছোট ছোট পাস। শিল্পকে ধারণ করে এগিয়ে চলা এবং মাঝমাঠ দিয়ে হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে আক্রমণ করা। কিন্তু দুই ম্যাচেই আর্জেন্টিনার সেই ম্যাচের ধারা দেখা যায়নি। বসনিয়ার সাথে চেষ্টা করেছে তারা। তবে ইরানের শক্তিশালী ডিফেন্সের সামনে অনেকটা অসহায় মনে হয়েছে মেসি বাহিনীকে। ম্যাচের শেষ মিনিটে মেসির আচমকা মাপা শটে গোল না হলে হয়তো ড্র হয়ে যেত ম্যাচ। আজকে আর্জেন্টিনা তাদের ছন্দময় খেলা খেলে নাইজেরিয়াকে চাপে রাখবে। সুন্দর ফুটবল খেলাটা আর্জেন্টিনার কাছে প্রধান বিষয়। ঈর্ষণীয় স্ট্রাইকিং জোন নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় প্রতিপক্ষের ওপর। সুন্দর খেলার পাশাপাশি গোলও করতে হবে স্ট্রাইকার জোনকে। তাই কোচ হিগুয়েন এবং অ্যাগুয়েরোর বিকল্প হিসেবে লাভেজ্জি ও পালাসিওর কথা মাথায় রেখেছেন।



 তাদের তিনি ইরানের বিপক্ষে মাঠে নামিয়েছেন। মাঝমাঠে দীর্ঘদেহী নাইজেরিয়ার ফুটবলারদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা তাদের টেকনিক দিয়ে প্রাধান্য বিস্তার করতে চাইবে। ফলে ডি মারিয়াকে আরো গতিময় হতে হবে। মাসকেরানো, পাবলো জাবালেতা, গাগো, রোজা কিংবা ফ্রেডরিককে তাদের সেরাটা দিয়ে আর্জেন্টিনাকে এক দলে পরিণত করতে হবে। শুধু মেসির দিকে চেয়ে থাকলেই হবে না। তাকে সহায়তাও করতে হবে। যদিও কোচ সাবেলা বলেছেন, মেসির মতো একজন তারকা ফুটবলার থাকলে যেকোনো ম্যাচের চরিত্র বদলে যেতে পারে। বসনিয়া ও ইরানের বিপক্ষে মেসি যে ম্যাজিক মুহূর্ত নির্মাণ করেছিলেন আজো কি তা দেখা যাবে। যদিও আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা মেসির ম্যাজিক মোমেন্ট দেখার জন্য আশা করে আছে। সাবেলা একটা বিষয়ে তেমন চিন্তিত নন। তা হলো তার দলের কারো তেমন বড় কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই। সবাই পুরোপুরি ফিট।




নাইজেরিয়ার সামনে এক কঠিন পরীক্ষায় তাদের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার মুখোমুখি তারা। বসনিয়ার সাথে জয় পাওয়ার পর তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার স্বপ্ন দেখছে। আর্জেন্টিনার সাথে ড্র করতে পারলেই তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে এবং ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর আবার তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে। নাইজেরিয়া ২০০২ এবং ২০১০ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল। গ্রুপ পর্বে তারা সবার নিচে ছিল। গত বিশ্বকাপে নাইজেরিয়া পরাজিত হয়েছিল গ্রিসের কাছে। স্টিফেন কেশি কোচ হিসেবে আসার পর ২০১৩ সালে নাইজেরিয়া জয় করে আফ্রিকান নেশনস কাপ। এবার সুপার ঈগলরা দ্বিতীয় রাউন্ডের কাছাকাছি। দলে আছেন জন ওবি মাইকেল। তিনি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে চমৎকার নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন। এ ছাড়া ওগেনাই ওনজি চার ডিফেন্সের একজন, যিনি দলকে সব সময় শক্ত অবস্থানের ওপর দাঁড় করাতে চান। নাইজেরিয়ার সেরা তারকা অবশ্য ওদেমউইঙ্গি।



এই স্ট্রাইকার দলের হয়ে দৃষ্টিনন্দন কারিশমা দেখাচ্ছেন। এমনকি গোলও করেছেন। তিনি পাসিংয়ের ক্ষেত্রে ৯১ ভাগ সফল এবং গোলের সুযোগও সৃষ্টি করেছেন। ইমানিকের সাথে যৌথভাবে আক্রমণ রচনা করতে ভালোবাসেন ওদেমউইঙ্গি। তবে নাইজেরিয়ার ভিক্টর মোজেস এবং গডফ্রে ওরোয়াবোনি ইনজুরিতে পড়েছেন। তাদের কোচ অবশ্য আশা করছেন যে, তারা দুইজন আজ খেলতে পারেন।


নাইজেরিয়া ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম বসনিয়াকে পরাজিত করে জয়ের মুখ দেখল। ফ্রান্স বিশ্বকাপের পর এবার তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারে। ব্রাজিল বিশ্বকাপে নাইজেরিয়া এখন পর্যন্ত কোনো গোল খায়নি। আর্জেন্টিনা এর আগে নাইজেরিয়ার সাথে ৬ বার মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে চারবার জয়ী হয় আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা ইতোমধ্যে শেষ ১৬-তে উঠে গেছে। তবে নাইজেরিয়ার সাথে তারা পরাজিত হলে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে।
নাইজেরিয়া দুর্দান্ত খেলেছে বসনিয়ার সাথে। তারা গোলও পেয়েছে। তারা কাউন্টার অ্যাটাকে বসনিয়াকে গোল দিয়েছিল। সেই একই ধারায় খেলে তারা আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করতে চায়। তবে মেসি এমন একজন ফুটবলার যিনি দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। ফলে আর্জেন্টিনাই ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করবে এবং ২-১ গোলে জয়ী হবে।





Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

লিবিয়ায় নিহত দুই ভাইয়ের গ্রামের বাড়ি গোসাইরহাটে শোকের মাতম




লিবিয়ার বেনগাজীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শরীয়তপুরের দুই প্রবাসী সহোদরের মৃত্যুর খবরে তাদের গ্রামের বাড়ি গোসাইরহাটের সাবেরপাড়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য দুই ছেলে স্বপন ও মিলনকে বিদেশে পাঠিয়ে এখন বাকরুদ্ধ তাদের বাবা-মা। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার সংবাদ শোনার পর মিলন ও স্বপনের প্রতিবেশীরাও শোকাচ্ছন্ন
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে ২০১০ সালে মিসর যান শরীয়তপুরের কৃষক পরিবারের সন্তান মিলন ছৈয়াল। ২০১২ সালে একই পথে পাড়ি জমান বড় ভাই স্বপন ছৈয়ালও। পরে একটি মিনারেল ওয়াটার কারখানায় কাজ নিয়ে দুই ভাই মিসর ছেড়ে চলে যান লিবিয়ার বেনগাজী শহরে। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করার জন্য সেখানে কঠোর পরিশ্রম করছিলেন দুই ভাই। কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের মৃত্যুতে ঘোর অনিশ্চয়তায় এখন তাদের পরিবার।
প্রতিদিনের মতো গত শনিবারও বেনগাজী শহরে ভাড়া বাসায় বসে সহকর্মীদের সাথে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন দুই ভাই। হঠাৎ একটি শব্দ। আর মুুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন দুই ভাই। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তাদের। একই ঘটনায় আরো দুই বাংলাদেশী আহত হয়েছেন। তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইব্রাহিম ও কামাল। ইব্রাহিম প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছাড়া পেলেও কামাল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহত স্বপন ছৈয়ালের স্ত্রী মালেকা বেগম বলেন, এক মাস বয়সী সন্তান সাব্বিরকে রেখে বিদেশে যায় তার বাবা। ছেলেটার বয়স এখন আড়াই বছর। বাবার কোলে তো আর চড়া হবে না, অন্তত বাবার মুখটা সে যেন শেষ বারের মতো দেখতে পারে সরকার যেন সেই ব্যবস্থা করে।
নিহত স্বপন ও মিলনের মা মুর্শেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সামনের ঈদে দুই ছেলের দেশে আসার কথা ছিল। ছোট ছেলে মিলনের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছিলাম। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।
তাদের বাবা আব্দুল কুদ্দুস ছৈয়াল বলেন, দুই ছেলেকে তো আর পাব না। তবে তাদের লাশটা যেন দ্রুত দেশে এনে মাটি দিতে পারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এটাই আমাদের দাবি।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ডিএনডিবাসী চরম দুর্ভোগে




কলেজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিদারুণ কষ্টে পড়েছেন তাহমিনা আক্তার। এক হাতে বইপত্রের ব্যাগ অন্য হাতে ছাতা আর জুতা। পা ডুবে আছে পানির নিচে। কাদা-পানি তার ওপর গর্ত। এভাবে চরম দুর্ভোগের মধ্যে গত রোববার সকালে তার কলেজে যাওয়া। ডিএনডির দেলপাড়া আদর্শনগরের বাসিন্দা রিমা আক্তার লিপি তোলারাম কলেজের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি জানালেন, টানা বৃষ্টিতে তাদের কষ্টের শেষ নেই। ঘরের ভেতরে পানি ঢুকেছে, রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। তার মধ্যে কাদা আর বড় বড় গর্ত। ক্যানেলগুলোতে পানি চলাচল বন্ধ। কি যে দুর্ভোগ, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
একইভাবে আক্ষেপের সুরে ডিএনডির টাওয়ারপার এলাকার বাসিন্দা হাজী আবুবকর সিদ্দিকের অভিযোগ, ডিএনডির মানুষের কষ্ট আর দুর্ভোগ কি কেউ দেখে? এক দিকে রাস্তাঘাটের বেহাল, অন্য দিকে ড্রেনের ব্যবস্থা নেই। ক্যানেলগুলো ময়লাআবর্জনায় ভরে গেছে। পানি সরবরাহ কম হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে রিকশা কিংবা অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের কি যে কষ্ট শুরু হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা বর্ষণে ডিএনডিতে বসবাসকারী বিপুল মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ডিএনডির নি¤œাঞ্চলের অনেকের বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানির নিচে। এর মধ্যে মেরামত না করায় অনেক রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এক দিকে অঝোর বৃষ্টি অন্য দিকে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ডিএনডি এলাকার বাসিন্দা কুতুবপুর ইউপির ৪ নম্বর মেম্বর জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৩৩ বছরেও ডিএনডি এলাকার মানুষের দুঃখকষ্ট আর দুর্ভোগ দূর হয়নি। প্রতি বছর বর্ষাকাল আসে অভিশাপ হয়ে। ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট ডুবে যায় পানিতে। কষ্টের মধ্যে মানুষকে বসবাস করতে হয়।
সূত্র জানায়, ডিএনডির মূল পরিসীমা ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন। সরেজমিন দেখা গেছে, টানা বর্ষণে ডিএনডির দেলপাড়া ভুইগড়, আর্দশনগর, চিতাশাল, নুরবাগ, কুসুমবাগ, শাহীবাজার রসুলপুর, নিশ্চিন্তপুর, রামারবাগ, নন্দলালপুর, তক্বারমাঠ, লালপুর, ইসদাইর, লামপাড়া গাবতলি, জালকুড়ি, পাগলা, নয়ামাটি, সিদ্ধিরগঞ্জ, মিজিমিজি, বাগমারা, সানারপাড়, মৌচাক, মামুদপুর, মাদবরবাজার, তুষারধার, গিরিধারা, মাতুয়াইল, শনিরআখড়া, নামাশ্যামপুর, মোহাম্মদবাগসহ বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তা তলিয়ে গেছে পানির নিচে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরার (ডিএনডি) নি¤œাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ হলো এখানে ক্যানলগুলো ময়লাআবর্জনায় ভরে যাওয়ার কারণে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে না। এ ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর তোলার পরও অনেকে পাানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখেনি। এতে সামান্য বৃষ্টিতে ডিএনডির নি¤œাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। সূত্র জানায়, ডিএনডি এলাকায় প্রায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। ডিএনডি বাঁধ এলাকার আয়তন ৩২ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। ইরিধান চাষাবাদের জন্য ১৯৬৫ সালে ডিএনডি বাঁধ নির্মাণ শুরু করা হয়। তখন ডিএনডির ভেতরে সেচ প্রকল্প ছিল পাঁচ হাজার ৬৪ হেক্টর।
সূত্র জানায়, আশির দশকের পর থেকে লোকজন ডিএনডি বাঁধের ভেতরে জমি কিনে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর, ইটের ভাটা, ছোট-বড় শিল্পকারখানা নির্মাণ করে। অপরিকল্পিত আবাসিক ও কলকারখানা নির্মাণের কারণে ডিএনডি বাঁধ এলাকায় প্রতি বছরই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ নিয়ে এলাকাবাসী দীর্ঘ দিন আন্দোলন করে কিন্তু নিয়মনীতি না থাকায় খালগুলোতে ময়লাআবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া খালের দুই পাশ দখল করে দোকানঘর, বাড়ি, কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ করে মাছ চাষ করা হয় অনেক স্থানে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, আবাসিক ও শিল্পবর্জ্য ফেলার কারণে ডিএনডির নিষ্কাশন খালগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু ক্যানেল নেটওয়ার্ক এবং পাম্প সচল থাকায় বর্তমানে ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা সহনীয়পর্যায়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার জলাবদ্ধতা ও নিষ্কাশনব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১১৩ কিলোমিটার খালের বর্জ্য অপসারণের জন্য সরকার জরুরিভিত্তিতে তিন কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালের ৩০ জুন প্রকল্পকাজ শেষ করে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদনের তালিকায় ডিএনডি এলাকার খালের বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করার কাজটি ১ নম্বর তালিকাভুক্ত করে গত ২৮ এপ্রিল মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইলের ডিএনডি পাম্পহাউজের একজন কর্মকর্তা জানান, বৃষ্টিতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রধান নিষ্কাশন খালগুলো দিয়ে স্বাভাবিকভাবে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই খালগুলোর পথগুলোও পরিষ্কার রয়েছে। কিন্তু শাখা খালগুলো ময়লাআবর্জনায় আটকে যাওয়ার কারণে ডিএনডির প্রধান খাল পর্যন্ত পানি যেতে পারছে না।
এ দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তারা ডিএনডি ক্যানেলের কয়েকটি স্থান অবৈধ দখলমুক্ত ও ময়লাআবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ইউক্রেনে সাময়িক অস্ত্রবিরতি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের




অবশেষে সাময়িক সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হলো ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি৷ সোমবার বিকেলে সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষণা করেন দোনেৎসকের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আলেকজেন্ডার বরোদাই।

জানা যায়, ইউক্রেন সরকারকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আলেকজেন্ডার বরোদাই৷ ততোদিন যদি পেট্রো পরশেনকো সরকার তাঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি দাওয়া মেটাতে সম্মত না হয়, তবে ফের সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেবেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷

উল্লেখ্য, রবিবার ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিংসা বন্ধের আর্জি জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আহ্বানে সাড়া দেওয়ায়, ইউক্রেন সঙ্কট কাটার সামান্য হলেও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷






Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ইরাকের অখণ্ডতা রক্ষা করতে কুর্দিদের প্রতি কেরির আহ্বান




মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইরাকের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য কুর্দিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের নেতাদের সাথে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। ইরাক সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে দেশটি সফর করছেন কেরি।
গতকাল মঙ্গলবার তিনি ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে পৌঁছেন। দেশটির টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যাওয়া ঠেকাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি সেখানে গেছেন। আগের দিন বাগদাদে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতার সাথে আলোচনা করেন কেরি। তিনি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি ও অন্য নেতাদের সাথে বৈঠককালে দেশটিতে সরকার গঠন প্রক্রিয়া জোরদারের আহ্বান জানান। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে কেরি বলেন, ইরাকি নেতৃবৃন্দ দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদপে নিলে ওয়াশিংটন ব্যাপক ও টেকসই সহায়তা দেবে। আর তখন তা হবে অধিক কার্যকর। তিনি বলেন, ‘ইরাকের ভবিষ্যতের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা মনে করেন ইরাকের অখণ্ডতা রক্ষায় কুর্দি নেতাদের বাগদাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকতে সম্মত করা জরুরি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা যদি বাগদাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাতে অনেক নেতিবাচক প্রবণতা সৃষ্টি হবে।
কুর্দি নেতারা স্পষ্ট করে বলেছেন, ইরাকের অখণ্ডতা রক্ষার প্রচেষ্টা এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। কেরির সাথে বৈঠকের শুরুতে কুর্দি প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি বলেন, আমাদের সামনে এখন নতুন এক বাস্তবতা ও নতুন এক ইরাক রয়েছে। এর আগে তিনি সহিংসতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির ভ্রান্ত নীতিকে দায়ী করেন এবং তার পদত্যাগ দাবি করে বলেন, ইরাকের অখণ্ড থাকার কথা চিন্তা করা কঠিন।
ন্যাটোর মন্ত্রীদের বৈঠক
ইরাক সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাগদাদের দিকে অগ্রসরমান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাককে ‘ব্যাপক’ সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার করার পর এ বৈঠক হয়। চলতি মাসের শুরুতে ন্যাটো প্রধান অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেন, ইরাকের ঘটনাবলির প্রতি জোট গভীর নজর রাখছে। তবে তিনি এও বলেন, সঙ্ঘাতের ঘটনায় তাদের কিছু করার নেই।
প্রধান তেল শোধনাগার দখল করল আইসিস
 দেশটির প্রধান তেল শোধনাগারটি দখল করেছে বলে দাবি করেছে আইসিস।
ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ ওই তেল শোধনাগারটি রাজধানী বাগদাদের উত্তরে সালাউদ্দিন প্রদেশের বেইজি শহরে অবস্থিত। এর আগে দলটি ওই তেল শোধনাগার দখলেরও জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালায় তারা। এ শোধনাগারটি দেশের পরিশোধিত জ্বালানি তেলের এক-তৃতীয়াংশের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দ্বারপ্রান্তে আইসিআইএস
ইরাকের বিদ্রোহীরা সিরিয়া সীমান্তের সব ক’টি এবং জর্দান সীমান্তের একটি সীমান্ত চৌকি দখল করে নিয়ে গোটা পশ্চিম সীমান্তে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দখলকৃত এলাকাকে নিয়ে তারা যে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাকে বাস্তব রূপ প্রদানে সক্ষম হয়েছে।
সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে সিরিয়া, জর্দান এমনকি সৌদি আরবে বিদ্রোহী তৎপরতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। জর্দান ও সৌদি আরব হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের অন্যতম।





Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

সর্বকালের সেরা ৫টি হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র




বর্তমানে আমাদের পাশের দেশ ভারতের সিনেমা ও সংস্কৃতি আমাদের প্রভাবিত করছে দারুণ ভাবে। শুধু আমাদেরই না, হলিউডের পর বলিউড দখল করে নিয়েছে আর্ন্তজাতিক সিনেমা অঙ্গন। যদিও বলিউডের ব্যবসায়িক চলচ্চিত্রগুলোর শৈল্পিক মান নিয়ে চলচ্চিত্রবোদ্ধা ও সমালোচকদের নাক সিটকানো ভাব রয়েছে। এবং সেটা অমূলকও নয়। তথাপি বলিউডেও তৈরি হচ্ছে দারুন সব চলচ্চিত্র। এইতো গত বছর পূর্ণ হলো বলিউডের একশো বছর। আর এ উপলক্ষে এনডি টিভি বাছাই করেছিলো এ যাবৎ বলিউডের ৫টি সেরা ছবি। আসুন জেনে নেই সর্বকালের সেরা ৫ টি বলিউড চলচ্চিত্রের কথা।

৫। দো বিঘা জামিন:
‘দো বিঘা জামিন’ বাঙালি চলচ্চিত্রকার বিমল রায়ের হিন্দি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র। এটি ১৯৫৩ সালে মুক্তি লাভ করে। সলিল চৌধুরীর ছোট গল্প থেকে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি ইটালিয়ান নিওরিয়ালিস্টিক ঘরানার ভিত্তিরিও দে সিকা’র Bicycle Thieves (1948) সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করেন বিমল রায়।
শাম্ভু মাহেতো নামের কৃষকের স্ত্রী পার্বতী আর ছেলে কানহাইয়্যাকে নিয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল দুই বিঘা জমি রক্ষা করতে জীবনযুদ্ধের চিত্রিত রূপ ‘দুই বিঘা জামিন’। আশা-নিরাশা আর স্বপ্ন-হতাশা ও প্রাপ্তির গল্পের বুনটে এই চলচ্চিত্র জয় করে নিয়েছিলো 7th Cannes Film Festival (1954) এ Prix International পুরস্কার সহ বেশ কয়টি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পুরস্কার।

৪। দো আঁখে বারা হাত:
হিন্দি চলচ্চিত্র পরিচালক ভানকুদরে শান্তারাম পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি মানবিক মনোস্তাত্বিক গল্প নিয়ে নির্মিত। 8th Berlin International Film Festival এ ‘দো আঁখে বারা হাত’ জিতে নেয় সিলভার বিয়ার আর এটিই প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র যা জয় করে নেয় গোল্ডেন গ্লোব এ্যাওয়ার্ড স্যামুয়েল গোল্ডউইন এ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে। ছয় বন্দীকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই চলচ্চিত্র ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায়।

৩। মাদার ইন্ডিয়া:
আমেরিকান লেখক ক্যাথেরিন মায়োস এর ভারতীয় সমাজ, ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক বই ‘মাদার ইন্ডিয়া’ পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে পরিচালক মেহবুব খান তাঁরই আরেক চলচ্চিত্র আওরাত (১৯৪০) এর রিমেক করেন ১৯৫৭ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ নামের এই চলচ্চিত্রটি। নার্গিস, সুনীল দত্ত, রাজেন্দ্র কুমার, রাজকুমারের অসাধারণ অভিনয় এই চলচ্চিত্রের প্রাণ।

প্রতিকূল সমাজ ও পরিস্থিতিতে একজন দারিদ্র্যপীড়িত মহিলার তার সন্তানদের নিয়ে নিজের আদর্শে টিকে থাকার গল্প নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্র ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে প্রথম ১৯৫৮ সালে দ্য একাডেমি এ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ফরেইন ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম শাখায় প্রতিযোগিতা করার অনুমোদন পায়। এছাড়াও মূখ্য অভিনেত্রী নার্গিস এবং পরিচালক মেহবুব খান বিভিন্ন জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পদক লাভ করেন এবং প্রশংসিত হন।

২। পিয়াসা:
ভারতের স্বাধীনতা উত্তর অস্থির সময়ের এক ব্যর্থ কবির জীবন সংগ্রামের গল্প নিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা গুরু দত্ত তৈরি করেন ‘পিয়াসা’। এস ডি বর্মণের সুরকৃত মোহাম্মদ রাফির কণ্ঠে অসম্ভব সুন্দর বেশ কিছু গান রয়েছে এই সিনেমায়। গুরু দত্ত পরিচালনার পাশাপাশি মূল চরিত্রে অভিনয়ও করেন। গুলাব নামের পতিতার চরিত্রে ওয়াহিদা রেহমান অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন। টাইম ম্যাগাজিনের ‘সর্বকালের সেরা ১০০ সিনেমা’র তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলো ‘পিয়াসা’।

১। লগান:
এই চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে আপনারা সকলেই হয়তো কম বেশি জানেন। পরিচালক আশুতোষ গুয়ারিকের রচনায় ও পরিচালনায় ‘লগান’ একটি এপিক স্পোর্টস ড্রামা। বক্স অফিসে আলোড়ন তোলা এই চলচ্চিত্রে রয়েছে আমির খান, গ্রেসি সিং এর দুর্দান্ত অভিনয় আর এ আর রহমানের সুর করা চমৎকার সব গান।
ইংরেজদের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষেরা ক্রিকেট খেলে, এই খেলা যেন শুধু খেলা নয় শোষকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সংগ্রাম, অলিখিত প্রাণপণ যুদ্ধ।

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ এ লগান মনোনিত হয় বেস্ট ফরেন ল্যাঙুয়েজ ফিল্ম ক্যাটাগরিতে একাডেমি এ্যাওয়ার্ড নমিনেশন অনুষ্ঠানে। এছাড়াও প্রচুর জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পদকে ভূষিত হয় লগান চলচ্চিত্রটি। ভারতীয় চলচ্চিত্রে এটি নতুন ইতিহাস তৈরি করে।





Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ধোনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আদালতের




 ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল অন্ধ্রপ্রদেশের একটি আদালত। হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর আগে তিন তিন বার অনন্তপুরের ওই আদালত ধোনিকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন দিয়েছিল। কিন্তু ধোনি আদালতে হাজিরা দেননি। এরপরই বিচারক ধোনিকে আগামী ১৬ জুলাই আদালতে পেশ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।

একটি ম্যাগাজিনের কভারে প্রকাশিত ধোনির একটি ছবির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থানীয় এক নেতা গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। বিজনেস টুডে-র ২০১৩-র এপ্রিল সংখ্যায় ভগবান বিষ্ণুর বেশে ধোনির একটি ছবি প্রকাশিত হয়। ওই ছবিতে ধোনির হাতে ছিল জুতো সহ বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য। আদালতে দায়ের করা পিটিশনে ওই ভিএইচপি নেতা অভিযোগ করেন যে, এক হিন্দু দেবতার অবমানণা করে ওই ছবির মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে।ধোনির বিরুদ্ধে একই ধরনের পিটিশন দিল্লি,পুনে ও অন্যান্য কয়েকটি শহরেও দায়ের করা হয়েছে।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ভারতের পরামর্শেই নিজামীর রায় স্থগিত : হান্নান শাহ




বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের নির্দেশেই জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকালে হরতাল হতে পারেÑ এই আশঙ্কা থেকেই প্রতিবেশী দেশের পরামর্শে যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় স্থগিত করা হয়েছে।



গতকাল জাতীয় প্রেস কাব মিলনায়তনে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামক সংগঠনের উদ্যোগে ‘আতঙ্কের জনপদ : বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন হান্নান শাহ।

আয়োজক সংগঠনের সভানেত্রী ফরিদা মনি শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির সহকারী দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো: হানিফ প্রমুখ।



বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেন, শুনেছিলাম আজ (মঙ্গলবার) একটা রায় আছে। সে জন্য সকাল থেকে রণ সাজে সজ্জিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কর্তৃত্ব দেখিয়েছে। পরে শুনলাম রায় হচ্ছে না। আমার এক হিতাকাক্সী বন্ধু বলেছেন, নয়াদিল্লি থেকে খবর এসেছে আজ রায় দেয়া যাবে না। কারণ কাল (বুধবার) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসবেন।



রায়ের প্রতিবাদে যদি হরতাল হয়, তাহলে সরকারের সাথে প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বের বেলুন ফুটো হয়ে যাবে। তাহলে কী বুঝলেন? বাংলাদেশের সব কিছু এখন বাইরের প্রতিবেশী দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। সাউথ ব্লক থেকে।

১৯ দলীয়  জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায়ের দিন নির্ধারিত ছিল গতকাল।



 তবে নিজামীর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় অপেমাণ রাখে। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র নেতা হান্নান শাহ উল্লিখিত মন্তব্য করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সীমান্তে অহরহ গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়, কাঁটাতারের মধ্যে ফালানীর লাশ ঝুলে থাকে, প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দারা এসে ঢাকা থেকে আমাদের লোকজনকে তুলে নিয়ে যায়Ñ এরকম অবস্থার মধ্যে আমাদের সার্বভৌমত্ব আছে কি? নিরপে সরকারের অধীনে নির্বাচনে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এক দিকে আমরা সংলাপের কথা বলছি। সরকার বলছে, না সংলাপ নয়। অন্য দিকে রাষ্ট্রপতি জাতিসঙ্ঘে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাই বিএনপির উচিত আর সংলাপের কথা না বলা। এখন এমন আন্দোলন করতে হবে, একদিন সরকারই সংলাপের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠবে। সরকারের উদ্দেশে হান্নান শাহ বলেন, এখনো সময় আছে, দ্রুত নির্বাচন দিন। নির্বাচন না দিলে আপনাদের বঙ্গোপসাগর ও পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিতে হবে। এর পরিণতি ভালো হবে না।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

যেসব অভিযোগে ফেঁসে যেতে পারেন নিজামী




১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এসময় নিজামীর বিরুদ্ধে মোট ১৬টি অভিযোগের উপর যুক্তিতর্ক চলে। পরে মামলাটি সর্বমোট তিনবার অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগপত্র অনুসারে নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগে গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(সি), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৪(১), ৪(২) ধারা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উষ্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার উপর এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও এ আইনের ৪(১) ও ৪(২) ধারায় অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও সুপিরিয়র রিসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগ রয়েছে নিজামীর বিরুদ্ধে।

নিজামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১৬ অভিযোগ হলো:
প্রথম অভিযোগ:
পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিনকে নির্যাতন করে হত্যা। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালাতেন। একাত্তরের ৪ জুন পাকিস্তানি সেনারা তাকে অপহরণ করে নূরপুর পাওয়ার হাউসের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে নিজামীর উপস্থিতিতে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ১০ জুন তাকে ইছামতি নদীর পাড়ে অন্যান্য ব্যক্তির সঙ্গে হত্যা করা হয়।

দ্বিতীয় অভিযোগ:
একাত্তরের ১০ মে বেলা ১১টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়ি গ্রামের রূপসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় নিজামী বলেন, ‘শিগগিরই পাকিস্তানি সেনারা শান্তি রক্ষার জন্য আসবে।’ ওই সভার পরিকল্পনা অনুসারে পরে বাউশগাড়িসহ দু’টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ নারীকে ধর্ষণ করে রাজাকাররা।

তৃতীয় অভিযোগ:
একাত্তরের মে মাসের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প ছিল। রাজাকার ও আলবদর বাহিনীও সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে। নিজামী ওই ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র করতেন।

চতুর্থ অভিযোগ:
একাত্তরের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর যশোর বিডি হলে ছাত্রসংঘের মিটিংয়ে জিহাদের সমর্থনে আল কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করে বক্তব্য দেন নিজামী। ওই মিটিংয়ে বক্তব্য দিয়ে নিরীহ বাঙালি হত্যার নির্দেশ দেন তিনি।

পঞ্চম অভিযোগ:
একই বছরের ১৪ মে নিজামীর নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার, আলবদররা পাবনার ডেমরা ও বাউসগাড়ি গ্রাম ঘেরাও করে। এরপর সাড়ে চারশ হিন্দুকে এক জায়গায় জড়ো করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। সেখানে নারীদের ধর্ষণও করা হয়।

ষষ্ঠ অভিযোগ:
নিজামীর নির্দেশে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় একই বছরের ৮ মে পাবনার সাঁথিয়া থানার করমজা গ্রামে সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অসংখ্য লোককে হত্যা এবং কয়েকজন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়।

সপ্তম অভিযোগ:
একই বছরের ২৭ ও ২৮ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়া থানার ধোলাউড়ি গ্রামে ডা. আবদুল আওয়ালের বাড়ি ও আশপাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেখান থেকে আটক চারজনকে ইছামতি নদীর পাড়ে নিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের একজন শাহজাহান আলীকে জবাই করে ফেলে যায় রাজাকাররা। ভাগ্যক্রমে শাহজাহান আলী বেঁচে যান।

অষ্টম অভিযোগ:
১৬ এপ্রিল ঈশ্বরদী থানার আটপাড়া ও বুথেরগাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

নবম অভিযোগ:
১০ জুন আতাইকুলা থানার মাতপুর গ্রামের মাওলানা কছিমউদ্দিনকে আটকের পর ইছামতি নদীর পাড়ে নিয়ে হত্যা করা হয়।

দশম অভিযোগ:
পাবনার সোনাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র কুণ্ডু প্রাণ বাঁচাতে ভারতে চলে যান। নিজামীর নির্দেশে রাজাকাররা তার বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। অষ্টম অভিযোগে বলা হয়, ৩০ আগস্ট নিজামী নাখালপাড়ার পুরোনো এমপি হোস্টেলে গিয়ে সেখানে আটক রুমী, বদি, জালালদের হত্যার জন্য পাকিস্তানি সেনাদের প্ররোচনা দেন।

নিজামীর বিরুদ্ধে ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ:
তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউটে ইসলামী ছাত্রসংঘ আয়োজিত সভায় নিজামী বলেন, ‘পাকিস্তান আল্লাহর ঘর। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তিনি প্রিয় ভূমির হেফাজত করছেন। দুনিয়ার কোনো শক্তি পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারবে না।’ ২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক একাডেমি হলে আল মাদানীর স্মরণসভায় নিজামী বলেন, ‘পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে শত্রুরা অস্ত্র হাতে নিয়েছে।’ তিনি পাকিস্তানের শত্রুদের সমূলে নির্মূল করার আহ্বান জানান। ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্রসংঘের সভায় নিজামী বলেন, ‘হিন্দুস্তানের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে রাজাকার, আলবদররা প্রস্তুত।’ ১০ সেপ্টেম্বর যশোরে রাজাকারদের প্রধান কার্যালয়ে এক সুধী সমাবেশে নিজামী প্রত্যেক রাজাকারকে ইমানদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর পথে কেউ কখনো হত্যা করে, কেউ মারা যায়।’ এসব বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি ছাত্রসংঘের সদস্য, রাজাকার ও অন্যদের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের উসকানি ও প্ররোচনা দেন। ট্রাইব্যুনালস আইনের ৩(২)(এফ) ধারার সঙ্গে ৪(১) ও ৪(২) ধারায় এসব অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

১৫তম অভিযোগ:
একাত্তরের মে থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাঁথিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে রাজাকার ক্যাম্প ছিল। নিজামী প্রায়ই ওই ক্যাম্পে গিয়ে রাজাকার সামাদ মিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়। এসব অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল ৩(২)(জি) ধারায় নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

১৬তম অভিযোগ:
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে আলবদর বাহিনী। দেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আলবদর সদস্যদের দিয়ে এই গণহত্যা চালানো হয়। জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ওই গণহত্যার দায় নিজামীর ওপর পড়ে।

উল্লেখ্য, নিজামীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা নিজামীর কাঙ্ক্ষিত রায় ফাঁসি দাবি করছেন। অপরদিকে নিজামীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে তিনি নির্দোশ প্রমাণিত হবেন বলে দাবি জানান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।






Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ব্রিটেনে বিপ্লবের ডাক দিলেন রাসেল ব্রান্ড




ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ওয়েস্টমিনিস্টারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের জন্য শান্তিপূর্ণ ও শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই আনন্দপূর্ণ বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন রাসেল ব্রান্ড। লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে আয়োজিত ৫০ হাজার লোকের এক সমাবেশে ‘বিগ ব্রাদার বিগ মাউথ’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রাসেল এ ডাক দেন। এসময় তিনি জানান, ব্রিটেনের সরকার ব্যবস্থার ওপর তার আস্থা চলে গেছে। বর্তমান এমপিরা প্রকৃতপক্ষে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। 

গত বছর বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে না এমন অভিযোগে পিপল অ্যাসেম্বলি গঠন করেন রাসেল ব্রান্ড। মূলত তার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই পার্লামেন্টমুখি অভিযাত্রার আয়োজন করা হয়। অভিযাত্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেয়।

অভিযাত্রাটি বিবিসির কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। শুরুর সময় অনেকেই বিবিসির ভবনের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,  ‘এই প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটেনের যেসব নাগরিকের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে তাদের কথা তুলে ধরছে না।’

ভাষণ দেয়ার সময় পার্লামেন্ট ভবনের দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে রাসেল বলেন, ‘এই ভবনটির মানুষগুলো (পার্লামেন্ট সদস্য) আর আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা তাদের বণিক বন্ধুদের প্রতিনিধিত্ব করে। এখনোই সময় ক্ষমতা ফিরিয়ে নেয়ার।’ 

রাসেল ব্রান্ড তরুণদেরকে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি ভোট দিই না। আমি আশা করবো আপনারাও ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমাদের সদস্য সংখ্যা এবং প্রভাব এমন একটা পর্যায়ে যাবে যে বিবিসি কিংবা সরকার কেউই আমাদের অবহেলা করতে পারবে না।’

সমাবেশে রাসেল এ বছরের শেষ দিকে ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছেন।






Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

৬ আঙুলে ৬ষ্ঠ ‍বিশ্বকাপ!




ফুটবলভক্ত এক পরিবার তাদের হাতের আঙুলকে এবারের বিশ্বকাপে তাদের প্রিয় দলের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করছেন!

সিলভা পরিবার ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার প্রান্তে অগোঁয়া ক্লারা শহরে বাস করেন। ওই পরিবারের ১৪ সদস্যের সকলের প্রত্যেক হাতে ছয়টি করে আঙুল রয়েছে। জেনেটিকভাবে ব্যতিক্রমী এই পরিবারের সদস্যদের আশা তাদের ছয়টি আঙুলই ব্রাজিলকে ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।

ছয় আঙুলের ওই পরিববারের সদস্যদের নিয়ে ব্রাজিলের গণমাধ্যমে বেশ সাড়া পড়ে গেছে। তাদের আঙুলকে ব্যবহার করা হচ্ছে হেক্সা মিশনের অন্যতম প্রতীক হিসেবে। বার্তা সংস্থার এপি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সিলভা পরিবারটির সদস্য আনা ক্যরোলিনা বলেন, 'গত বিশ্বকাপের পর থেকেই আমরা চাচ্ছি ব্রাজিল যেন হেক্সাচ্যাম্পিও (পর্তুগীজ ভাষায় ৬ষ্ঠ বারের চ্যাম্পিয়ন) হয়। কিন্তু তা হয়নি। এবার আমরা সত্যি সত্যিই জিততে চাই।'





Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের তিন হাজার কোটি টাকা




 সারা দুনিয়া থেকে যখন সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয় মোট গচ্ছিত অর্থ কমেছে, তখন বাংলাদেশ থেকে তা বেড়েছে। বেড়েছে ভারত থেকেও। ভারতের মতো বাংলাদেশ থেকেও পাচার হওয়া অর্থের একাংশ সুইস ব্যাংকে গিয়ে জমা হচ্ছে।

সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে ভারতীয়দের অর্থ বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) কর্তৃক প্রকাশিত ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১৩’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে দেখা যায় যে ২০১৩ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের অন্তত ৩৭ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত রয়েছে, যা প্রায় ৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা তিন হাজার ১৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এটি আগামী অর্থবছরে ঘাটতি অর্থায়নের জন্য সরকার যে পরিমাণ প্রকৃত ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে, তার প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেেট নিট বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।

এর আগে ২০১২ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের অন্তত ২২ কোটি ৮৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত ছিল, যা প্রায় ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৯০৮ কোটি টাকার সমান। এটি সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যে অর্থ গচ্ছিত রাখা হয়েছে, তার মোট পরিমাণ।

একই সময়ে, অর্থাৎ ২০১৩ সালে ভারতীয়দের ১৯৫ কোটি ২৮ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ২১৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার গচ্ছিত রয়েছে। এটি ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি রুপি। ২০১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৩৪ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা ১৪৩ কোটি ডলার। এটি ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় নয় হাজার কোটি রুপি। এর বাইরে গত বছর ভারতীয়দের সাত কোটি ৭০ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত রাখা হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো অর্থ গচ্ছিত নেই।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয় বিভিন্ন দেশের বিপরীতে ‘দায়’ অথবা ‘গ্রাহকের কাছে দেনা’ হিসাবের খাতে থাকা অর্থকে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে রাখা গচ্ছিত অর্থ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এতে দেখা যায়, গত বছর সারা দুনিয়া থেকে সুইস ব্যাংকগুলোয় গচ্ছিত অর্থের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা এক লাখ ৪৮ হাজার কোটি ডলার। তার আগের বছর, ২০১২ সাল শেষে এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় এক লাখ ৫৫ হাজার কোটি ডলার৷ সে বিবেচনায় বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থ খুবই অল্প।

অবশ্য বাংলাদেশি বা অন্য কোনো দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্যের নামে কোনো অর্থ গচ্ছিত রেখে থাকে, তাহলে তা এই হিসাবের মধ্যে আসেনি। আর তাই এই হিসাব সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের পূর্ণ পরিমাণও নির্দেশ করে না। একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক দেশের নাগরিকই মূল্যবান শিল্পকর্ম বা দুর্লভ সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রেখে থাকেন।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন জোরালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটও গঠন করা হয়েছে। তাই অবৈধভাবে বাইরে অর্থ নিয়ে যাওয়া এখন খুব সহজ হওয়ার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন দু-একটি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।’

সালেহউদ্দিনের মতে, আন্তর্জাতিক চাপের কারণে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোও এখন আগের মতো কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করছে না। বরং গচ্ছিত অর্থের তথ্যাদির বিষয় কিছুটা শিথিল করেছে। তাই বাংলাদেশ সরকার চাইলে সুইস সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে পারে তথ্য বিনিময়ের জন্য। তিনি এ-ও বলেন, সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত সব টাকাই পাচার হওয়া অর্থ নয়। কেননা, বিদেশে কর্মরত অনেক বাংলাদেশির বৈধ অর্থ সুইজারল্যান্ডে তাঁদের ব্যাংক হিসাবে জমা থাকে।

কোন বছর কত: সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক দশকের মধ্যে ২০১৩ সালেই সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বেশি অর্থ গচ্ছিত ছিল। এর আগে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত ছিল ২০০৭ সালে। সে বছর সুইস ব্যাংকসমূহে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা দুই হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। অবশ্য এ বছরই সুইস ব্যাংকসমূহের বৈশ্বিক গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ২১৭ লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছিলেন।

২০০৮ সালে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ নেমে আসে ১০ কোটি ৭০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৮৯২ কোটি টাকায়। ২০০৯ সালে এটি কিছুটা বেড়ে হয় ১৪ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ২৪১ কোটি টাকা। ২০১০ সালে তা আরও বেড়ে হয় ২৩ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা। তবে ২০১১ সালে তা বেশ কমে হয় ১৫ কোটি ২৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

সাদ্দাম হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডদানকারী বিচারকের ফাঁসি কার্যকর করেছে সুন্নি বিদ্রোহীরা




ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডদানকারী বিচারক রউফ আবদুল রহমানকে ‘ধরে ফাঁসি কার্যকর’ করেছে দেশটির সুন্নি বিদ্রোহী সংগঠন আইএসআইএস।
সুপ্রিম ইরাকি ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে ২০০৬ সালে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আবদুল রহমান। সুন্নি বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে ৬৯ বছর বয়স্ক ওই বিচারককে আটক করে। তবে ইরাক সরকার এখনো তার মৃত্যু নিশ্চিত করেনি। তবে তাকে যে আটক করা হয়েছে, সে খবর অস্বীকার করেনি।


১৬ জুন তাকে আটক করা হয় বলে ধারণা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তার মৃত্যু ঘটে এর দুই দিন পর।
জর্দানি এমপি খালিল আত্তিয়া তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, বিচারক রহমানকে গ্রেফতার ও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। 
তিনি বলেন, শহিদ সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুর বদলা নিতে ইরাকি বিপ্লবীরা তাকে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
তিনি লিখেছেন, বিচারক রহমান নর্তকীর পোশাক পরে বাগদাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সফল হননি।


সাদ্দামের সাবেক সহকারী এবং বর্তমানে বিদ্রোহীদের অন্যতম নেতা ইজ্জাত ইব্রাহিম আল দুরিও বিচারক রহমানকে আটক করার খবর তার ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
কুর্দিশ নগরী হালবিয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিচারক রহমান ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে সাদ্দামের বিচার করার দায়িত্ব নেন। বিচারকাজ তখন মাঝপথে ছিল। তার আগের বিচারক রিজগার আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগীদের প্রতি বেশ নমনীয় ছিলেন।


বিচারক রহমান তিন সন্তানের জনক। তিনি ১৯৯৬ সালে কুর্দিশ আপিল কোর্টের প্রধান বিচারক নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে ১৪৮ জনকে হত্যার অভিযোগে সাদ্দামকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। ওই রায়ের পর সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ঈদ উল আযহার দিন সাদ্দামের ফাঁসি দেয়া হয়।
খবর পাওয়া গিয়েছিল, জীবনের ভয়ে ২০০৭ সালে বিচারক রহমান ব্রিটেনে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। তবে কেন তা অনুমোদিত হয়নি, তা জানা যায়নি।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

রমনা বটমূলে হামলা: মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন




২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার রমনা
বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলায় হরকাত-উল জিহাদ (হুজি) নেতা
মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দিয়েছেন আদালত।






দীর্ঘ ১৩ বছর পর আজ (সোমবার) ঢাকার
দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন এ  রায় ঘোষণা করেছেন। এ সময়
মামলার আসামি মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ৯ আসামি আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন,
আরিফ হোসেন সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো.
আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবু বকর।





এদের মধ্যে মুফতি হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন ও আরিফ হোসেন সুমন কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা ফলাতক।


যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাওলানা
সাব্বির ওরফে মান্নান, মাওলানা শওকত ওসমান এরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর
রউফ, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাদাত উল্যাহ জুয়েল, মাওলানা ইয়াহিয়া।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।





গত ১৬ জুন রায়ের দিন ধার্য থাকলেও এক
সপ্তাহ পিছিয়ে সোমবার নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়। এর আগে গত ২৮ মে মামলায়
উভয়পক্ষের অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিন আদালত রায়ের জন্য দিন
ধার্য করেন। সে সময় মুফতি হান্নানসহ ৯ আসামি আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।





২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) রমনায়
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জঙ্গিদের ভয়াবহ বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে
ঘটনাস্থলে ৯ জন এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। আহত
হন অনেকে।





এ ঘটনায় ওই দিনই বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির
সার্জেন্ট অমল চন্দ্র বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। একটি হত্যা
মামলা এবং অন্যটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলা। মামলা দুটির অভিযোগপত্র
একইসঙ্গে দাখিল করা হয়। পরে বিচারের জন্য ঘটনার আট বছর পর মামলা দুটি ২০০৯
সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। একই
বছরের ১৬ এপ্রিল মামলা দুটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা
হয়। বিস্ফোরক আইনের মামলাটি ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
বিচারাধীন।





আলোচিত এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা বারবার
পরিবর্তন, সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল, বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তদন্ত
কর্মকর্তাদের আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসা ইত্যাদি কারণে বিচার শুরু হতে
বিলম্ব হয়।





অবশেষে অধিকতর তদন্ত শেষে সাত বছর পর ২০০৮
সালের ২৯ নভেম্বর হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে
আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ
(সিআইডি)।




২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলায় বিএনপি নেতা
সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ১৪ আসামির
বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।




 (রেডিও তেহরান)




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

চট্টগ্রামে প্রবল বর্ষণ: দেয়াল ধসে শ্রমিকের মৃত্যু, রেড অ্যালার্ট জারি




চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানায়
অতিবৃষ্টির ফলে দেয়াল ধসে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত হওয়া ব্যক্তির
নাম মো. আসলাম (২২)। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক, বাড়ি রাজশাহীতে। ওই
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- মামুন (২৮) ও হেফাজুল ইসলাম (৩০)।  






স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দু’দিনের টানা
বৃষ্টিপাতের মধ্যে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে রহমান নগরের হিলভিউ আবাসিক
এলাকায় বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদের পাশের একটি কাঁচা বসতঘরের উপর সীমানা
দেয়াল ধসে পরলে ওই ঘরে ঘুমন্ত তিন নির্মাণশ্রমিক আহত হন। তাদের উদ্ধার করে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। হাসাপাতালে
নেয়ার পর ভোর ছয়টার দিকে আসলামের মৃত্যু হয়। আহত বাকি দুজন হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন।





এদিকে, প্রবল বর্ষণের ফলে নগরীর বেশিরভাগ
নিচু এলাকা হাটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন
নগরবাসী। মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটসহ নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো তলিয়ে
যাওয়ায় আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।




উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নগরীর পাহাড়ী
জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাহাড় ধসে
প্রাণহানি এড়াতে সকাল থেকেই প্রশাসন ঐসব এলাকায় মাইকিং করে।




 সুত্র : রেডিও তেহরান




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

নিউ ইয়র্কে ৯/১১'র চেয়েও ব্যাপক হামলা করতে পারে আইএসআইএল




নিউ ইয়র্কের ওপর  কথিত ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্যা লিভ্যান্ট বা
আইএসআইএল হামলা চালাতে পারে বলে প্রচণ্ড আশংকা ব্যক্ত করেছেন নগরীর পুলিশের
সন্ত্রাস বিরোধী বিভাগের প্রধান। এ ছাড়া, এ সব উগ্রবাদী ২০০১ সালের ১১
সেপ্টেম্বরের চেয়ে ব্যাপক হামলা চালাতে পারে বলে এর আগে আশংকা ব্যক্ত
করেছেন মার্কিন শীর্ষ স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

তিনি বলেছেন,
সিরিয়া এবং ইরাকে যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য আমেরিকা থেকে যারা গিয়েছে তারা
ফিরে এসে আমেরিকার ওপর হামলা চালাতে পারে। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের
গোয়েন্দা বিষয়ক উপ কমিশনার জন মিলার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িত
মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে শতাধিক নিউ ইয়র্ক শহরের অধিবাসী রয়েছে। এ সব
উগ্রবাদীরা আবার নিউ ইয়র্ক নগরীতে ফিরে আসতে পারে ভেবে নিয়ে প্রচণ্ড আশংকায়
রয়েছেন তিনি। শিকাগো, পোর্টল্যান্ড, মিনেসোটাসহ অন্যান্য নগরী থেকেও
উগ্রবাদীরা সিরিয়া এবং ইরাকে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকায় ফিরে
সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে চাইলে তাদের সবাই নিউ ইয়র্ক নগরীকেই বেছে নিবে।

এর
আগে, গতমাসে মার্কিন অভ্যন্তরীণ তদন্ত সংস্থা এফবিআই’এর পরিচালক জেমস কোমে
বলেছেন, সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের জন্য যাদেরকে ১৯৮০
এবং ১৯৯০এর দশকে আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল তারাই ২০০১ সালের ১১
সেপ্টেম্বরের হামলার পরিকল্পনা করেছে। সিরিয়ায় যে সব আমেরিকান গেরিলা লড়ছে
তারা একই ধরণের হামলা করতে পারে বলে এফবিআই ধারণ করছে উল্লেখ করে তিনি
বলেন, তবে সে ক্ষেত্রে হামলার ধরণ আরো ব্যাপক হবে।

এ ছাড়া,
আইএসআইএল সন্ত্রাসীরা ব্রিটেনে হামলা চালাতে পারে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
ডেভিড ক্যামেরন এর আগে আশংকা ব্যক্ত করেছিলেন। গত বুধবার ব্রিটিশ সংসদে
দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন,  আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের মধ্যে ব্রিটিশ নাগরিক
রয়েছে এবং তারা দেশে ফিরে ব্রিটেনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিতে
পারে। আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তান থেকে ব্রিটিশ গেরিলাদের ফেরার চেয়ে ইরাক
ও সিরিয়ায় যুদ্ধরত নাগরিকদের ফেরা অনেক বেশি ঝুঁকির বিষয় বলেও তিনি এ সময়ে
স্বীকার করেন।








Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

শিনজিয়াং –এ পুলিশের গুলিতে ১৩ নিহত: বোমা হামলার অভিযোগ




পশ্চিম চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে আজ(শনিবার) পুলিশের গুলিতে ১৩ ব্যক্তি নিহত
হয়েছে। পুলিশের একটি ভবনে বোমা হামলার চেষ্টার সঙ্গে এ সব ব্যক্তি জড়িত ছিল
বলে চীনা আঞ্চলিক সরকারের ওয়েব সাইট দাবি করা হয়েছে।

চীনের সরকারি
তিয়ানশান ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, আজ কয়েকজন ‘ঠগ’ শিনজিয়াং-এর কাশগার অঞ্চলের
কাগিলিক এলাকার একটি গণ নিরাপত্তা ভবনে গাড়ি নিয়ে হামলা করে এবং বিস্ফোরণ
ঘটায় । পুলিশের গুলিতে ১৩ ‘ঠগ’ নিহত হয়েছে বলে এ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এ
ঘটনায় তিন পুলিশ আহত হওয়ার কথা স্বীকার করা হলেও হামলার বিস্তারিত বিবরণ
দেয়া হয়নি। হামলাকারীরা এক বা একাধিক গাড়ি ব্যবহার করেছিল কিনা সে
সম্পর্কেও পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায় নি।

চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয়
খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চল শিনজিয়াং-এ প্রধানত তুর্কি ভাষাভাষী উইঘর
মুসলমানরা বসবাস করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ অঞ্চলে মারাত্মক কিছু
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চীনের সংখ্যাগুরু হানদের হাতে নানা নির্যাতন ও
নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বলে উইঘর মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন।

চীনা
কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরের মত এ বছরও নানা অজুহাতে শিনজিয়াং অঞ্চলের উইঘর
মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা নিষিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে খবর
প্রচারিত হওয়ার পরই পুলিশের গুলিতে ১৩ ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল। ২০১২
সালেও অফিস-আদালতের কর্মী ও ছাত্রদের জন্য রোজা রাখা নিষিদ্ধ করেছিল চীনা
কর্তৃপক্ষ।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

তালেবান বিরোধী অভিযান: নিহত ২৩২, বোমা তৈরির কারখানা ধ্বংস




পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত
ওয়াজিরিস্তানে উগ্র তালেবান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর ‘জারবে আযব’
অভিযান অব্যাহত রয়েছে। করাচি বিমানবন্দরে হামলার এক সপ্তাহ পর পাক সামরিক
বাহিনী এ অভিযান শুরু করেছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্থল বাহিনীর হামলা
জোরদার হতে পারে।






এ  পর্যন্ত সেখানে ২৩২ সন্দেহভাজন তালেবান
সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এছাড়া, অভিযানে আট সেনা নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছে।
এসব অভিযান চালানোর সময় তালেবানদের ২০টি আস্তানা এবং পাহাড়ি এলাকায় দু’টি
গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র ও একটি বোমা তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে।  





সামরিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মিরামশাহ ও
মির আলী এলাকায় অভিযান চলছে এবং তালেবান সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে পালিয়ে
যাওয়ার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয় নি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের তথ্য
অনুযায়ী, সন্ত্রাসীদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের পুরোটাই
ঘিরে ফেলা হয়েছে। অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, ট্যাংক ও বিমান।





এ পর্যন্ত ওয়াজিরিস্তান থেকে ঘর-বাড়ি
ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ৭,০৩১টি পরিবার যার মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় এক লাখ। আজ
হচ্ছে ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার শেষ দিন।




এদিকে, তালেবান নেতা হাফিজ গুল বাহাদুর
আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল তিনি বলেছেন, আজ
(শুক্রবার) থেকে তার অনুগতরা এ যুদ্ধ শুরু করবে। তার মুখপাত্র আহমাদুল্লাহ
আহমাদি বলেন, তারা পাকিস্তান তেহরিকে তালেবান বা টিটিপি’র অংশ নন;
শুধুমাত্র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তারা আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ চালাবেন


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ভিক্ষার ঝুলি জনগণের হাতে তুলে দিয়েই ক্ষমতা ছাড়বে আওয়ামী লীগ: গয়েশ্বর




বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর
চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের সকল সম্পদ লুট করে জনগণের হাতে
ভিক্ষার ঝুলি তুলে দিয়ে ক্ষমতা ছাড়বে, তার আগে নয়। ক্ষমতাসীনরা বিদেশিদের
খুশি করে ক্ষমতায় টিকে আছেন। এ কারণে তারা জনগণের দাবি মানছে না।






আজ (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে
এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জিয়া সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘গুম, খুন,
অপহরণ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চাই গণআন্দোলন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন
করে।





গয়েশ্বর বলেন, একাত্তরে এই আওয়ামী লীগ
কম্বল চুরি করেছে আর  এখন ২০১৪ সালে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট
থেকে সোনা চুরি করেছে। যারা চুরি করে তাদের কোনো ধর্ম নেই। সুতরাং আওয়ামী
লীগেরও কোনো ধর্ম নেই বলে মনে করেন তিনি।





এদিকে, দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, রিট দিয়ে গণতন্ত্র চলে না।
গণগন্ত্রের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট লাগে। বিএনপি তিনবার নির্বাচিত হয়েছে
জনগণের ম্যান্ডেটে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলে বিএনপি বিশ্বাস করে না।





৭৫'এ আওয়ামী লীগের নেতাদের হাত ধরেই
সামরিক শাসন এসেছিল। বিএনপি তখন ছিল না। আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা
বলেন।




ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক
শামীমের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রফিক বলেন, আপনারা
গডফাদারদের স্পন্সর করছেন। তার ফল আপনাদেরকে ভোগ করতেই হবে। এ কারণে
আপনাদের দলীয় লোকজনও আজ নিরাপদ নয়। গডফাদারদের এ বিষাক্ত ছোবল থেকে জাতিকে
রক্ষা করতে না পারলে দেশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

সমকামিতার বিরোধিতা করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে উগান্ডা!




উগান্ডার সরকার সমকামিতাবিরোধী আইন পাস
করার কারণে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। ওয়াশিংটন দাবি
করেছে- সমকামিতাকে বৈধতা না দিয়ে মানবাধিকার লংঘন করেছে উগান্ডা।






এ কারণে উগান্ডার কয়েক জন শীর্ষস্থানীয়
কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই সব কর্মকর্তা আমেরিকায় ঢুকতে পারবে না।
উগান্ডার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়াও বাতিল করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। যৌথ
প্রকল্পগুলোতেও আর অর্থায়ন করবে না মার্কিন কর্তৃপক্ষ।





তবে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তাদের
সিদ্ধান্তে অটল থাকার ঘোষণা দিয়েছে উগান্ডার সরকার। দেশটির সরকারের
মুখপাত্র অফউনু অপোন্ডো বলেছেন, “উগান্ডা হচ্ছে একটি স্বাধীন-স্বার্বভৌম
দেশ। হুমকি-ধমকি এমনকি অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়া হলেও জাতীয়
স্বার্থে নেয়া সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনবে না তার দেশ।”




উগান্ডা সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে
আইন পাস করেছে। এ আইনে সমকামীদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার কথা বলা
হয়েছে। পবিত্র কুরআনে এসেছে- সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ এর আগে সমকামিতার
অপরাধে লুত (আ.)-র সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। ইরানে সমকামিতার
সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অর্থ বেড়েছে ৬২ শতাংশ




সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে ৬২ শতাংশ বেড়েছে।






সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস
ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ব্যাংকস ইন
সুইজারল্যান্ড ২০১৩’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের অন্তত
৩৭ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ রাখা হয়েছে, যা প্রায় ৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা
তিন হাজার ১৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সমান।



এর আগে ২০১২ সাল শেষে
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংকেবাংলাদেশি
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২২ কোটি ৮৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত ছিল, যা
প্রায় ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৯০৮ কোটি টাকার সমান।





তবে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ
গচ্ছিত ছিল ২০০৭ সালে। ওই বছর সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশি ব্যক্তি ও
প্রতিষ্ঠানের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা দুই
হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এ বছরই সুইস ব্যাংকগুলোর বৈশ্বিক গ্রাহকেরা
সর্বোচ্চ দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ২১৭ লাখ কোটি টাকার
সমপরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছিল।

২০০৮ সালে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত
অর্থের পরিমাণ নেমে আসে ১০ কোটি ৭০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৮৯২ কোটি টাকায়। ২০০৯
সালে এটি কিছুটা বেড়ে হয় ১৪ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ২৪১ কোটি
টাকায়। ২০১০ সালে তা আরও বেড়ে হয় ২৩ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার
৯৬৮ কোটি টাকা। তবে ২০১১ সালে তা বেশ কমে হয় ১৫ কোটি ২৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা
এক হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।



সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয়
বিভিন্ন দেশের বিপরীতে ‘দায়’ অথবা ‘গ্রাহকের কাছে দেনা’ হিসাবের খাতে থাকা
অর্থকে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে রাখা
গচ্ছিত অর্থ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এতে দেখা যায়, গত বছর সারা দুনিয়া থেকে
সুইস ব্যাংকগুলোয় গচ্ছিত অর্থের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার
কোটি সুইস ফ্রাঁ বা এক লাখ ৪৮ হাজার কোটি ডলার। তার আগের বছর, ২০১২ সাল
শেষে এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪০ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় এক লাখ ৫৫
হাজার কোটি ডলার৷ সে বিবেচনায় বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থ খুবই অল্প।


অবশ্য বাংলাদেশি বা অন্য কোনো
দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্যের নামে কোনো অর্থ গচ্ছিত
রেখে থাকে, তাহলে তা এই হিসাবের মধ্যে আসেনি। আর তাই এই হিসাব সুইস
ব্যাংকে গচ্ছিত পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের পূর্ণ পরিমাণও নির্দেশ করে না।
একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ
সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক
দেশের নাগরিকই মূল্যবান শিল্পকর্ম বা দুর্লভ সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের
বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রেখে থাকেন।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

২০০১ সাল থেকে ৪০০ মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত: রিপোর্ট





মার্কিন সামরিক ড্রোন

২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী
দুর্ঘটনায় ৪১৮টি মার্কিন সামরিক ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে। গত এক বছরের তদন্ত
রিপোর্টে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।






গতকাল (শুক্রবার) প্রকাশিত এক বিশেষ
প্রতিবেদনে দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য তুলে ধরেছে। এতে বলা হয়েছে- সামরিক
ড্রোন বাড়ির ওপর, মাঠ-ঘাটে, রাস্তায়, রানওয়েতে, মহাসড়কে, পানির ওপর এমনকি
মধ্য আকাশে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ হারকিউলেস বিমানের ওপর বিধ্বস্ত হয়।





মার্কিন ফ্রিডম অ্যান্ড দ্যা ইনফরমেশন
আইনের আওতায় ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য পেয়েছে। ৫০,০০০ পৃষ্ঠার তদন্ত
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিভিন্ন কারণে মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত হয় তার মধ্যে
রয়েছে- যান্ত্রিক ত্রুটি, মানুষের ভুল, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অন্যান্য।





ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে- ২০০১ সালের ১১
সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের শেষ পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে ৪১৮টি ড্রোন
বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪টি ড্রোন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে অথবা
প্রতিটি ড্রোনের জন্য অন্তত ২০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে।




প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, পরীক্ষা এবং
প্রশিক্ষণের সময় আফগানিস্তানে ৬৭টি, ইরাকে ৪১টি এবং খোদ আমেরিকায় ৪৭টি
ড্রোন বিধ্বস্ত হয়। এতে মার্কিন সামরিক ড্রোনের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নতা
নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যা মার্কিন সামরিক অভিযানের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।








Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

ইরাক নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শরিক ইরাকি নেতাদের মুখোশ খুলে গেল




ইরাকের পদচ্যুত সংসদ স্পিকার ওসামা আন
নাজিফি ও স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারাজানি
পরস্পরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা এক বিবৃতিতে তাদের ভাষায় 'ইরাকে
সন্ত্রাসী তৎপরতা ও সংখ্যালঘু সুন্নি মুসলমানদের বৈধ দাবিগুলোকে' একই
পাল্লায় বিচার না করার আহ্বান জানিয়েছেন।




ইরাক সরকার যখন দেশটিতে সন্ত্রাসীদের
ব্যাপক হামলা ও অভিযান মোকাবেলা করছে তখন দেশটির এই দুই কর্মকর্তা বাগদাদ
সরকারের সঙ্গে সুর না মিলিয়ে ভিন্ন সুরে কথা বলে পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসীদেরই
অবস্থান জোরদারের চেষ্টা করছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আলকায়দার নতুন
সংস্করণ আইএসআইএল সম্প্রতি মসুল, তিকরিত ও কারকুকে হামলা চালিয়ে এইসব শহরের
বেশ কিছু অঞ্চলের ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার পর সেখানে গণহত্যাসহ নানা
নৈরাজ্যের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করেছে।



ইরাকের শিয়া ও সুন্নি আলেম সমাজ,
বিশেষ করে গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ সিস্তানি এই সন্ত্রাসী তাকফিরি গোষ্ঠীদের
ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার আহ্বান জানানোর পর দেশটির প্রায় ১৫ লাখ
বেসামরিক নাগরিক যুদ্ধ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন এবং সরকারি সেনারা
নতুন উদ্যম নিয়ে স্থানীয় জনগণ ও স্বেচ্ছাসেবী গণবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে নানা
অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত বা কোণঠাসা করতে শুরু করেছে।



সন্ত্রাসীদের প্রতি এ অঞ্চলের কিছু
আরব সরকারের ও বিশেষ করে সৌদি সরকারের সমর্থন সুস্পষ্ট। সৌদি আরবের ১৫০ জন
গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইরাকে ঢুকে এই দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে বলে খবর এসেছে। 



ইরাকে সন্ত্রাসীদের সাম্প্রতিক
উত্থানের ঘটনায় সাদ্দামপন্থী সাবেক বাথিস্টদেরও ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে এ
ক্ষেত্রে সাদ্দাম সরকারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ্জাত আদদৌরার
নেতৃস্থানীয় ভূমিকাও লক্ষণীয়।



ইরাকের পদচ্যুত সংসদ স্পিকার ও তার
ভাই আসিল আন নাজিফি সন্ত্রাসীদের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখেছিলেন ও এখনও রেখে
যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। অতি সম্প্রতি তারা বাথিস্ট এবং
ওয়াহাবি-তাকফিরি সন্ত্রাসীদের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে সেই অভিযোগের
সত্যতাই প্রমাণ করলেন। সাবেক ইরাকি স্পিকারের ভাই ছিলেন নেইনাভা প্রদেশের
গভর্নর। এক নীল-নক্সার আওতায় কোনো কোনো ইরাকি সেনা কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে
বিনা বাধায় সন্ত্রাসীদের মসুল জয়ের ঘটনায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিলেন
আসিল আননাজিফি।



নাজিফি ভ্রাতৃদ্বয় তথা নাজিফি নামের
এই দুই ভাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ইরাকের নুরি আল মালিকি সরকারের নীতি
অবস্থান বাস্তবায়নে সহায়তা করলে সন্ত্রাসীরা সাম্প্রতিক বিপর্যয়গুলো ঘটাতে
সক্ষম হতো না।



উল্লেখ্য, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার
দায়ে ইরাকের ফেডারেল আদালত এক রায়ে দেশটির সংসদ স্পিকার ওসামা আন নাজিফিকে
সংসদ থেকে বহিষ্কার করেছেন এবং নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের তালিকা থেকে তার
নামও কেটে দিয়েছে। আর আদালতের এই রায় শোনার পর নাজিফি বাগদাদ ছেড়ে তুরস্কে
পালিয়ে যান।



স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের
প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারাজানিও ইরাকের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলেই নানা খবর এসেছে।



উল্লেখ্য, বারাজানির সঙ্গে কারকুকসহ
নানা অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে বাগদাদের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ নিষ্পত্তির
দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের কিছু অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে
ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে বারাজানি ওয়াদা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বারাজানি এখন
বাথিস্ট ও তাকফিরি সন্ত্রাসীদের অনুকূলে অবস্থান নিয়েছেন।



সাম্প্রতিক এক খবরে জানা গেছে, মাসুদ
বারাজানি সম্প্রতি মুনাফিক গোষ্ঠী নামে কুখ্যাত ইরানের ইসলামী সরকার বিরোধী
নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান মারিয়াম রাজাভির সঙ্গে প্যারিসে বৈঠক
করেছেন। ওই বৈঠকে বারাজানি রাজাভিকে এই প্রতিশ্রুতি দেন যে, নুরি আল মালিকি
যাতে তৃতীয় বারের মত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে জন্য তিনি সব
ধরনের প্রচেষ্টা চালাবেন।




তাই এটা স্পষ্ট সম্প্রতি কুর্দিস্তানের
প্রেসিডেন্ট বারাজানির সঙ্গে ইরাকের পদচ্যুত সংসদ স্পিকারের সাক্ষাৎ ও বৈঠক
ইরাকের নিরাপত্তা বিরোধীদের একই ষড়যন্ত্রের সুতোয় গাঁথা একটি পদক্ষেপ।
বারাজানি ও নাজিফিও তাদের অশুভ মতলব হাসিলের জন্য শিয়া-সুন্নি বিরোধের
কার্ড ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। তারা এমন সময় সন্ত্রাসী তৎপরতা ও সুন্নিদের
বৈধ দাবির মধ্যে পার্থক্য করার দাবি জানালেন যখন ইরাকের সুন্নি সমাজের
আপামর জনতা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের দিকে সাহায্যের হাত
বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইরাকের সুন্নি আলেমরাও আইএসআইএল-এর তৎপরতাকে সন্ত্রাসী
তৎপরতা বলে অভিহিত করেছেন এবং সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে সরকারকে সহযোগিতা
করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

আইএসআইএল হচ্ছে আমেরিকার সন্ত্রাসী সংগঠনের একটি শাখা




কথিত ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড
লিভ্যান্ট বা আইএসআইএল হচ্ছে আমেরিকার সন্ত্রাসী সংগঠনের একটি শাখা।
আমেরিকাই এদেরকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে।
এছাড়া, প্রতিবেশী জর্দানে আইএসআইএল সন্ত্রাসীদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে
খোদ আমেরিকা।






ইরানের প্রেস টিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার এসব কথা বলেছেন মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্যাট্রিক ড্যানিয়েল ওয়েলচ।





ইরাকে বিমান হামলার জন্য কংগ্রেসের
অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে
মন্তব্য করেছেন সে সম্পর্কে ওয়েলচ বলেন, এটা শুধু এখন নয়; সেই ভিয়েতনাম
যুদ্ধের সময় থেকে এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এবং সাম্প্রদিক বছরগুলোতে তা
বেড়েছে। ওবামার সাম্প্রতিক উক্তির অর্থ হচ্ছে, “তোমরা সবাই জাহান্নামে যাও;
তোমাদেরকে আমার কোনো প্রয়োজন নেই।”




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

‘ঘষেটি বেগম, বেয়াদব পুত্র ও বদু কাকা’র রিমান্ড দাবি




‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যায়িত করে সরকার দলীয় সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী বলেন,  ঘষেটি বেগম জিয়া ও তার বেয়াদব পুত্র এবং বদু কাকাকে রিমান্ডে নিলে জিয়া হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।’

বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার। এসময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর জন্য কবর খুড়ে ছিলো। ৭১’ এ ইয়াহিয়া যা করেনি ৭৫’ এ জিয়া তাই করেছে। জিয়া বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করেছে। এই খুনি জিয়া খালেদা মোশারফকে, কর্নেল তাহের, মেজর হায়দারকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার দায়ে খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করছি। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করতে হলেও তার বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার বেয়াদব পুত্র বলে ১৯৭২ এর সংবিধান নাকি জনআকাঙ্খা বিরোধী, অবৈধ। ওই বেয়াদব মুচলেকা দিয়ে বলেছিলো আর দুর্নীতি করবো না। এখন আবোল-তাবোল বলছে।’

তিনি বলেন, ঘষেটি বেগম জিয়া বলে এই সরকার নাকি অবৈধ। এই বাজেট নাকি অবৈধ। এটা যদি অবৈধ হবে তাহলে ১৯৭৬, ৭৭ ও ৭৮ এ জিয়া যে বাজেট দিয়েছিল সেটা কি?। তার কাছে এই বাজেট তো অবৈধ হবে। তার কাছে প্রশ্ন আমার প্রশ্ন তাহলে বৈধ কি জমশেদ, কালু, ফালু?। তিনি তো বলবেনই যিনি জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেন। তার কাছে তো বাজেট অবৈধ হবেই।



Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞার হুমকি




ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা বন্ধে রুশপন্তী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হলে মস্কোকে চরম মূল্য দিতে হবে। বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেনকোর সঙ্গে বৈঠক করার সময় এভাবেই রাশিয়াকে হুমকি দেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৪৭ সেনা নিহত এবং আরো শত শত আহত হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন অভিযোগ করে বলেন, রাশিয়া জঙ্গীদের সীমান্ত পাড়াপাড় এবং অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি মস্কোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাশিয়া যদি জঙ্গিদের মদদ দেয়া অব্যাহত রাখে তবে যুক্তরাষ্ট্র তার সহযোগী দেশগুলোকে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আরো অবরোধ আরোপ করবে।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলটি রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখন তারা দেশটির জ্বালানি এবং খনির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আলোচনা করতে আগামী ২৭ জুন বৈঠকে বসছেন ই ইউ’র নেতারা।






Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

বিদ্রোহী দমনে মার্কিনি সহায়তা চাইলো ইরাক




ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) বাহিনী দমনে আকাশ পথে মার্কিনি হামলার সহযোগিতা চেয়েছে ইরাক সরকার। বুধবার ইরাকের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়ে দখল করে নেওয়ার পর ইরাক এ সহযোগিতা চাইলো।

ইরাকে শিয়া জনগোষ্ঠী সরকার গঠন করলেও সে দেশে মুসলিম সুন্নি জনগোষ্ঠী সংখ্যা গরিষ্ঠ। এদিকে,  সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী বুধবারই মসুল শহর দখল করে নেয় এবং এরপর তারা বাগদাদ অভিমুখে অভিযান শুরু করে।

অপরদিকে, ইউএস মিলিটারির জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্টিন ডিম্পসে জানিয়েছেন, বিদ্রোহী দমনে  ইরাক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিদ্রোহীদের ওপর আকাশ পথে হামলা চালানোর অনুরোধ জানিয়েছে। তবে ইরাক সরকারের অনুরোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাড়া দেবে কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

মার্টিন শুধুমাত্র বলেন, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই বাহিনীকে প্রতিরোধ করা দরকার। অন্যদিকে, সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থানরত ইরাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসিয়ার জেবারি বলেন, মার্কিনিদের আকাশ পথে হামলা বিদ্রোহী বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেবে। এর আগে ইরাকে মার্কিন দূতাবাস রক্ষায় ৩০০ মেরিন সেনা পাঠাতে সম্মত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.

মেসির ললনারা




চাঁদের কলঙ্ক আছে। মেসিরও আছে। নারী, মদ ও ড্যান্স তাকেও স্পর্শ করেছে। করেছে মানে খবর বা গুজব রটেছে। মেসির সব কিছুই যে খবরের আকর্ষণ হবে সেটাই তো স্বাভাবিক। কারণ তিনি বিশ্বের হার্টথ্রব সুপারস্টারই নন, সবচেয়ে ধনাঢ্য ফুটবলারও। এক সিজনে মেসির আয় সাড়ে ১২ মিলিয়ন পাউন্ড। বছরে আরও ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড তিনি পান অ্যাডিডাস, পেপসি ও অন্যদের তরফে। অনেকে মেসিকে বলেন তিনি ফুটবলের সর্বকালের সেরা। ২০১২ সালে তিনি তার দেশ ও ক্লাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ গোল করেছিলেন। তাই মেসি জাদু কেবল মাঠেই নয়, তার আকর্ষণ বাইরেও।

যেমন তার সাবেক বান্ধবী মাকারেনা লোমেস। তিন বছর আগে তিনি বোমা ফাটালেন এই বলে যে, তার বয়স যখন ১৪ আর মেসির বয়স ১৮, তখন মেসির সঙ্গে তার প্রণয় ঘটেছিল।

তবে এর ইতি ঘটে তিক্ততায়। মায়ের সঙ্গে তিনি শপিং করছিলেন। হঠাৎ খেয়াল হলো এক জোড়া অচেনা বাবা-মা তার পিছু নিয়েছেন। তারা এমনকি তার ছবিও তুলছিলেন। টের পেয়ে তিনি ঘুরে দাঁড়ান। 

চ্যালেঞ্জ করেন। তখন মাকারেনা দাঁড়িয়েছিলেন একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে। আচানক তিনি দেখলেন ভদ্রমহিলা ছবি তোলা বাদ দিয়ে তার দিকেই তেড়ে আসছেন। তার হাতে একটি টেলিফোন সেট ও খুন্তি ‘ফ্রাই প্যান’। ভীত ম্যাকারেনা তখন পালানোর পথ খুঁজছেন।

তারা বিশ্বনন্দিত লিওনেল মেসির বাবা-মা। টেলিনোচকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেদিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মেসির সাবেক বান্ধবী বললেন, তারা এক পর্যায়ে আমাকে বিদ্রূপ ও অপমান করা শুরু করলেন। তারা ভেবেছিলেন আমি বুঝি উপযাচক হয়ে তাদের ছেলের বাহুলগ্না হয়েছিলাম। মেসির সঙ্গে রাত কাটিয়েছি বলেও তারা সন্দেহ করেছিলেন। আরও বড় ব্যাপার, কোন কারণে তাদের ধারণা হয়েছিল, আমি বুঝি মেসির সঙ্গে আমার প্রণয় নিয়ে কোন ম্যাগাজিনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছি। আসলে এসব কিছুই নয়। আমি কখনও এই স্বল্পমেয়াদি ডেটিং সম্পর্কে কোথাও মুখ খুলিনি। আমাদের মধ্যে কি হয়েছিল, তা আমি কখনও কারও কাছে বলিনি। খুন্তি নিয়ে তাড়া খাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল রোববারের এক অপরাহ্ণে। আমার স্মৃতিতে তা আজও দাগ কেটে আছে। এটা আমার প্রাপ্য ছিল না। আমাকে তাই সেটা আহত করেছিল। মেসির তখন বডিগার্ড ছিল। আমার ছিল না। আমি সাধারণ মানুষের মতোই রাস্তায় বেরিয়েছি। মানুষের সঙ্গে মিশেছি।

তবে এই তিক্ত স্মৃতি সত্ত্বেও মাকারেনার অভিপ্রায় হলো, সুযোগ পেলে অন্তত একটি রাত বিশ্বের এই শ্রেষ্ঠ তারকা ফুটবলারের সঙ্গে কাটানো। তিনি স্বীকার করেন, বিষয়টি তার জন্য আজও এক অসমাপ্ত অধ্যায় রয়ে গেছে।

২০১১ সালের অক্টোবরে একটি ‘হু অ্যাট অল দ্য পাইজ’। এটি দক্ষিণ আমেরিকার টেস্টি ফুটবল ম্যাগাজিন। স্ক্যান্ডাল! লিওনেল মেসি ও মিলিতো ব্রাদার্স আর্জেন্টিনার একটি সেক্স অ্যান্ড অ্যালকোহল পার্টিতে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে যা ঘটেছিল তার বিবরণ প্রথম প্রকাশ করেছিল ইতালির ট্যাবলয়েড কোরিওদেল্লো স্পোর্ট নামের একটি সাময়িকী। জোয়ানা গঞ্জালেজ আর্জেন্টাইন খোলামেলা টিভি স্টার। তিনিই ওই পার্টির আয়োজক ছিলেন। সে রাতে আমেরিকার আরও কিছু সেক্স সিম্বল তাতে অংশ নিয়েছিলেন। মেসি পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে জেরবার হন। বলেন, ‘আমরা ড্যান্স করেছিলাম। পরে কিছু প্লেস্টেশন বাজিয়েছিলাম মাত্র।’ খবরটি দিয়ে ইতালির ওই পত্রিকা কভার পেজের প্রথম শিরোনাম তৈরি করেছিল।

গত ১৪ই অক্টোবর এফটিভিপ্রোডটকম খবর দিয়েছিল যে, প্যারাগুয়ের সুপার মডেল রিকুয়েম দাবি করেছেন লিওনেল মেসি তাকে অর্থের বিনিময়ে কামনা করেছিলেন। ফুটবল দুনিয়ায় তুফান বয়ে গিয়েছিল। অবশ্য তা তেমন কল্কে পায়নি। কারণ ওই সুপার মডেল হৈচৈ ফেলে দিতে সিদ্ধহস্ত। ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে তিনি ঘোষণা দেন, প্যারাগুয়ে যদি কাপ জেতে তাহলে তিনি নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন। প্যারাগুয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায়ে ইতিহাসের প্রথমবারের মতো কোয়ালিফাই করায় তার তারকাখ্যাতি ধেই ধেই করে উপরে উঠলো। তার খেতাব হলো ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ব্রাইড।’

চিলির একটি টিভি অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেসি সম্পর্কে রিকুয়েম ওই তথ্য প্রকাশ করলে আলোড়ন ওঠে। তেরোপেডোরস প্রোগ্রামে তিনি যখন ওই বক্তব্য রাখছিলেন তখন ছিলেন রক্তিম ও লজ্জাবনত। তিনি প্রথমে নামটি বলেননি। বলেছিলেন, এক বিশ্বখ্যাত ফুটবল তারকা তাকে অর্থের বিনিময়ে শয্যায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উপস্থাপক যখন তাকে নাম প্রকাশের জন্য পীড়াপীড়ি করছিল তখনও সে নীরব থাকে। হঠাৎ টিভির ভেতর থেকে শ্রোতারা অন্য কারও কণ্ঠ শুনতে পান। ‘লিওনেল মেসি, লিওনেল মেসি।’ সুপারমডেল তখন সম্মতিসূচক মাথা নাড়েন। তিনি সরাসরি মেসির নামটি নেননি। জন অ্যান্ড্রজ মন্তব্য করেছিলেন দেখাই যাক ২০১৪ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মেসি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেন কিনা। ইন্টারনেট ঘেঁটেও অবশ্য এর কোন হদিস মেলেনি।  

নারী ছাড়াও অন্য অনেক বিখ্যাতের মতো করফাঁকির অভিযোগও তাকে তাড়া করেছিল। গত জুনেই খবর বেরিয়েছিল মেসি তিন বছর ধরে চার মিলিয়ন পাউন্ড কর ফাঁকি দিয়েছেন। অভিযোগ করা হয়েছে, মেসির ইমেজ রাইটস বিক্রয়লব্ধ আয়ের কর ফাঁকি দেয়া হয়েছে। মেসি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত জুলাইয়ের ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর খবর দিলো মেসিকে মার্কিন জুয়াস্বর্গ লাস ভেগাসে এক নর্তকীর সঙ্গে পোজ দিয়েছেন। অবশ্য তারা সে খবরটির বরাত দিয়েছিল আর্জেন্টিনার প্রোন্টো ম্যাগাজিনের। লাস ভেগাসের নাইটক্লাবে তাকে ওই স্বর্ণকেশী ললনার বুকের দিকে চোখ রেখে হাত দিয়ে তার কোমর জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সপ্তাহে আড়াই লাখ পাউন্ডের এই ফুটবল স্টারকে নিয়ে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম ছিল ‘দ্য ফটো দ্যাট পুটস লিওনেস মেসি’চ ম্যারেজ অ্যাট রিস্ক।’ ওই ছবি তার বিয়েটা ঝুঁকিতে ফেলবে একথা বলার কারণ ছিল যে, তার আগের বছরেই মেসি পিতা হয়েছিলেন।

এমনকি দাবি করা হয়েছিল যে, ওই ছবি দেখার পরে ২৫ বছর বয়সী তার বান্ধবী  রাকুজ্জোর সঙ্গে তার আলোচনা সঙ্কটে পড়েছিল। ‘কারণ সে ভেবেছে মেসি তাকে ওই নারীর কাছে খাটো করেছে। এ জন্য মেসি রেড কার্ড পাবেন কিনা সেটা পরে দেখা যাবে কিন্তু আপাতত সোফা বদল ঘটেছে। ম্যাগাজিনটি ওই ছবি ছেপে তার নিচে শিরোনাম করেছিল, লিও ও অ্যান্টোলেনা, পুত্র থিয়াগোর মা তাদের দাম্পত্যের কঠিন সময় অতিক্রম করছেন।

ব্রাজিলিয়ান তারকা রোনাল্ডোর আমন্ত্রণে মেসি লাস ভেগাসে গিয়েছিলেন। অ্যান্টোলেনাকে মেসি জানেন তার ৫ বছর বয়স থেকে। কিন্তু ২০০৯ সালের আগে তাদের মধ্যে প্রণয়ঘটিত অনুরাগ দেখা যায়নি। গত নভেম্বরে টুইটারে অ্যান্টেলোনা তার পুত্র সন্তান প্রসবের খবর দিয়েছিলেন। আর লাস ভেগাসের মন্দ খবরটি ছাপা হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন মেসি ও তার পিতা জর্জ হোরাসিও ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্যাক্স ফাঁকির দায়ে মিডিয়ায় আলোচিত ছিলেন।




Disclaimer:

This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.